কর্মক্ষেত্রে অতিরিক্ত পরিশ্রমে শারীরিক ও মানসিক কষ্ট। দূর ভ্রমণের সুযোগ। অর্থপ্রাপ্তির যোগ। যে কোনও শুভকর্মের ... বিশদ
গত সপ্তাহ থেকেই এনবিএসটিসি বিভিন্ন রুটে বাসের সংখ্যা অর্ধেক করে দিয়েছে। কিন্তু, বাসের সংখ্যা কমলেও সেভাবে যাত্রীদের মধ্যে ক্ষোভ নেই। ক’দিন ধরেই দেখা যাচ্ছে, হাতেগোনা যাত্রী নিয়ে এনবিএসটিসি’র বাস চলছে। সংক্রমণের ভয়ে কেউই জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বেরতে চাইছেন না।
নর্থবেঙ্গল রোড ট্রান্সপোর্ট অ্যাসোসিয়েশনের অন্যতম কর্তা প্রণব মানি বলেন, করোনার দ্বিতীয় ঢেউ ভয়াবহ আকার নিতেই যাত্রীসংখ্যা কমতে শুরু করে। তখনই আমরা বাসের সংখ্যা কমানোর সিদ্ধান্ত নিই। এখন উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন রুটে আমাদের ৪০ শতাংশ বাস চলছে। যাত্রী কম, জ্বালানির দাম বাড়ছে। এই পরিস্থিতিতে আমাদের বাস বন্ধ করে দেওয়া ছাড়া আর কোনও পথ নেই। যে সংখ্যক যাত্রী হচ্ছে, তাতে সারাদিনের খরচ উঠছে না।
এনবিএসটিসি’র বাসেও যাত্রী হচ্ছে না। টিকিট কাউন্টারে ভিড় নেই। এই পরিস্থিতিতে বড়সড় ক্ষতির মুখে পড়েছে এনবিএসটিসি। সংস্থার শিলিগুড়ির ডিভিশনাল ম্যানেজার কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, সব রুটে বাস অর্ধেক কমানো হয়েছে। কিন্তু, তাতেও দেখা যাচ্ছে, বেশিরভাগ বাসে যাত্রী হচ্ছে না। গড়ে ৮০ শতাংশ যাত্রী কমে গিয়েছে। করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আসার পর থেকেই যাত্রীসংখ্যা প্রতিটি রুটেই কমতে শুরু করেছিল। কোন রুটে কত যাত্রী হচ্ছে, কিছুদিন দেখে তার হিসেব করে আমরা সেসব রুটে বাস চালাব। তাতে বাসের সংখ্যা আরও কমতে পারে।