প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য আসবে। প্রেম প্রণয়ে আগ্রহ বাড়বে। তবে তা বাস্তবায়িত হওয়াতে সমস্যা আছে। ... বিশদ
জানা গিয়েছে, বালুরঘাট শহরজুড়ে ২৫টি ওয়ার্ডে ৫০০ জনেরও বেশি প্রবীণ ও অসহায় মানুষ রয়েছে। লকডাউনের মাঝে বাজার করতে যেতে বা ওষুধ আনতে যেতে তাঁদের সমস্যা হচ্ছে। এবার সেই সমস্ত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর কাজ শুরু করেছে যুব তৃণমূল। ইতিমধ্যেই বালুরঘাট পুরসভার সব ওয়ার্ডে এই হেল্পলাইনের নম্বর সম্বলিত কার্ড দেওয়ার কাজ শেষ হয়েছে। শনিবার থেকেই সেই নির্দষ্ট নম্বরে নানা জায়গা থেকে ফোন আসাও শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছে যুব তৃণমূল নেতৃত্ব। সব্জি, চাল, তেল, ওষুধ সহ নানারকম সামগ্রী ফোন করা মাত্রই নির্দিষ্ট স্থানে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে।
এবিষয়ে যুব তৃণমূলের দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা সভাপতি মহেশ পারেখ বলেন, প্রতিটি ওয়ার্ডের যুব নেতাদের উদ্যোগে সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের প্রবীণ নাগরিকদের ওই হেল্প লাইন কার্ড দেওয়া হয়েছে। যাঁদের প্রয়োজন হচ্ছে, তাঁরা ওই হেল্পলাইনে ফোন করলেই আমরা নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী সহ ওষুধ পৌঁছে দিয়ে আসছি। যাঁরা অর্থ দিতে পারছেন, সামগ্রীর বিনিময়ে তাঁদের অর্থ নিচ্ছি। আর যাঁদের কিছু দেওয়ার সামর্থ্য নেই, তাঁদের আমরা বিনামূল্যেই সামগ্রী পৌঁছে দিচ্ছি।
এবিষয়ে জেলা তৃণমূল সভানেত্রী অর্পিতা ঘোষ বলেন, করোনা ভাইরাসের আক্রমণে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে বয়স্ক নাগরিকরাই আক্রান্ত হচ্ছেন। তাই তাঁদের যাতে বেশি বের হতে না হয়, সেই কারণে আমরা হেল্পলাইন কার্ড চালু করেছি। ওই নম্বরে ফোন করলেই আমাদের কর্মীরা খাদ্য সামগ্রী, ওষুধ সহ যাবতীয় সামগ্রী পৌঁছে দিচ্ছেন। শীঘ্রই গঙ্গারামপুরেও এই উদ্যোগ চালু করা হবে। এবিষয়ে সোমবার একটি মিটিং করা হবে।
অন্যদিকে, বিজেপির তরফ থেকেও শহরের অসহায়, দুঃস্থ মানুষদের পাশে দাঁড়াতে নানারকম উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই বিজেপির তরফ থেকে বালুরঘাট শহরের প্রবীণ বাসিন্দাদের ওষুধ পৌঁছে দেওয়ার জন্য হেল্পলাইন নম্বর চালু করা হয়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন ওয়ার্ডের দুঃস্থ ও গরিব মানুষের মধ্যে চাল, ডাল ও আলু বিতরণ করা হয়েছে। গরিবদের মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার দেওয়া হয়েছে।
এবিষয়ে বালুরঘাট টাউন বিজেপি সভাপতি সুমন বর্মন বলেন, আমাদের হেল্পলাইন নম্বরে অনেকেই ফোন করেছেন। আমাদের ছেলেরা প্রয়োজনীয় ওষুধপত্র পৌঁছে দিচ্ছে। আমাদের এই উদ্যোগের ফলে অনেক মানুষ উপকৃত হচ্ছেন।