উচ্চবিদ্যার ক্ষেত্রে বাধার মধ্য দিয়ে অগ্রসর হতে হবে। কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ যোগ। ব্যবসায় যুক্ত হলে ... বিশদ
বাঁকুড়া স্বাস্থ্য জেলার ডেপুটি সিএমওএইচ(২) নিলয় চক্রবর্তী বলেন, এখনও পর্যন্ত এই স্বাস্থ্য জেলায় ৫১ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন। কড়া নজরদারির কারণে এবার জেলায় ডেঙ্গুর আক্রমণ অনেকটাই কমানো সম্ভব হয়েছে।
জেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্যদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, গত বছর বাঁকুড়া জেলায় মোট ৩৭৬ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছিলেন। যার মধ্যে বাঁকুড়া স্বাস্থ্য জেলায় ২৩৬ জন। বিষ্ণুপুর স্বাস্থ্য জেলার ১৪০ জন ছিলেন। তাই চলতি বছরে বর্ষা শুরুর আগেই প্রতিটি গ্রাম পঞ্চায়েতে ভিআরপি কর্মী ও সুপারভাইজাররা বাড়ি বাড়ি নজরদারি শুরু করেন। পুরসভাগুলিতেও পৃথকভাবে নজরদারি শুরু হয়। নিবিড় পর্যবেক্ষণ ও নজরদারির ফলেই চলতি বছরে এখনও পর্যন্ত জেলায় ডেঙ্গুর আক্রমণ এক ধাক্কায় ৬২টিতে নামিয়ে আন গিয়েছে। চলতি বছরে এখনও পর্যন্ত বাঁকুড়া স্বাস্থ্য জেলায় ৫১ জন ও বিষ্ণুপুর স্বাস্থ্য জেলায় ১১ জন আক্রান্ত হয়েছেন। স্বাস্থ্যদপ্তরের আধিকারিকদের দাবি, বর্ষা ও শীতের শুরুর দিকেই ডেঙ্গুর আক্রমণ বেশি হয়। তাই আগামী সপ্তাহ থেকেই জেলাজুড়ে ফের বিশেষ অভিযান শুরু করা হবে। স্বাস্থ্য দপ্তরের এক আধিকারিক বলেন, দু’-একদিন ছাড়াই জেলায় বৃষ্টি হচ্ছে। ফলে মশার প্রকোপ বাড়ছে। তাই জমা জল, নিকাশি নালা পরিষ্কার থেকে শুরু করে ডেঙ্গু প্রবণ এলাকাগুলিতে মশা মারা তেল স্প্রে করে দ্বিতীয় দফায় বিশেষ অভিযান চালানো হবে।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, বাঁকুড়া স্বাস্থ্য জেলায় থাকা ১৬টি ব্লক ও বাঁকুড়া পুরসভা এলাকায় চলতি বছরে মোট ৫১ জন ডেঙ্গু পজিটিভ হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে বড়জোড়ায় সাতজন। শালতোড়া, ছাতনা ব্লক ও বাঁকুড়া পুরসভা এলাকায় ছ’জন করে আক্রান্ত হয়েছেন। তবে এখনও পর্যন্ত এই স্বাস্থ্য জেলার রাইপুর ও সারেঙ্গা ব্লকে ডেঙ্গু আক্রান্তের সন্ধান মেলেনি। বিষ্ণুপুর স্বাস্থ্য জেলায় এখনও পর্যন্ত মোট ১১ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন। বিষ্ণুপুর ব্লকে পাঁচ জন, সোনামুখী ব্লকে তিনজন এবং পাত্রসায়র ও জয়পুর ব্লকে একজন করে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন। গত বছরও বিষ্ণুপুর স্বাস্থ্য জেলার ছ’টি ব্লক ও দু’টি পুরসভায় মোট ১৪০ জনের মধ্যে বিষ্ণুপুর ব্লকেই সর্বাধিক ৪০ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছিলেন।