যে কোনও ব্যবসার বৃদ্ধি ও অর্থকড়ি আয় বৃদ্ধি। ধর্মাচরণে মনযোগ বৃদ্ধি। বন্ধুর শত্রুতায় ক্ষতি। ... বিশদ
সিতাই, দিনহাটা থেকে দল যে ভালো লিড পাবে, সেই বিষয়টি নিয়েও তাঁরা যথেষ্ট আশাবাদী। যেসব জায়গায় দল ভালো ফল নাও করতে পারে বলে রাজনৈতিক মহলে চর্চা ছিল, সেখানেও দল ভালো ফল করবে বলে দাবি তৃণমূল নেতৃত্বের। যদিও তৃণমূলের পর্যালোচনা বৈঠককে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিজেপি। তাদের দাবি, স্বপ্ন দেখা ভালো। কিন্তু দিবাস্বপ্ন দেখা ঠিক নয়। তৃণমূল সেটাই দেখছে। এদিনের বৈঠকে প্রার্থী জগদীশচন্দ্র বসুনিয়া, উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী উদয়ন গুহ, দলের জেলা চেয়ারম্যান গিরীন্দ্রনাথ বর্মন, জেলা সভাপতি অভিজিৎ দে ভৌমিক, বর্ষীয়ান তৃণমূল নেতা আব্দুল জলিল আহমেদ, প্রাক্তন মন্ত্রী হিতেন বর্মন, পরেশচন্দ্র অধিকারী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। জেলা তৃণমূল সভাপতি বলেন, সকলেই নিজ নিজ এলাকায় বুথ ভিত্তিক সমীক্ষা করেছেন। ফল কী হতে পারে, তা নিয়ে আলোচনা হল। আমাদের প্রার্থীর জয় নিশ্চিত। ৪ জুন যে কাউন্টিং এজেন্টরা থাকবেন, তাঁদের কী করতে হবে, কী কাগজপত্র জমা দিতে হবে, সেসব নিয়ে আলোচনা হয়েছে। মন্ত্রী উদয়ন গুহ বলেন, আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে ঝাঁপিয়ে পড়ে ভোট করিয়েছি। কোচবিহার আসনটি এবার আমরা দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে উপহার দিচ্ছি, এব্যাপারে আমরা একশো শতাংশ নিশ্চিত। তৃণমূল প্রার্থী জগদীশচন্দ্র বর্মা বসুনিয়া বলেন, বিধানসভা ভিত্তিক যে পরিসংখ্যান উঠে আসছে, তাতে কোচবিহার লোকসভা আসনে দল খুব ভালো অবস্থানে রয়েছে। দিনহাটা মহকুমার দু’টি বিধানসভা গোটা রাজ্যের নজরে। সেখান থেকে সর্বাধিক লিড হবে। ওই লিডে বিজেপি চোখে সর্ষে ফুল দেখবে।
বিজেপির জেলা সভাপতি সুকুমার রায় বলেন, স্বপ্ন দেখা ভালো। তবে মানুষের কাজ না করে শুধু স্বপ্ন দেখলে হয় না। সন্ত্রাস আর দুর্নীতি করে স্বপ্ন দেখলে সফল হওয়া যায় না। রাজনীতিতে মানুষের সঙ্গে থাকতে হয়। মানুষের জন্য কাজ করতে হয়। আমাদের প্রার্থী নিশীথ প্রামাণিকের আবারও জয় হবে। অনেক আগেই আমরা ঠিক করেছি কারা আমাদের কাউন্টিং এজেন্ট হবেন।