যে কোনও ব্যবসার বৃদ্ধি ও অর্থকড়ি আয় বৃদ্ধি। ধর্মাচরণে মনযোগ বৃদ্ধি। বন্ধুর শত্রুতায় ক্ষতি। ... বিশদ
এব্যাপারে মালদহ সদরের মহকুমা শাসক পঙ্কজ তামাং বলেন, এব্যাপারে আমাদের কাছে কোনও লিখিত অভিযোগ জমা পড়েনি। তবে আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেব। প্রয়োজনে সেচ দপ্তরের সঙ্গে কথা বলব।
সেচ দপ্তরের এক বাস্তুকার বলেন, ইংলিশবাজার শহর সংলগ্ন মহানন্দা নদীতে শুখা মরশুমে অনেকেই ঝুপড়ি বানিয়ে বাস করেন। বর্ষার সময় তাঁরা সেখান থেকে উঠে উঁচু জায়গায় চলে যান। এটা প্রতিবছরই চলে। তবে নদীবক্ষে পাকা বাড়ি তৈরির বিষয়টি মেনে নেওয়া যায় না। আমরা দ্রুত বিষয়টি নিয়ে প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করব।
উত্তরবঙ্গের অন্যতম প্রধান নদী মহানন্দা। ভারতের ভৌগোলিক সীমানার মধ্যে গঙ্গার বামতীরের শেষ উপনদী মহানন্দা। শিলিগুড়ি থেকে মালদহ হয়ে এই নদী গঙ্গায় গিয়ে মিশেছে। মহানন্দা দীর্ঘদিন ধরে উপেক্ষিতা রয়ে গিয়েছে। সেভাবে সংস্কার না হওয়ায় এই নদী এমনিতেই একাধিক জায়গায় মজে গিয়েছে। তারওপর শহর সংলগ্ন এলাকায় নদীর উপর জবরদখল দিনদিন বাড়তে থাকায় মহানন্দা কার্যত অস্তিত্ব সঙ্কটে।
মাঝে বিষয়টি নিয়ে পরিবেশ সংক্রান্ত আদালতে মামলা হয়। জবরদখলকারিদের সরিয়ে দিয়ে নদীকে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য পরিবেশকর্মীরা সরব হয়েছিলেন। জাতীয় সবুজ আদালতের বিচারকরা এক রায়ে মহানন্দাকে অবিলম্বে জবরদখল মুক্ত করার নির্দেশ দেন। সেইমতো কিছু জায়গায় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। তবে ইংলিশবাজারে এখনও পর্যন্ত সেভাবে কোনও কড়া পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি। কেউ কেউ অবশ্য বর্ষার সময় নদীর জলস্ফীতিকে এজন্য দায়ী করেন। যদিও বর্তমানে নদীর জলস্তর অনেকটাই কমে গিয়েছে। ফলে এখনই ব্যবস্থা গ্রহণের উপযুক্ত সময় বলে ওয়াকিবহাল মহল মনে করছে। কারণ বেআইনি কাজকর্মে লাগাম টানা না গেলে ওই প্রবণতা বৃদ্ধি পাবে। ভবিষ্যতে অনেকেই নদীর জায়গায় পাকাপাকিভাবে নির্মাণকাজ চালাবে। তখন বিষয়টি নিয়ন্ত্রণে আনা মুশকিল হয়ে যাবে।