উচ্চবিদ্যার ক্ষেত্রে বাধার মধ্য দিয়ে অগ্রসর হতে হবে। কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ যোগ। ব্যবসায় যুক্ত হলে ... বিশদ
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ভগবানপুর-২ব্লকে ২৫২কুইন্টাল, হলদিয়া ব্লকে ৫কুইন্টাল ৭৭কেজি, হলদিয়া পুরসভা এলাকায় ৬৯কেজি, তমলুক ব্লকে ৯কুইন্টাল ৯৩কেজি, নন্দীগ্রাম-১ব্লকে ১৪৯কুইন্টাল ৭০কেজি, ময়না ব্লকে ৯৭কেজি, রামনগর-১ব্লকে ১০৫কুইন্টাল এবং সুতাহাটা ব্লকে ৬কুইন্টাল ৫৪কেজি ছোলা নিম্নমানের বলে চিহ্নিত হয়েছে। ওই ছোলা সরবরাহ করেছিল খাদ্যদপ্তর। ছোলার মান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন শিক্ষকরা। তার পরেও অনেক জায়গায় মিড ডে মিলের চাল, আলু এবং সাবানের সঙ্গে ওই ছোলা বিলি করা হয়েছে। এখন বিষয়টি নিয়ে হইচই শুরু হয়েছে। তাতেই খাদ্যদপ্তরকে নতুন করে ৫৩০ কুইন্টাল ভালো ছোলা সরবরাহ করার নির্দেশ দিয়েছে জেলা প্রশাসন।
আগস্ট মাসে মিড ডে মিলের অন্যান্য সামগ্রীর সঙ্গে পড়ুয়াপিছু এক কেজি করে ছোলা দেওয়ার নির্দেশিকা জারি করেছিল রাজ্য। সেই ছোলা কারা জোগান দেবে, তা নিয়ে পূর্ব মেদিনীপুরে বিভ্রান্তি তৈরি হয়। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা প্রশাসন মিড ডে মিলের ছোলার দাম কেজিপ্রতি ৬৫টাকা ধার্য করলেও পূর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রশাসন ৬০টাকা নির্ধারণ করা হয়। শিক্ষকরা তা নিয়ে আপত্তি তোলেন। একইভাবে আলুর দাম নিয়ে আপত্তি তোলায় ২৮টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩২টাকা করতে বাধ্য হয় প্রশাসন। জেলায় মিড ডে মিলে ছোলা সরবরাহ নিয়ে অন্তত চারবার অর্ডার বদল হয়েছে। এনিয়ে ঘনঘন নির্দেশিকা বদলের ঘটনায় বিভ্রান্তি তৈরি হয়। খাদ্যদপ্তরের সরবরাহ করা ছোলা নিম্নমানের ছিল বলে অভিযোগ। ছোলার ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়। তাতে নানারকম মন্তব্য আসে। চাপে পড়ে নিম্নমানের ছোলা বদল করার সিদ্ধান্ত নেয় জেলা প্রশাসন।
হলদিয়ার কুমারচক প্রাইমারি স্কুলের প্রধান শিক্ষক মদন মণ্ডল বলেন, সেপ্টেম্বর মাসে আমাদের স্কুলে যে ছোলা সরবরাহ করা হয়েছিল, তা নিম্নমানের। আমরা তা নিয়ে আপত্তি জানিয়েছিলাম। যদিও ওই ছোলা বিলি হয়েছিল। শেষমেশ অতিরিক্ত জেলাশাসক নিম্নমানের ছোলা বদল করতে নির্দেশ দিয়েছেন। খাদ্যদপ্তরের মাধ্যমে নিম্নমানের মিড ডে মিলের সামগ্রী সরবরাহ করার ঘটনা দুর্ভাগ্যজনক।
পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির জেলা সাধারণ সম্পাদক অরূপকুমার ভৌমিক বলেন, খাদ্যদপ্তর নিম্নমানের ছোলা সরবরাহ করেছে বলে রেহাই পেল। এটা শিক্ষকরা করলে জনরোষের মুখে পড়তে হতো। হয়তো প্রশাসনিক স্তরেও ব্যবস্থা নেওয়া হতো।
জেলা খাদ্য নিয়ামক সৈকত চক্রবর্তী বলেন, আমরা ৬৪০০ কুইন্টাল ছোলা জোগান দিয়েছিলাম। তারমধ্যে ৫৩০ কুইন্টাল ছোলার গুণগত মান খারাপ। ওই ছোলা বদল করার নির্দেশ দিয়েছেন এডিএম।