বিদ্যার্থীরা পড়াশুনার ক্ষেত্রে বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা পাবে। নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাস বাড়বে। অতিরিক্ত চিন্তার জন্য উচ্চ ... বিশদ
মঙ্গলবার শিলিগুড়ি শহরে ১০ কোটি ১৯ লক্ষ টাকার প্রকল্পের উদ্বোধন করেন পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেব। এই তালিকায় রাস্তা, ড্রেন, স্কুলের বাউন্ডারি ওয়াল, ফুটপাত, কালভার্ট, উন্মুক্ত ড্রেনের উপর স্ল্যাব বসানো প্রভৃতি নির্মাণ করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট প্রকল্পগুলি বাস্তবায়িত করেছে এসজেডিএ। ওই অনুষ্ঠানের ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই এসজেডিএ’র ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অশোকবাবু। তিনি বলেন, শিলিগুড়ি অপরিকল্পিত শহর। এই শহরকে পরিকল্পিত শহরে রূপান্তরিত করতেই গড়া হয় এসজেডিএ। এ জন্য পরিকল্পনা প্রস্তুত করাই এসজেডি’র প্রধান কাজ। বর্তমানে তারা এ বিষয়ে বিন্দুমাত্র মনোনিবেশ করছে না। বরং রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গিতে তারা শহরে এমন কিছু উন্নয়নমূলক কর্মসূচি হাতে নিয়েছে, যা পুরসভার করার কথা। ওরা পুরসভার সমান্তরাল কাজ করছে। একইসঙ্গে শিলিগুড়ির বিধায়ক বলেন, বিধান মার্কেটের সঙ্গে শহরের পাঁচ হাজার ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী যুক্ত। যাঁরা মূলত পূর্ববঙ্গ থেকে আগত উদ্বাস্তু পরিবার। এই বাজার নানা সমস্যায় জর্জরিত। এখনও এই বাজারটি স্থায়ীকরণ করতে পারল না এসজেডিএ। অবিলম্বে ব্যবসায়ীদের জমির মালিকানা দেওয়া হোক। তা না হলে বাজারের জমি পুরসভার কাছে হস্তান্তর করা হোক।
এর জবাবে শহরের উন্নয়ন নিয়ে বিধায়ককে খোঁচা দিতে ছাড়েননি এসজেডিএ’র ভাইস চেয়ারম্যান। তিনি বলেন, দীর্ঘদিন ধরে এই শহরের ক্ষমতায় আছেন অশোকবাবুরা। এখন নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকতে ওঁরা অহেতুক চিৎকার করছেন। নিয়ম মেনে নাগরিকদের চাহিদা অনুসারে উন্নয়নমূলক কাজ করছে এসজেডিএ। শীঘ্রই আরও ১৩ কোটি ৮১ লক্ষ টাকার উন্নয়নমূলক কাজ করা হবে। রাস্তা, ড্রেন, কালভার্ট, ফুটপাত, সুলভ শৌচালয় প্রভৃতি করা হবে। পুরসভার প্রশাসক বোর্ড জায়গা দিলে শহরে করা হবে পার্কিং জোন। এছাড়া বিধান মার্কেটে ডাঃ বিধানচন্দ্র রায়ের মূর্তি স্থাপন প্রকল্পের শিলান্যাস করা হয়। কাজেই চিৎকার না করে অশোকবাবুরা উন্নয়নমূলক কাজে সহযোগিতা করুন।