বিদ্যার্থীরা পড়াশুনার ক্ষেত্রে বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা পাবে। নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাস বাড়বে। অতিরিক্ত চিন্তার জন্য উচ্চ ... বিশদ
বিধানসভা ভোটের মুখে শিলিগুড়িতে যোগদান মেলা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে নিজেদের শক্তি তুলে ধরার পরিকল্পনা করেছিল গেরুয়া শিবির। এ জন্য তারা বেলা ১টা নাগাদ বাঘাযতীন পার্কে সভার কাজ শুরু করে। ২টো ৪৬ মিনিট নাগাদ সভাস্থলে পৌঁছন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। তিনি ৩টে ১৭ মিনিট নাগাদ সভায় বক্তব্য দিতে শুরু করেন। বিজেপির রাজ্য সভাপতির ভাষণ চলাকালীনই সভাস্থল থেকে ভিড় হাল্কা হতে শুরু করে। অনেকেই মাঠ ছেড়ে বেরিয়ে যান। সভার মূল কর্মসূচি যোগদান পর্বের সময় তো মাঠ কার্যত পুরোপুরি ফাঁকা হয়ে যায়।
বিজেপির শিলিগুড়ি সাংগঠনিক জেলা কমিটির সভাপতি প্রবীণ আগরওয়াল অবশ্য বলেন, সোমবার রাতে মাটিগাড়ায় তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করায় কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিস। বিজেপির এই কর্মসূচি ব্যর্থ করতে পুলিস দিয়ে গ্রামবাসীদের ধমকায়, চমকায় তৃণমূল। এরপরও সভা সফল হয়েছে।
শুধু সভা নয়, এই যোগদান মেলাতেও তেমন কোনও চমক ছিল না। পাহাড় ও সমতলের হেভিওয়েট নেতারা যোগদান শিবিরে শামিল হয়ে পদ্মের ঝান্ডা ধরবেন বলে বাজারে প্রচার করা হয়েছিল। বাস্তবে এদিনের মেলায় পাহাড়ের কোনও রাজনৈতিক দলের নেতা আসেননি। বিজেপি সূত্রের খবর, শিলিগুড়ি শহর ও গ্রামীণ এলাকার তৃণমূল কংগ্রেস, সিপিএম ও কংগ্রেস ছেড়ে ৫০০ জন বিজেপিতে শামিল হন। যাঁদের মধ্যে মাটিগাড়া-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাক্তন প্রধান প্রিয়াঙ্কা বিশ্বাস ও ফাঁসিদেওয়ার প্রাক্তন প্রধান কারলুস লাকরা উল্লেখযোগ্য।
তৃণমূলের দার্জিলিং জেলা মুখপত্র (সমতল) বেদব্রত দত্ত বলেন, এদিনের ফ্লপ শো থেকে প্রমাণ হয়ে গিয়েছে শিলিগুড়ির মাটিতে গেরুয়া বাহিনীর স্থান নেই। তবে মিথ্যা প্রতিশ্রুতির মায়াজালে বিভ্রান্ত হয়ে মুষ্টিমেয় কয়েকজন বিপদগামী হয়েছেন। শীঘ্রই তাঁরা ভুল বুঝতে পেয়ে ঘরে ফেরার আবেদন করবেন। সিপিএমের দার্জিলিং জেলা সম্পাদক জীবেশ সরকার বলেন, সিপিএমের কেউ দলত্যাগ করেনি। এটা ফুটবল ক্লাবের দলবদলের মতো তৃণমূল ও বিজেপির মধ্যে দলবদল হয়েছে। দার্জিলিং জেলা কংগ্রেসের সভাপতি শঙ্কর মালাকার বলেন, যারা ২০০ আসন পাবে বলে হুঙ্কার ছাড়ছে, তারা রাজনীতিতে নামগোত্রহীন লোকদের দলে যোগদান করাচ্ছে। কাজেই বিজেপির এই সভা থেকে তাদের দৈনদশা স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।
বিজেপির শিলিগুড়ি সাংগঠনিক জেলা কমিটির সভাপতি অবশ্য বলেন, বিরোধীদের বক্তব্য নিয়ে ভাবছি না। তবে প্রধানমন্ত্রীর উপর অস্থা রেখেই সংশ্লিষ্ট তিনটি দল থেকে ওই কর্মীরা বিজেপিতে শামিল হয়েছেন। আরও অনেকে আসবেন।
এদিকে, এদিনের সভায় মুখ্যমন্ত্রীকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। তিনি বলেন, রাজ্যে আইনশৃঙ্খলার বালাই নেই। গণতন্ত্র নেই। শতাধিক পুরসভার নির্বাচন করছে না। পিছন দরজা দিয়ে প্রশাসক বসিয়ে সরকারি ক্ষমতা ভোগ করছে তৃণমূল। এখানে নেতাদের উন্নয়ন হয়েছে, সাধারণ মানুষের উন্নয়ন হয়নি। তাই এবার এই অপশাসনের পরিবর্তন করব। একইসঙ্গে তিনি বলেন, সাড়ে তিনবছর পর দিদিমণির হাত ধরে পাহাড়ে উঠেছেন বিমল গুরুং। পাহাড়বাসীর সঙ্গে প্রবঞ্চনা করা হচ্ছে। এবার বিধানসভা ভোটে বিমল গুরুং, বিনয় তামাং ও দিদিমণিকে যোগ্য জবাব দেবেন পাহাড়ের মানুষ।