বিদ্যার্থীরা পড়াশুনার ক্ষেত্রে বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা পাবে। নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাস বাড়বে। অতিরিক্ত চিন্তার জন্য উচ্চ ... বিশদ
শেষ লোকসভা নির্বাচনে মালদহ জেলায় মোট বুথের সংখ্যা ছিল দুই হাজার ৮৮৪টি। কিন্তু বিহার নির্বাচনী মডেলের ধাঁচে আসন্ন বিধানসভা ভোটে করোনা সুরক্ষা বিধি মেনে চলার কারণে বুথের সংখ্যা বেড়ে হচ্ছে ৪২২৬টি। অর্থাৎ বুথের সংখ্যা বাড়ছে ১৩৪২টি যা বর্তমান বুথ সংখ্যার প্রায় ৫০ শতাংশ।
অতিরিক্ত জেলাশাসক (সাধারণ) বৈভব চৌধুরী বলেন, বুথ বেড়ে যাওয়ার কারণে বর্তমান বুথগুলির পাশেই অতিরিক্ত কক্ষে নতুন বুথ তৈরি করা হবে। তবে ৪৫টি ক্ষেত্রে অতিরিক্ত কক্ষ না থাকায় অস্থায়ীভাবে তৈরি করা হচ্ছে বুথ। মালদহের ১২টি বিধানসভা কেন্দ্রের আটটিতেই এই অস্থায়ী বুথ তৈরি করা হচ্ছে।
তবে সাতটি ক্ষেত্রে বর্তমান বুথ চত্বরে নতুন অস্থায়ী বুথ তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় জায়গা মেলেনি। সেই কারণে ৫০০ মিটারের মধ্যে নতুন বুথ তৈরি করা হবে। বৈষ্ণবনগরে তিনটি, ইংলিশবাজারে তিনটি ও গাজোলের একটি ক্ষেত্রে এই বুথ সরানো হবে বলে জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে।
জেলার রাজনৈতিক দলগুলি এদিন ওই সাতটি ক্ষেত্রে বুথ সরিয়ে নেওয়ার বিষয়ে আপত্তি না তোলেনি। তবে ভোটারদের বুথগুলিতে যাওয়ার ক্ষেত্রে যেন কোনও সমস্যা না হয়, তা নিশ্চিত করার দাবি তুলেছে।
তৃণমূলের মুখপাত্র শুভময় বসু বলেন, নির্বাচন কমিশন চাইছে কোনও বুথেই যেন ভোটারের সংখ্যা এক হাজার ৫০জনের বেশি না হয়। তাই নতুন বুথ তৈরি হচ্ছে। সাতটি ক্ষেত্রে বুথ সরাতেও হচ্ছে। আমরা আপত্তি করিনি। কিন্তু ভোটারদের ওই বুথে গিয়ে ভোট দিতে যেন সমস্যা না হয় তা নিশ্চিত করতে হবে। বিজেপির জেলা নেতা নীলাঞ্জন দাস বলেন, পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে বুথ সরাতে হচ্ছে কয়েকটি ক্ষেত্রে। এতে আমাদের আপত্তি নেই। কিন্তু ভোটারদের একটু দূরে গিয়ে ভোট দিতে যেন সমস্যা না হয়।
সিপিএম ও কংগ্রেসও বুথ সরানোর বিষয়ে সম্মতি দিয়েছে।
শারীরিক প্রতিবন্ধকতা সহ ভোটার ও ৮০ বছর ও তার বেশি বয়সী ভোটারদের জন্য পোস্টাল ব্যালটের ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলে জেলা নির্বাচন দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে। মালদহে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন ভোটার রয়েছেন ১১ হাজার ৫৮১জন। ৮০ থেকে ১০০ বছর বয়সী ভোটার রয়েছেন ৩৫ হাজার ৬২১জন। শতবর্ষ অতিক্রান্ত ভোটার রয়েছেন ২৩৭জন।