প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য আসবে। প্রেম প্রণয়ে আগ্রহ বাড়বে। তবে তা বাস্তবায়িত হওয়াতে সমস্যা আছে। ... বিশদ
উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেল তাদের অধীনে থাকা পাঁচটি ডিভিশনের কোচিং ডিপো ও ওয়ার্কশপে ট্রেনের কোচের মধ্যে এই আইসোলশন ওয়ার্ড বানানোর কাজ শুরু করেছে। উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, মোট ৩১৫টি কোচে এই আইসোলেশন ওয়ার্ড তৈরির কাজ অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছে। সর্বাধিক চারটি কোচকে একসঙ্গে যুক্ত করে একটি আইসোলেশন ওয়ার্ড তৈরি করা হচ্ছে। কোথাও আবার শুধুমাত্র একটি কোচ নিয়েই তৈরি হচ্ছে একটি আইসোলেশন ওয়ার্ড। কোথাও আবার দু’টি কোচ নিয়ে একটি আইসোলেশন ওয়ার্ড তৈরির কাজ পুরোমাত্রায় চলছে।
উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের অধীনে আছে আলিপুরদুয়ার, কাটিহার, লামডিম, রঙ্গিয়া ও তিনসুকিয়া, এই পাঁচটি ডিভিশন। এরমধ্যে আলিপুরদুয়ার ডিভিশন ৩০টি কোচকে আইসোলেশন ওয়ার্ড হিসেবে তৈরির লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে। আলিপুরদুয়ার ডিভিশন রবিবার এ খবর দিয়েছে। বাকি ২৮৫টি কোচে আইসোলেশন ওয়ার্ড তৈরির কাজ চলছে উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের কাটিহার, লামডিম, তিনসুকিয়া ও রঙ্গিয়া, এই চারটি ডিভিশনে।
উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক শুভানন চন্দ বলেন, লকডাউনের জন্য এখন ট্রেন চলছে না। করোনা পরিস্থিতির জেরে আগামী দিনে সরকারি হাসপাতালগুলির আইসোলেশন ওয়ার্ডে জায়গা নাও হতে পারে। তাই ভবিষ্যতের কথা ভেবে আমরা ট্রেনের ৩১৫টি কোচকে আইসোলেশন ওয়ার্ড হিসেবে গড়ার কাজ শুরু করেছি। বিভিন্ন ওয়ার্কশপ ও কোচিং ডিপোতে ট্রেনের কোচে এই আইসোলেশন ওয়ার্ডগুলি তৈরি করা হচ্ছে। এরমধ্যেই সেগুলি প্রস্তুত হয়ে যাবে। শুভাননবাবু আরও জানান, মারণ করোনা ভাইরাস গোটা বিশ্বে থাবা বসিয়েছে। অন্যদের মতো করোনার চিকিৎসার কাজে ভারতীয় রেলও সাহায্য করতে চায়। প্রয়োজন অনুসারে পরে উপর মহলের অনুমোদন নিয়ে ট্রেনের এই আইসোলেশন কোচগুলিকে বিভিন্ন জায়গায় পাঠানো হবে করোনা আক্রান্তদের রাখার জন্য।
উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, ট্রেনের কোচে এই আইসোলেশন ওয়ার্ডগুলির তৈরির কাজ চলছে আলিপুরদুয়ার জংশন, কাটিহার, নিউ জলপাইগুড়ি, কামাখ্যা, বঙ্গাইগাঁও, তিনসুকিয়া, মরিয়ানি সহ বিভিন্ন স্টেশনের কোচিং ডিপো ও ওয়ার্কশপে। করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসার লক্ষ্যে ট্রেনের কোচে তৈরি আইসোলেশন ওয়ার্ডগুলিকে দ্রুত ব্যবহারযোগ্য করে তুলতে উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের কর্মীরা এখন দিনরাত কাজ করছেন।