যে কোনও ব্যবসার বৃদ্ধি ও অর্থকড়ি আয় বৃদ্ধি। ধর্মাচরণে মনযোগ বৃদ্ধি। বন্ধুর শত্রুতায় ক্ষতি। ... বিশদ
শিলিগুড়ি মহকুমায় রয়েছে সরকার পোষিত ২৮টি গ্রন্থাগার। এরমধ্যে শিলিগুড়ি পুরসভা এলাকায় রয়েছে ন’টি লাইব্রেরি। অন্যদিকে, মাটিগাড়া ও খড়িবাড়িতে চারটি করে, ফাঁসিদেওয়ায় পাঁচটি এবং নকশালবাড়িতে ছ’টি গ্রন্থাগার আছে। শহরের দীনবন্ধু মঞ্চের পাশে জেলা গ্রন্থাগার ও বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ গ্রন্থাগার। দু’টি গ্রন্থাগার মিলিয়ে রয়েছে মোট ১৪ হাজার পাঠক। এরমধ্যে বঙ্গীয় পরিষদ গ্রন্থাগারে ন’হাজার ও জেলা গ্রন্থাগারে পাঠকের সংখ্যা পাঁচ হাজার। এই দুই গ্রন্থাগারে কর্মসংস্থানমুখী বই রাখা হয়েছে। যা আগ্রহ বাড়িয়েছে তরুণ প্রজন্মের। ইউপিএসসি, ডব্লুবিসিএস সহ আপার ডিভিশন ও লোয়ার ডিভিশন ক্লার্কের পরীক্ষার বইয়ের সম্ভার রয়েছে গ্রন্থাগার দু’টিতে।শিলিগুড়ি মহকুমার অতিরিক্ত জেলা গ্রন্থাগারিক সৈকত গোস্বামী বলেন, আমরা ইতিমধ্যেই প্রায় ৬০ হাজার টাকার প্রতিযোগিতামূলক বই দু’টি গ্রন্থাগারের জন্য কিনেছি। আরও বই কেনা হবে। গ্রামীণ লাইব্রেরিগুলিতেও পড়ুয়াদের চাহিদা অনুযায়ী বই কেনা হচ্ছে। চলতি অর্থবর্ষে আরও ২ লক্ষ ২৪ হাজার টাকা আমরা পাচ্ছি। সেই টাকা দিয়ে পড়ুয়াদের চাহিদা অনুযায়ী আরও বই কেনা হবে, যাতে দুঃস্থ ও মেধাবী পড়ুয়ারা উপকৃত হতে পারেন। এছাড়া সমস্ত গ্রন্থাগারে ইংরেজি থেকে শুরু করে বিভিন্ন ভাষার সাহিত্য, উপন্যাস, গল্পের বইয়ের সম্ভার রয়েছে। শহরের দীনবন্ধু মঞ্চের দু’পাশে থাকা এই দু’টি লাইব্রেরিতে প্রতিদিন গড়ে ৭০-৮০ জন পড়ুয়া চাকরির পরীক্ষায় জন্য এসে পড়াশোনা করেন। ইতিমধ্যে অনেকে এই লাইব্রেরি থেকে পড়াশোনা করে সরকারি চাকরিও পেয়েছেন।
সাধারণত গ্রন্থাগারগুলির জন্য সরকারি বইমেলা থেকে বই কেনা হয়। তবে প্রতিযোগিতামূলক সরকারি চাকরির পরীক্ষার জন্য কলকাতা বইমেলা ও কলেজস্ট্রিট থেকে বিভিন্ন নামী প্রকাশক সংস্থার বই কেনা হচ্ছে, যা পড়ুয়াদের সমৃদ্ধ করছে।