পড়শির ঈর্ষায় অযথা হয়রানি। সন্তানের বিদ্যা নিয়ে চিন্তা। মামলা-মোকদ্দমা এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। প্রেমে বাধা।প্রতিকার: একটি ... বিশদ
এনবিএসটিসি’র চেয়ারম্যান মিহির গোস্বামী বলেন, পুরনো বাসগুলিকে আমরা এবার বাতিল করতে চাইছি। মূলত তৃতীয় প্রজন্ম, চতুর্থ প্রজন্মের বাসগুলিকে আমরা বাতিল করতে চাইছি। এদিকে পাঁচ বছরের বেশি পুরনো বাস যাতে রাস্তায় না চলে সেটাও নিশ্চিত করতে চাইছে সরকার। স্বল্প দিনের মধ্যে আমরা এনিয়ে মূল্যায়ন করব। আগামী এক বছরের মধ্যে আমরা ধাপে ধাপে এই ধরনের বাসগুলিকে বাতিল করে দেব। ইতিমধ্যেই আমরা ৪৮টি পুরনো বাস বাতিল করেছি। অন্যদিকে এদিন নিগমের বাজেট এস্টিমেট নিয়েও আলোচনা হয়েছে। নিয়োগ ‘পলিসি’ ও পদোন্নতির ‘পলিসি’ চালু করার ব্যাপারেও সিদ্ধান্ত হয়েছে। সরকারের কাছে এগুলি অনুমোদনের জন্য পাঠানো হবে। এবার থেকে স্থায়ী কর্মীদের সম্পত্তি কত রয়েছে তা ঘোষণা করতে হবে। তবে পাহাড়ে যাঁরা কাজ করছেন তাঁদের হাজার টাকা করে এবার অতিরিক্ত ভাতা দেওয়া হবে।
নিগম সূত্রে জানা গিয়েছে, বিএস-৬ পর্যায়ের গাড়ি ইতিমধ্যেই রাস্তায় নেমেছে। এদিকে পাঁচ বছরের বেশি পুরনো বাস যাতে রাস্তায় না নামে সেব্যাপারে রাজ্য পরিবহণ দপ্তর থেকেও নিগমকে বলা হচ্ছে। নিগমের কিছু বাস যথেষ্ট লজ্ঝড়ে হয়ে গিয়েছে। সেগুলিকে অবিলম্বে বাতিল করা হবে। পাশাপাশি বিএস-৩ পর্যায়ের যে বাসগুলি পাঁচ বছরের বেশি বয়স হয়ে গিয়েছে সেগুলিকে ধাপে ধাপে রাস্তা থেকে তুলে নেওয়ার ব্যাপারে পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। কোন ডিপোতে এই ধরনের গাড়ি কত রয়েছে তা মূল্যায়নের ব্যাপারে নির্দেশ পাঠানো হবে। সেই মূল্যায়নের তালিকা ধরে ধাপে ধাপে পুরনো বাসগুলিকে রাস্তা থেকে তুলে নেওয়া হবে। সেগুলিকে নিলামে বিক্রি করে দেওয়া হবে। নিগমের আধিকারিকদের একাংশের মতে, এবার অত্যাধুনিক বাস আনা হবে। এক্ষেত্রে একদিকে যেমন যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্য বাড়বে, তেমনি দূষণের মাত্রাও কমবে। অত্যাধুনিক বাস পরিষেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে এবার নজির তৈরি করতে চাইছে নিগম। ইতিমধ্যেই ৪৮টি পুরনো বাসকে বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে। তবে যে বাসগুলিকে বাতিল করে বিক্রি করা হবে সেই জায়গায় নতুন বাস আনারও উদ্যোগ নেওয়া হবে। বাসের যাতে কোনও সংকট না হয় সেটাও গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে।
নিগম সূত্রে জানা গিয়েছে, ৯০’র দশকের মাঝামাঝি থেকে নিগমে সুনির্দিষ্ট নিয়োগ নীতি ছিল না। নিয়োগের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা আনার জন্য নির্দিষ্ট পলিসি চালু হবে। পাশাপাশি পদোন্নতির ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট নীতি করা হচ্ছে। দুটি ক্ষেত্রেই এদিন বোর্ড অনুমোদন দিয়েছে। অন্যদিকে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে নিগমের কর্মী আধিকারিকরা তাঁদের সম্পত্তির পরিমাণ ঘোষণা করেন না। তবে এবার নিগমের প্রত্যেক স্থায়ী কর্মী ও আধিকারিককে তাঁর সম্পত্তির পরিমাণ বছরের শুরুতেই ঘোষণা করার বিষয়টি বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে। এদিন ২০১৯-২০ আর্থিক বছরের বাজেট বরাদ্দ নিয়েও আলোচনা হয়েছে। এবার পরিকল্পনাখাতে ৩১ কোটি টাকা ও অপরিকল্পিত খাতে প্রায় ১৭৭ কোটি ৬৪ লক্ষ টাকার বাজেট বরাদ্দ ধরা হয়েছে। অ্যাকশন প্ল্যানের জন্য ৭৬ কোটি ৩০ লক্ষ টাকা বাজেটে ধরা হয়েছে।