কর্মরতদের সহকর্মীদের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো থাকবে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা ও ব্যবহারে সংযত থাকা দরকার। ... বিশদ
জানা গিয়েছে, ১৫ থেকে ৪০ বছর পর্যন্ত বয়সীরা এই উৎসবে অংশগ্রহণ করতে পারেন। তবে তৃণমূল স্তরে এই উৎসবকে আরও রঙিন করে তুলতে গত কয়েক বছর ধরে ব্লক ও পুর স্তরের শিশু ও কিশোরদের জন্য বিশেষ কয়েকটি প্রতিযোগিতা আয়োজন করা হয়। ৫ থেকে ১০ বছর এবং ১০ থেকে ১৫ বছর বয়স পর্যন্ত শিশু-কিশোরদের দুটি বিভাগে এই প্রতিযোগিতাগুলি অনুষ্ঠিত হয়। গত বছর থেকে সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা বিভাগে একটি নতুন প্রতিযোগিতা চালু করা হয়েছে যার নাম দেওয়া হয়েছে ‘রাজ্য সরকারের বিভিন্ন জনপরিষেবামূলক প্রকল্পভিত্তিক সৃজনশীল উপস্থাপনা’। রাজ্য সরকারের বিভিন্ন প্রকল্প যেমন কন্যাশ্রী, যুবশ্রী, শিক্ষাশ্রী, সবুজসাথী, খাদ্যসাথী, গতিধারা, স্বাস্থ্যসাথী প্রভৃতি। এগুলি উপস্থাপনার ক্ষেত্রে কেবলমাত্র গান, নাটক ও মূকাভিনয়ের মধ্যে যে কোনও একটি মাধ্যমের সাহায্য নিয়ে অনুষ্ঠান পরিবেশন করতে হবে। কেবলমাত্র ব্লক স্তরের জন্য দুটি বিভাগে রবীন্দ্রসঙ্গীত, নজরুলগীতি, লোকসঙ্গীত, আবৃত্তি, অঙ্কন, নৃত্য ও প্রশ্নোত্তর প্রতিযোগিতা থাকবে। ১৫ থেকে ৪০ বছর বয়স পর্যন্ত প্রতিযোগীদের ২০টি বিষয়ে প্রতিযোগিতা হবে। তারপর জেলাস্তরে এসে আরও ১৩টি বিভাগে সরাসরি প্রতিযোগিতা হবে। এই সরাসরি প্রতিযোগিতার মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন রাজ্যের নৃত্য, বিতর্ক, বাঁশি বাজানো, হারমোনিয়াম ও গীটার বাজানো, দেশাত্মবোধক সঙ্গীত, লোকগান প্রভৃতি।
অরিজিতবাবু বলেন, আমাদের জেলায় ব্লক স্তরে এই প্রতিযোগিতা শুরু হয়ে গিয়েছে ১৬ জানুয়ারি থেকে। প্রতিটি ব্লকে এবং পুরসভা এলাকায় দু’দিন ধরে হচ্ছে এই প্রতিযোগিতা। ১৭-১৮ জানুয়ারি হয়েছে ইংলিশবাজার পুরসভায় এবং পুরাতন মালদহ পুরসভায় হবে ২২-২৩ জানুয়ারি। ব্লক পর্যায়ের প্রতিযোগিতা শেষ হবে ২৪ জানুয়ারি। আগামী ৫-৬ ফেব্রুয়ারি হবে জেলাস্তরের প্রতিযোগিতা। তিনি আরও বলেন, প্রতিযোগিতার পাশাপাশি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে স্থানীয় শিল্পী ও সৃজনশীল প্রতিভাবানদের সুযোগ করে দিতে হবে। এই উৎসবের মধ্য দিয়ে আমাদের জেলা তথা রাজ্যের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের সঙ্গে ছাত্র ও যুবদের পরিচয় ঘটানোই আমাদের লক্ষ্য।