প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য আসবে। প্রেম প্রণয়ে আগ্রহ বাড়বে। তবে তা বাস্তবায়িত হওয়াতে সমস্যা আছে। ... বিশদ
আর লক ডাউন যত বাড়বে ততই চা শিল্পে লোকসানের এই বহরও লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়তে থাকবে। এই অবস্থায় আগামী দিনে রঙিন ছবির বদলে উত্তরবঙ্গের অর্থনীতির অন্যতম ভরসা চা শিল্পে শুধুই সাদা কালো ছবি অপেক্ষা করছে বলে চা শিল্প মহল আগাম আশঙ্কার কথা শুনিয়েছে। ফলে শ্রমিক ও তাদের পরিবার মিলিয়ে উত্তরের চা শিল্পের সঙ্গে সরাসরি জড়িত ১২ লক্ষ মানুষের রুটি রুজির ভবিষ্যৎ এখন সম্পূর্ণ অন্ধকারে।
প্রখ্যাত চা গবেষক রামঅবতার শর্মা বলেন, উত্তরের ক্ষুদ্র চা শিল্প মালিকরা ঘোষণা করেছেন লক ডাউনে ইতিমধ্যেই তাঁদের ৫০০ কোটি টাকা লোকসান হয়েছে। সেখানে উত্তরবঙ্গের বৃহৎ চা শিল্পে ইতিমধ্যেই ২৫০০ কোটি টাকার লোকসান হয়েছে। লক ডাউন যত বাড়বে এই লোকসানের বহর ততই বাড়বে।
চা মালিকদের বৃহৎ সংগঠন ইন্ডিয়ান টি প্লান্টেশন অ্যাসোসিয়েশনের (আইটিপিএ) মুখপাত্র অমিতাংশু চক্রবর্তী বলেন, আগামী দিনে উত্তরের চা শিল্পে আর রঙিন ছবি নয়। অপেক্ষা করছে শুধুই সাদা কালো ছবি। শুনতে খারাপ লাগলেও এটাই বাস্তব চিত্র। ২৪ মার্চ থেকে লক ডাউন চলছে। রবিবার পর্যন্ত হিসাব ধরলে এই ক’দিনেই চা শিল্পে ২৫০০ কোটি টাকার লোকসান হয়েছে। লক ডাউন যত দীর্ঘায়িত হবে ততই চা শিল্পের লোকসানের বহর বাড়তে থাকবে।
উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুর মহকুমা থেকে অসম-বাংলা সীমান্তে আলিপুরদুয়ারের কুমারগ্রামের সংকোশ পর্যন্ত উত্তরবঙ্গে ৩০২টি চা বাগান আছে। যার সিংহভাগ চা বাগান পড়েছে দার্জিলিং-তরাই-ডুয়ার্সে। চা শিল্পের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত আছে তিন লক্ষ শ্রমিক। আর তাঁদের পরিবার ধরলে উত্তরবঙ্গের ১২ লক্ষ মানুষ চা শিল্পের উপর নির্ভরশীল। করোনা পরিস্থিতি ও লক ডাউনের ধাক্কায় এবার উত্তরবঙ্গের সেই চা নির্ভর প্রধান অর্থনীতি ডুবতে বসায় বেজায় শঙ্কিত চা শিল্প মহল।
শুধু উৎপাদন বন্ধ, তাই নয়। টি অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্ডিয়ার (টাই) অধীন আলিপুরদুয়ারের মাঝেরডাবরি চা বাগানের ম্যানেজার চিন্ময় ধর বলেন, চায়ের ফসল উৎপাদন একটি ধারাবাহিক প্রক্রিয়া। দীর্ঘদিন চা পাতা তোলার কাজ বন্ধ থাকলে চা গাছও নষ্ট হয়। পাতা না তুললে গাছে নতুন পাতা আসবে না। ফলে লক ডাউনের জন্য চা গাছও নষ্ট হচ্ছে।
চা পাতা তোলার কাজকে সরিয়ে রেখে উত্তরবঙ্গের চা বাগানগুলির হাসপাতালগুলিতে এখন কোয়ারেন্টাইন সেন্টার তৈরির কাজ চলছে। করোনার হানাদারি রুখতে চা মহল্লার অলিগলি বন্ধ বাঁশের ব্যারিকেডে। বাঁশের ব্যারিকেডের মাথায় পোস্টার পড়েছে। পোস্টারে লেখা বাগানে বহিরাগতদের প্রবেশ নিষিদ্ধ।