নিজস্ব প্রতিনিধি, মালদহ: ইংলিশবাজার সদর থানায় গত দু’বছরে তিনজন আইসি’র বদলি ঘিরে পুলিস মহলে শোরগোল পড়েছে। ঘন ঘন ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক পরিবর্তনের ফলে যে কোনও থানারই স্থিতাবস্থা বিঘ্নিত হয় বলে পুলিস মহলের অভিমত। ইংলিশবাজারের মতো গুরুত্বপূর্ণ থানায় এত কম সময়ের মধ্যে তিনজন আইসি বদলের বিষয়টি নিয়েও পুলিস আধিকারিকদের মধ্যে জোর চর্চা চলছে। বিষয়টি নিয়ে জেলা পুলিসের কর্তারা অবশ্য বিশেষ কিছু বলতে চাননি। মালদহ জেলার পুলিস সুপার অলোক রাজোরিয়া বলেন, ইন্সপেক্টরদের বদলির নির্দেশ রাজ্য স্তর থেকে জারি করা হয়। ফলে আইসি বদলির কারণ আমি বলতে পারব না। নতুন আইসি না আসা পর্যন্ত সেকেন্ড অফিসার ইংলিশবাজার থানার দায়িত্ব সামলাবেন। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৯ সালের গোড়ার দিকে ইন্সপেক্টর শান্তনু মিত্র ইংলিশবাজার থানার দায়িত্বে আসেন। ওই বছরেরই নভেম্বর মাস নাগাদ তিনি হঠাৎ করে জিআরপিতে বদলি হয়ে যান। তাঁর জায়গায় নতুন আইসি হিসেবে অমলেন্দু বিশ্বাস ইংলিশবাজার থানার দায়িত্ব নেন। অমলেন্দুবাবুর সময় একটি মামলা নিয়ে ইংলিশবাজার থানা বিতর্কে জড়ায়। কয়েকজন আধিকারিকের বিরুদ্ধে মামলাকারীর কাছ থেকে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ ওঠে। ওই ঘটনায় আইসি এবং সেকেন্ড অফিসার সহ কয়েকজন পুলিসকর্মীকে থানার দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। ২০২০ সালের মার্চ মাস নাগাদ মদনমোহন রায় ইংলিশবাজার থানার দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। এবার তাঁকেও সরিয়ে দেওয়া হল। শান্তনুবাবু এবং মদন মোহনবাবুকে কেন দায়িত্বগ্রহণের এক বছরের মধ্যে বদলি করা হল, তার কারণ নিয়ে ধন্দে পুলিস মহল।
জেলার এক পুলিস আধিকারিক বলেন, সদর থানা হিসেবে ইংলিশবাজারের গুরুত্ব রয়েছে। তাছাড়া ওই থানার এলাকা অনেক বড়। বছর দেড়েক আগে ইংলিশবাজারের অন্তর্গত মিল্কি ফাঁড়িতে দুষ্কৃতী হামলা হয়। ফাঁড়ি জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। তারপর মিল্কি ফাঁড়িকে থানার মর্যাদা দেওয়ার দাবি ওঠে। জেলা পুলিসের তরফে ওই প্রস্তাব রাজ্যে পাঠানো হয়। এখনও তা না হওয়ায় ইংলিশবাজারের উপর চাপ অনেক বাড়ছে। বিষয়টি নিয়ে পুলিস মহলে আলোচনা চলছে।