সঠিক বন্ধু নির্বাচন আবশ্যক। কর্মরতদের ক্ষেত্রে শুভ। কর্মক্ষেত্রে বদলির কোনও সম্ভাবনা এই মুহূর্তে নেই। শেয়ার ... বিশদ
দাড়িভিটকাণ্ডের সময় করিম সাহেব তৃণমূলে ছিলেন না। কিন্তু নিহতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করে তাদের সমবেদনা জানিয়ে পাশে থাকার বার্তা দিয়েছিলেন। এখন তিনি তৃণমূলে ফিরেছেন। উপনির্বচনে প্রার্থীও হয়েছেন। কিন্তু নির্বাচনের প্রচারে দাড়িভিট গ্রামে গেলেও নিহতদের পরিবারের কাছে তিনি যাননি। এনিয়ে প্রশ্ন ওঠা স্বাভারবকই ছিল। কিন্তু করিম সাহেবের অকপট জবাব, আমি আগেও দাড়িভিটকাণ্ড নিয়ে বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবি করেছিলাম। এখনও তাই চাইছি। নিহতদের পরিবারের প্রতি আমার সমবেদনা আছে। ওই ঘটনায় ন্যায্য বিচারের দাবিতে আমি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে যাব। রাজ্য সরকার সিআইডির হাতে তদন্ত ভার দিয়েছে। নিহতদের পরিবার সিবিআই তদন্তের দাবি করছে। আমি মুখ্যমন্ত্রীর কাছে বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবি জানাব। নিহতররদের পরিবার কোন দল করে তা আমি দেখব না। তারা যাতে ন্যায্য বিচার পায় তার জন্য যা করার আমি করব। প্রচাবে গিয়ে নিহতদের বাড়িতে কেন যাননি? এই প্রসঙ্গে করিম সাহেব বলেন, তাঁরা বিজেপি করেছে। আর আমি তৃণমূলের প্রার্থী। এদের বাড়ি আগে গিয়েছি। এখন নির্বাচনের সময়। এদের বাড়ি গেলে অন্য পরিস্থিতি তৈরি হতে পারত। তাছাড়া ওখানে কারও বাড়িতেই যাইনি। ওই এলাকায় আমি গাড়ি করে প্রচার করেছি। কিন্তু তাদের প্রতি আমার সহানুভুতি আছে।
এনিয়ে বিজেপি প্রার্থী সৌম্যরূপ মণ্ডল বলেন, দাড়িভিটকাণ্ডের সিবিআই তদন্তের দাবিতে আমরা আনেক আগে থেকেই লড়ছি। এই দাবি দিল্লি পর্যন্ত জানিয়েছি। করিম সাহেব এত দিন পরে দাবি জানানোর কথা বলছে। দাড়িভিট নিয়ে তারা ঘোলা জলে মাছ ধরার চেষ্টা করছেন। নিহত রাজেশ সরকারের বাবা নীলকমল সরকার বলেন, আমরা সিবিআই তদন্তের দাবিতেই অনড় আছি।
প্রসঙ্গত, গতবছর ২০ সেপ্টেম্বর শিক্ষক নিয়োগকে কেন্দ্র করে দাড়িভিট স্কুলে ছাত্র আন্দোলন হয়। গুলিতে দুই ছাত্র নিহত হয়। ঘটনার সিবিআই তদন্তের দাবিতে নিতহদের পরিবার বিভিন্ন জায়গায় হন্যে হয়ে ঘুরেছে। রাজ্য সরকার এই ঘটনার তদন্তভার সিআইডির হাতে দিয়েছে। কিন্তু তদন্ত এখনও সম্পূর্ণ হয়নি। লোকসভা নির্বাচনেও বিজেপি দাড়িভিটকাণ্ডকে ইস্যু করেছিল। বিধানসভা নির্বাচনেও ইস্যু করেছে। তারা শাসকদলকে চাপে ফেলার জন্য বারবার নির্বাচনের প্রচারে দাড়িভিটকে টানছে। কিন্তু শাসক দলের প্রার্থী আবদুল করিম চৌধুরী নিজেই ন্যায্য বিচারের দাবি করায় ইস্যুটি রাজনৈতিক ভাবে অন্য মাত্রা পেয়ে গেল বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। ওই পরিবারের প্রতি করিমসাহেবের সহমর্মিতা তাকে রাজনৈতিক মাইলেজ দেবে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ। তবে বিজেপি একথা মানতে চায়নি। তাদের বক্তব্য, করিম সাহেব শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা করছেন। ওই পরিবারকে ন্যায্য বিচার বিজেপিই দিতে পারে।