বিদ্যার্থীরা পড়াশুনার ক্ষেত্রে বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা পাবে। নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাস বাড়বে। অতিরিক্ত চিন্তার জন্য উচ্চ ... বিশদ
বিরোধীদের অভিযোগ, রাজ্য সরকার ভোট করাতে ভয় পাচ্ছে। তার বদলে অনৈতিকভাবে কখনও প্রশাসক, কখনও প্রশাসকমণ্ডলী দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে কাজ চালাচ্ছে। যার ফলে সুষ্ঠু নাগরিক পরিষেবা থেকে এলাকার মানুষ বঞ্চিত হচ্ছেন। তাই অবিলম্বে পুরভোট চাইছে বিরোধীরা। বুধবার দ্রুত পুর নির্বাচনের দাবিতে জেলা প্রশাসনিক ভবনের সামনে বিক্ষোভ দেখায় বামেরা। পরে তারা ভোটের দাবি নিয়ে জেলাশাসকের কাছে ডেপুটেশনও দিয়েছে।
এবিষয়ে আরএসপি জেলা কমিটির সদস্য তথা পুরসভার প্রাক্তন কাউন্সিলার প্রলয় ঘোষ বলেন, আমরা আগে থেকেই পুর ভোটের দাবি নিয়ে আন্দোলন করে আসছি। সাধারণ মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার খর্ব করে অনৈতিক ভাবে প্রশাসক বোর্ড গঠন করা হয়েছে। তাই আমরা এদিনও বিক্ষোভ দেখিয়েছি ও ডেপুটেশন দিয়েছি। আগামীতে নাগরিক পরিষেবার উন্নতি ও অবিলম্বে পুরভোট নিয়ে শহরজুড়ে ব্যাপক প্রচারে নামব।
এবিষয়ে বিজেপির বালুরঘাট টাউন মণ্ডল সভাপতি সুমন বর্মন বলেন, প্রায় দুই বছর ধরে আমরা নির্বাচিত বোর্ডের দাবিতে আন্দোলন করেছি। আমরা বালুরঘাট পুরসভাকে ‘অনাথ’ বলে ঘোষণা করেছি। দীর্ঘদিন ধরে ভোট হয় না। নাগরিক পরিষেবা বেহাল। বিধানসভা ভোটের আগে এই বিষয়টি এখন আমাদের বড় ইস্যু। আগামীতে আমরা এই নিয়ে ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে প্রচার চালাব।
জেলা কংগ্রেস সভাপতি অঞ্জন চৌধুরী বলেন, তৃণমূল তো হেরে যাওয়ার ভয়ে ভোট করাতে ভয় পাচ্ছে। পুরসভার দায়িত্বে তো এসডিও ছিল। তবুও কেন এসডিওকে সরিয়ে প্রশাসক বোর্ড বসিয়েছে? আমরা পুরসভা নিয়ে আগেও অনেক আন্দোলন করেছি। বিধানসভার আগে আরও লড়ব।
তবে বিরোধীদের অভিযোগকে পাত্তা দিতে চাইছে না তৃণমূল। দলের জেলা কো অর্ডিনেটর সুভাষ চাকী বলেন, বিরোধীরা যে অভিযোগ তুলছে, সেটা বিধানসভা ভোটের আগে রাজনৈতিক কৌশল ছাড়া আর কিছু নয়। ভোটের আগে চিৎকার চেঁচামেচি করে বালুরঘাট তথা দক্ষিণ দিনাজপুরের মানুষকে ওরা নিজেদের অস্তিত্ব জানান দিতে চাইছে। রাজ্য সরকার যে প্রশাসক বোর্ড গঠন করেছে, তা নিঃসন্দেহে ভালো কাজ করছে।
প্রসঙ্গত, বালুরঘাট পুরসভার শেষ বোর্ড তৃণমূলের অধীনেই ছিল। গত ২০১৮ সালের ২৩ মার্চ ওই বোর্ডের মেয়াদ ফুরিয়ে যায়। তারপর প্রশাসক হিসেবে এসডিও দায়িত্ব গ্রহণ করেন। ২০২০ সালের শেষ মাসে রাজ্য সরকার বালুরঘাট পুরসভার জন্য প্রশাসক বোর্ড ঘোষণা করে। রাজনীতি থেকে বাইরে থাকা শহরের বাসিন্দাদের নিয়ে সেই বোর্ড তৈরি হয়েছে।
এদিকে সামনেই বিধানসভা ভোট। তার আগে আড়াই বছরেরও বেশি সময় ধরে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধির বোর্ড না থাকার বিষয়টি রাজ্য সরকারের ব্যর্থতা হিসেবে বালুরঘাটের বাসিন্দাদের কাছে তুলে ধরতে চাইছে বিরোধীরা।