সঠিক বন্ধু নির্বাচন আবশ্যক, কর্মরতদের ক্ষেত্রে শুভ। বদলির কোনও সম্ভাবনা এই মুহূর্তে নেই। শেয়ার বা ... বিশদ
লকডাউনের জেরে প্রায় আড়াই মাস পুরসভার কর্মীরা করোনা মোকাবিলায় ব্যস্ত ছিলেন। স্বাস্থ্যকর্মীদের সঙ্গে কাঁধ মিলিয়ে পুরকর্মীরাও রাতদিন শহরে কোয়ারেন্টাইন সেন্টার করা থেকে শুরু করে বাড়ি বাড়ি পরিযায়ী শ্রমিকদের সচেতন করা অথবা দুঃস্থ পরিবারের মধ্যে খাদ্যসামগ্রী বিলিবণ্টন করার কাজে যুক্ত ছিলেন। সেই সময় শহরে বেআইনি নির্মাণ কাজের তদারকি করা বা অন্যান্য কাজেও নজরদারি চালাতে পারেনি। আর সেই সুযোগে কাটোয়া শহরজুড়ে বেশ কিছু বাসিন্দা বেআইনি নির্মাণ কাজ চালিয়ে গিয়েছেন। কেউ পুরসভার নকশা ছাড়াই বাড়ির বারান্দা তৈরি করেছেন। কেউ কেউ পুরসভার বৈধ অনুমতি ছাড়াই বাড়ির বক্স জানালা সহ বিভিন্ন ধরনের বেআইনি নির্মাণ করেছেন। পুরসভা কর্মীদের দাবি, শহরে বাড়ি তৈরি করতে গেলে সাধারণত পুরসভার অনুমতি নিতে হয়। তারপর পুরসভার ইঞ্জিনিয়াররা ওই বাড়ির নকশা তৈরি করে প্ল্যান দেন। তারপরেই চেয়ারম্যান বাড়ি তৈরিতে সিলমোহর দেন। তারপর পুরসভার দেওয়া নকশা অনুযায়ী বাড়ি তৈরি হচ্ছে কি না, তা পুরকর্মীরা নজর রাখেন। নকশার বাইরে বাড়ি তৈরি করলেই ওই বাসিন্দাদের নোটিস করে ডেকে পাঠিয়ে বেআইনি নির্মাণ কাজ ভেঙে ফেলতে বলা হয়। এক্ষেত্রে অভিযোগ, পুরসভার নকশা দেওয়া সত্ত্বেও তার বাইরে গিয়ে বেআইনি নির্মাণ কাজ চালিয়ে গিয়েছেন বেশ কিছু বাসিন্দা। করোনা পরিস্থিতির সুযোগকেই তাঁরা কাজে লাগিয়েছেন।
পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, কাটোয়া শহরের ২০ নম্বর ওয়ার্ডের আবাসন পাড়ার বাসিন্দা, বাগানে পাড়ার এক বাসিন্দা সহ বেশ কয়েকজনকে বেআইনি নির্মাণ করায় নোটিস দিয়ে ডেকে সতর্ক করেছে পুরসভা। এখনও পর্যন্ত শহরে প্রায় ১০ থেকে ১২টি জায়গায় বেআইনি নির্মাণ হচ্ছে বলে চিহ্নিত করেছে পুরসভা।
তবে, কাটোয়া শহরে বেআইনি নির্মাণ নতুন কিছু নয়। এর আগেও প্রচুর বেআইনি নির্মাণ ভেঙেছে পুরসভা। পুরসভার বৈধ অনুমতি ছাড়াই শহর জুড়ে তৈরি হয়েছে বেআইনিভাবে একের পর এক তিন থেকে চারতলা বাড়ি। এমনকী মাত্র ১ কাঠা জায়গার উপর পুকুর বুজিয়ে তিনতলা ঝাঁ চকচকে টাইলস বসানো বাড়ি তৈরি হয়েছে দেদার। পুরসভা এবার বেআইনি নির্মাণের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেবে বলে জানা গিয়েছে।