যে কোনও ব্যবসার বৃদ্ধি ও অর্থকড়ি আয় বৃদ্ধি। ধর্মাচরণে মনযোগ বৃদ্ধি। বন্ধুর শত্রুতায় ক্ষতি। ... বিশদ
রায়গঞ্জ পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, দু’মাসের বেতন না পেয়ে বৃহস্পতিবার কর্মবিরতির ডাক দেন পুরসভার গাড়ি চালক ও সহযোগীরা। বিশেষ করে পুরসভার ট্রাক্টর চালকরা কর্মবিরতিতে শামিল হওয়ায় এদিন মোহনবাটি বাজার নেতাজিপল্লি থেকে শুরু করে গোটা শহরের আবর্জনা সাফাই হয়নি।
রায়গঞ্জ পুরসভার প্রশাসক বোর্ডের চেয়ারম্যান সন্দীপ বিশ্বাস বলেন, শুধুমাত্র অস্থায়ী কর্মচারীদের বেতন বাবদ প্রতি মাসে আমাদের ৭২ লক্ষ টাকা খরচ হয়। এছাড়াও স্থায়ী কর্মচারীদের বেতনের ১৫ শতাংশ এবং অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারীদের পেনশনের ৬০ শতাংশ টাকা আমরা পুরসভা থেকে দিয়ে থাকি। এজন্য প্রতি মাসে একটা বড় অঙ্কের টাকার প্রয়োজন। সেই তুলনায় আমাদের আয় কম। তবে পুরসভার নিজস্ব আয় বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রশাসক বোর্ড চিন্তাভাবনা শুরু করেছে। পুর প্রশাসক বলেন, আমাদের ফিনান্স অফিসার রায়গঞ্জ পুরসভাকে অর্থনৈতিক দিক থেকে স্বাবলম্বী হওয়ার লক্ষ্যে কিছু লিখিত পরামর্শ দিয়েছেন। ১৫ মে পুরসভার বিওএ (বোর্ড অফ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন) বৈঠক ডাকা হয়েছে। সেই বৈঠকের মূল এজেন্ডা হল পুরসভার আয় বৃদ্ধি। সন্দীপবাবু বলেন, রায়গঞ্জ পুরসভায় কেউ কেউ অশান্তি সৃষ্টির চেষ্টা করছে। আন্দোলন করলেই যে বেতন হবে, আর আন্দোলনে না গেলে বেতন হবে না, এটা ভুল ধারণা। এদিন থেকেই বকেয়া বেতন মিটিয়ে দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। আমরা কোভিড পরিস্থিতিতেও কারও বেতন বন্ধ করিনি। উল্টে সেসময় যাঁদের কাজে নিয়োগ করা হয়েছিল, তাঁদের কাউকেই ছাঁটাই করা হয়নি।
২৭টি ওয়ার্ড নিয়ে রায়গঞ্জ পুরসভা গঠিত। স্থায়ী এবং অস্থায়ী মিলিয়ে কর্মী সংখ্যা হাজারের বেশি। যার মধ্যে শুধুমাত্র অস্থায়ী কর্মীর সংখ্যাই ৮৮৮ জন। তাঁদের মধ্যে ৫৫০ জন কর্মী ‘ফিক্সড পে’ চুক্তিতে কর্মরত। তাঁদের মধ্যে পুরসভার গ্রুপ-ডি ক্লার্ক, ইঞ্জিনিয়ার, দক্ষ শ্রমিক, অদক্ষ শ্রমিক আছেন। দৈনিক ভিত্তিক চুক্তিতে রয়েছেন আরও ৩৩৮ জন। যাঁরা প্রতি মাসে সাধারণত ২৬ দিনের বেতন পেয়ে থাকেন।
পুরসভার প্রশাসক বোর্ডের দাবি, কোভিড পরিস্থিতির পর থেকে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বাড়লেও আয় সেই অর্থে বাড়েনি। পুরসভার আয়ের যে মূল উৎস জমি, বাড়ির রাজস্ব, তা গত তিন বছরে বাড়েনি। সম্পত্তির অ্যাসেসমেন্ট এখনও বাকি আছে। কোভিড পরবর্তী সময়ে অনেকেই কর বকেয়া রেখেছেন। ফলে নিয়মিত রাজস্ব আদায় হচ্ছে না। এছাড়াও কলকাতার অতিথি নিবাস, পুরভবন, পানীয় জলের ট্যাঙ্কার, সেচ পুলের ভাড়া, তিন বছর আগে যা ছিল, এখনও তাই রয়েছে। যার ফলে পুরসভার আয় কার্যত তলানিতে এসে ঠেকেছে। এবং পুরসভারর কোষাগারের দশাও শোচনীয়।