সঠিক বন্ধু নির্বাচন আবশ্যক। কর্মরতদের ক্ষেত্রে শুভ। কর্মক্ষেত্রে বদলির কোনও সম্ভাবনা এই মুহূর্তে নেই। শেয়ার ... বিশদ
ময়নাগুড়ি ব্লকের এই প্রাণী স্বাস্থ্য কেন্দ্রে একজন চিকিৎসক, একজন ক্লার্ক ও একজন ফার্মাসিস্ট রয়েছেন। সপ্তাহে প্রতিদিন খোলা থাকে এই চিকিৎসা কেন্দ্র। এত বড় এই স্বাস্থ্যকেন্দ্র তিন জনকে চালাতে গিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে। এছাড়া ব্লকে দুটি পশু সহায়তা কেন্দ্র রয়েছে। একটি আমগুড়িতে ও একটি সাপ্টিবাড়িতে রয়েছে। হাসপাতাল সূত্রে খবর, সপ্তাহের কোনও কোনও দিন ওই সহায়তা কেন্দ্র থেকেও ব্লক প্রাণী স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসক নিয়ে আসতে হয়। বহু পুরাতন এই প্রাণী স্বাস্থ্যকেন্দ্রে অপারেশন থিয়েটার নেই। বছরের বেশিরভাগ সময়েই ওষুধ পাওয়া যায় না। প্রাণীদের চিকিৎসা করাতে আসা লোকজনদের বসার কোনও ব্যবস্থা নেই। হাসপাতালের দেওয়ালের সিমেন্ট খসে পড়ছে। কত বছর ধরে যে এই হাসপাতাল রং হয় না তা বলা মুশকিল। পাশাপাশি চতুর্দিক নোংরা আবর্জনায় ভরে গিয়েছে। হাসপাতালে গোবর পরীক্ষা করার মাইক্রোস্কোপও তিন মাস ধরে বেহাল হয়ে রয়েছে। যা নিয়েও তৈরি হয়েছে সমস্যা।
ময়নাগুড়ি ব্লক প্রাণী স্বাস্থ্যকেন্দ্রের চিকিৎসক দিলীপ কুমার পাত্র বলেন, এই হাসপাতালের চাপ সামলাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। একদিকে ডাক্তারের কাজ করতে হচ্ছে, অপর দিকে স্টক রেজিস্ট্রার খাতা আমাকেই দেখতে হচ্ছে। আর ওষুধের ব্যাপারটা হল যখন রাজ্যে বাজেট হয় তখন রাজ্য থেকে প্রত্যেকটা জেলায় একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ ওষুধ পাঠায়। জেলা থেকে ব্লকগুলিতে এই ওষুধ বিতরণ করা হয়। এখন যে পরিমাণ ওষুধ আসে তা সত্যি যথেষ্ট নয়। সেজন্যই ৪ থেকে ৫ মাসের পর আমাদের চিকিৎসা কেন্দ্রে ওষুধ পাওয়া যায় না। মানুষজনদের রাগ হওয়া স্বাভাবিক। অপর দিকে মাইক্রোস্কোপ নষ্ট হয়ে রয়েছে তিন মাস ধরে। এনিয়ে আমি আমার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। আমাদের এই স্বাস্থ্য কেন্দ্রে অপারেশন থিয়েটার নেই ঠিক। কিন্তু অপারেশন টেবিল রয়েছে, সেখানেই অপারেশন করা হয়।
এই স্বাস্থ্য কেন্দ্র টি ময়নাগুড়ি ব্লকের প্রধান প্রাণী স্বাস্থ্য কেন্দ্র। প্রচুর গরিব লোকজন তাদের গৃহপালিত পশু এই স্বাস্থ্য কেন্দ্রে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসেন। কিন্তু বছরের সাত থেকে আট মাস কার্যত কোনও ওষুধই পাওয়া যায় না। ফলে গবাদিপশুর চিকিৎসা নিয়ে বাসিন্দাদের সমস্যায় পড়তে হয়।