কর্মক্ষেত্রে অতিরিক্ত পরিশ্রমে শারীরিক ও মানসিক কষ্ট। দূর ভ্রমণের সুযোগ। অর্থপ্রাপ্তির যোগ। যে কোনও শুভকর্মের ... বিশদ
শহরের জঞ্জাল অপসারণ, নিকাশি নালা পরিষ্কার, সব এলাকায় পরিস্রুত পানীয় জল সরবরাহ সহ একাধিক সমস্যা রয়েছে। যা নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে পুরসভার বিরুদ্ধে ক্ষোভ আছে। এই পরিস্থিতিতে কোচবিহার পুরসভার প্রশাসক হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করে কোভিড পরিস্থিতি মোকাবিলা করা ও পুর পরিষেবার মান বৃদ্ধি করাই চ্যালেঞ্জ হবে নতুন প্রশাসকের কাছে।
মহকুমা শাসক বলেন, আমাকে কোচবিহার পুরসভার প্রশাসকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। সপ্তাহের শুরুর দিকেই আমি দায়িত্বভার গ্রহণ করব। পুরসভা এলাকার বাসিন্দাদের যেসব পরিষেবা দিয়ে থাকে, সেই পরিষেবাগুলি সঠিকভাবে দেওয়াই প্রধান কাজ হবে। আমরা মহকুমা প্রশাসনের পক্ষ থেকে করোনা পরিস্থিতির সঙ্গে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছি। এবার পুরসভাও আমাদের হাতে থাকায় কাজ করতে সুবিধা হবে। কোভিড পরিস্থিতি মোকাবিলা করা ও সেইসঙ্গে ডেঙ্গু পরিস্থিতির উপর নজর রাখা হবে। কোচবিহার পুরসভার চেয়ারম্যান ছিলেন ভূষণ সিং। পুরবোর্ডের মেয়াদ শেষে তাঁকেই প্রশাসক বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছিল। এরপর কোভিড পরিস্থিতি শুরু হয়। দীর্ঘদিন সেই পরিস্থিতিতে লকডাউন থাকায় পুরসভার পরিষেবা নিয়ে নানা সমস্যা দেখা দেয়। একদিকে, পুরসভার জঞ্জাল অপসারণ, নিকাশি ব্যবস্থার বেহাল দশা সহ একাধিক সমস্যায় পুরসভা জর্জরিত হয়ে পড়ে। এদিকে, রাস্তা সংস্কার, পানীয় জলের কাজ সহ বহু প্রকল্পের কাজ থমকে যায়। এরই মধ্যে বিধানসভা ভোট চলে আসে। ভূষণবাবু বিজেপিতে যোগ দেন। এই পরিস্থিতিতে ভোটের ফল বের হওয়ার দিন কয়েক পরেই ভূষণবাবুকে প্রশাসক বোর্ডের চেয়ারম্যানের পদ থেকে সরিয়ে মহকুমা শাসককে ওই দায়িত্ব দেওয়া হয়।
সামনেই বর্ষা। প্রতিবছর শহরে সামান্য বৃষ্টিতে জলজমার সমস্যা দেখা দেয়। নিকাশি ব্যবস্থা বেহাল থাকায় শহরের ড্রেনগুলি মশার আঁতুড়ঘরে পরিণত হয়েছে। শহরের বিস্তীর্ণ এলাকায় এখনও পরিস্রুত পানীয় জল পৌঁছয়নি। বহু রাস্তা বেহাল। এই পরিস্থিতিতে একদিকে কোভিড পরিস্থিতি সামাল দেওয়া, অন্যদিকে, পুরসভা এলাকার সামগ্রিক উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করাই এখন নতুন প্রশাসকের কাছে প্রধান চ্যালেঞ্জ।