সঠিক বন্ধু নির্বাচন আবশ্যক। কর্মরতদের ক্ষেত্রে শুভ। কর্মক্ষেত্রে বদলির কোনও সম্ভাবনা এই মুহূর্তে নেই। শেয়ার ... বিশদ
মাথাভাঙা মহকুমা পশু হাসপাতালের গোটা চত্বর আগাছায় ভরে গিয়েছে। হাসপাতালের নৈশ প্রহরী থাকার কথা থাকলেও বহুদিন ধরে কেউ নেই। হাসপাতালে কমপক্ষে দু’জন চিকিৎসক, একজন ল্যাবরেটরি টেকনিশিয়ান ও পাঁচ জন কর্মীর প্রয়োজন রয়েছে। কিন্তু বর্তমানে একজন মাত্র চতুর্থ শ্রেণীর কর্মী ছাড়া আর কেউ নেই। একজন মাত্র চিকিৎসক এই পশু হাসপাতাল দেখাশুনা করেন। হাসপাতালের নথিপত্রও তাঁকে দেখতে হয়। অফিসের কাজ সামাল দিয়ে পশু চিকিৎসার জন্য তিনি খুব কম সময় দিতে পারেন। গৃহপালিত পশুর চিকিৎসা করাতে এসে ঘুরে যেতে হয় সাধারণ মানুষকে। মাথাভাঙা শহর ও শহর সংলগ্ন পচাগড়, জোরপাটকি গ্রাম পঞ্চায়েতের মানুষ সম্পূর্ণভাবে গৃহপালিত পশুর চিকিৎসার জন্য এই হাসপাতালের উপর নির্ভরশীল। কিন্তু চিকিৎসক না থাকায় তাঁরা গৃহপালিত পশুর সঠিক চিকিৎসা করাতে পারছেন না। বর্তমানে যে চিকিৎসক দায়িত্বে রয়েছেন তিনিও অফিসের নানান কাজে সপ্তাহে তিন দিন আসতে পারেন না।
সোমবার হাসপাতালে গিয়ে দেখা গেল দায়িত্বপ্রাপ্ত চিকিৎসক মানস কুমার পাণ্ডে দপ্তরে বসে রয়েছেন। গৃহপালিত পশুর চিকিৎসা করাতে এসেছেন শহর ও শহর সংলগ্ন এলাকার কয়েকজন বাসিন্দা। তাঁরা সকলেই প্রতিবেদকের কাছে চিকিৎসকের অভাবের কথা জানান। শহরের ১১ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা নন্দন আইচ, ১০ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা বাপী দত্ত, শহর সংলগ্ন ভেরভেরি মানাবাড়ির বাসিন্দা আছিমন বিবি বলেন, সপ্তাহে তিন দিন চিকিৎসক আসেন। কিন্তু পশুর চিকিৎসা ধারাবাহিকভাবে করতে হয়। এনিয়ে আমাদের চরম সমস্যায় পড়তে হয়। কয়েক বছর ধরে এখানে চিকিৎসক না থাকায় আমাদের ব্যাপক সমস্যায় পড়তে হচ্ছে।
এব্যাপারে মহকুমা হাসপাতালের চিকিৎসক মানস কুমার পাণ্ডে বলেন, এখানে মহকুমা হাসপাতালে কম করে দু’জন চিকিৎসক ও একজন ল্যাব অ্যাসিস্ট্যান্ট দরকার। কিন্তু আমাকে বাড়তি দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এভাবে অফিস সামলে চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়া সম্ভব নয়। তারপরও একাজ করতে হচ্ছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ সবই জানে। আমি নিজে বহুবার এবিষয়ে জানিয়েছি। মাথাভাঙা পুরসভার চেয়ারম্যান লক্ষপতি প্রামাণিক বলেন, পশু হাসপাতালে দীর্ঘদিন ধরে চিকিৎসকের সমস্যা চলছে। আমরা এব্যাপারে কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। শুধু গৃহপালিত পশুই নয়, এখানকার ল্যাবে বন্য পশুদের সমস্যা নিয়েও পরীক্ষা করার সুযোগ আছে। কিন্তু কর্মীর অভাবে সেটি চালু নেই। ফলে কোনও পশুপাখি অজানা কারণে মারা গেলেও তা জানার সুযোগ থাকছে না। আমরা এব্যাপারে ফের জানাব।