সঠিক বন্ধু নির্বাচন আবশ্যক, কর্মরতদের ক্ষেত্রে শুভ। বদলির কোনও সম্ভাবনা এই মুহূর্তে নেই। শেয়ার বা ... বিশদ
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে বোলপুর-রাজগ্রাম রাজ্য সড়কের মুরারই থেকে রাজগ্রামের ঝাড়খণ্ড সীমানা পর্যন্ত ১৬ কিলোমিটার রাস্তার দু’ধারে ৩০০০ কৃষ্ণচূড়া গাছের চারা রোপণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বিডিও বলেন, রাজগ্রামের বাসিন্দা আসগর আলি ও আলি মুর্তেজা খান গাছগুলি দত্তক নিচ্ছেন। সেইমতো আজ তাঁরা পঞ্চায়েত সমিতির হাতে দু’লক্ষ টাকা তুলে দেবেন। প্রতি দু-তিন কিলোমিটার অন্তর একজন করে গাছ দেখভাল করার জন্য লোক লাগানো হবে। ওই দু’জনের দেওয়া টাকা থেকে তাঁদের পারিশ্রমিক দেওয়া হবে। এছাড়া ব্লকের পক্ষ থেকে প্রতিমাসে অতিরিক্ত আরও ১০০০টাকা করে দেওয়া হবে। ইতিমধ্যে রাস্তার দু’ধারে যে জায়গায় গাছ লাগানো হবে তা চিহ্নিত করে ইটের গাঁথনি দিয়ে ঘিরে দেওয়া হয়েছে। আজ থেকে সেখানে চারাগুলি রোপণ করার কাজ শুরু হবে। চারাগুলি ব্লকের নিজস্ব ফার্মেই তৈরি।
কিন্তু, দত্তক নেওয়ার ভাবনাটা কেন? উত্তরে জেলা পরিষদের বিদ্যুৎ কর্মাধ্যক্ষ আসগর আলি ও তৃণমূলের জেলা সহ সভাপতি আলি মুর্তেজা খান বলেন, সাম্প্রতিককালে একের পর এক বিপর্যয়ে সবুজ তছনছ হয়ে গিয়েছে। অন্য প্রাণী এবং উদ্ভিদ জগৎকে ত্রস্ত করে তুলেছে। তাই কিছুটা হলেও প্রকৃতিকে বাঁচাতে নতুন গাছগুলি দত্তক নিচ্ছি। যাতে একটিও গাছ দেখভালের অভাবে মারা না যায়। তেমনি গাছগুলি বড় হলে গ্রীষ্মে মানুষ, পশু, পাখি সকলের পরিত্রাণ মিলবে। সেই সঙ্গে প্রাকৃতিক পরিবেশ ফিরবে।