বিদ্যার্থীরা পড়াশুনার ক্ষেত্রে বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা পাবে। নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাস বাড়বে। অতিরিক্ত চিন্তার জন্য উচ্চ ... বিশদ
গঙ্গারামপুরের মহকুমা পুলিস আধিকারিক দীপকুমার দাস বলেন, মৃত সঞ্জিত সরকারের মা কৈকেয়ী সরকার ২৩ জনের নামে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। মঙ্গলবার রাতে সাতজনকে গুলি চালানোর ঘটনায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে। একজনের বাড়ির উঠোন থেকে উদ্ধার করা হয়েছে চারটি তাজা বোমা। আর এক ধৃতের বাড়ি থেকে একটি পিস্তল ও চার রাউন্ড গুলি উদ্ধার করেছে পুলিস। মূল অভিযুক্ত পলাতক। তাঁর বাড়িতে আগুন লাগানোর ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে। সেই ঘটনাতেও আমরা একজনকে গ্রেপ্তার করেছি। বর্তমানে এলাকায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে পুলিসি টহলদারি চলছে। মঙ্গলবার সকালে রাজনৈতিক হিংসায় রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় গঙ্গারামপুর থানার শুকদেবপুর এলাকা। স্থানীয় তৃণমূল পার্টি অফিসের সামনে গুলি করে খুন করা হয় দলীয় কর্মী সঞ্জিত সরকারকে। পরে ঘটনাস্থলেই স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে বিতন্ডায় জড়িয়ে পড়েন স্থানীয় পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি কালীপদ সরকার। সেইসময় হঠাৎই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান তিনিও। স্থানীয়দের দাবি, শুকদেবপুর কার ‘দখলে’ থাকবে, তা নিয়ে বিবাদের জেরেই প্রাণ গিয়েছে সঞ্জিতের। গত কয়েকদিন ধরে সঞ্জিতের দলবল ও কালীপদ সরকারের অনুগামীদের মধ্যে উত্তেজনার পারদ চড়ছিল। দীর্ঘদিন ধরেই শুকদেবপুর এলাকার দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতা ছিলেন কালীপদবাবু। এদিকে গত কয়েক বছর ধরে এলাকায় উঠে আসছিলেন সঞ্জিত। দলের সংগঠনের দায়িত্ব নিয়ে প্রথম সারিতে থেকে কাজ করছিলেন তিনি। এলাকা দখলকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের সংঘাত প্রকাশ্যে আসে। মৃত সঞ্জিতের মা কৈকেয়ী সরকার বলেন, কিছুদিন ধরে ছেলের উপর চড়াও হচ্ছিল কালীপদ সরকারের অনুগামীরা। কালীপদ ও তার লোকজন মিলে ছেলেকে মেরেছে। আমি থানায় অভিযোগ জানিয়েছি। স্থানীয় বাসিন্দা দুলু রায় বলেন, তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে দ্বন্দ্ব ছিল। মঙ্গলবার কালীপদবাবু ও তাঁর দলবল সঞ্জিতকে গুলি করে। জেলা তৃণমূল সভাপতি গৌতম দাস বলেন, দুই তৃণমূল কর্মীর অকালমৃত্যু হয়েছে। সঞ্জিত সরকারের দেহ গঙ্গারামপুর পার্টি অফিসে নিয়ে এসে সম্মান জানিয়ে তারপর তাঁর পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হবে। এটা রাজনৈতিক প্রতিহিংসার ঘটনা নাকি এলাকা দখলের লড়াই, সেসব দলীয়ভাবে তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান বিপ্লব মিত্র বলেন, শুনেছি জমি বিবাদকে কেন্দ্র করে এলাকায় দু’পক্ষের বিবাদ হয়েছে। পুলিস প্রশাসনকে বলা হয়েছে, দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হোক।