পড়শির ঈর্ষায় অযথা হয়রানি। সন্তানের বিদ্যা নিয়ে চিন্তা। মামলা-মোকদ্দমা এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। প্রেমে বাধা।প্রতিকার: একটি ... বিশদ
দক্ষিণ ধুমপাড়ার দুর্গা সাও ও নির্মলা মাঝি বলেন, হাতির অত্যাচারে খেত থেকে সব্জি তোলা যাচ্ছে না। সবকিছু খেয়ে, পা দিয়ে মাড়িয়ে নষ্ট করে দিচ্ছে। হাতির আতঙ্ক গ্রামে এতটাই চেপে বসেছে যে আমরা সন্ধ্যা হলেই দ্রুত রান্নাবাড়ি সেরে ঘরে ঢুকে যাই। স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য বিজেপি’র মদন ছেত্রি বলেন, কয়েকটা গ্রামের বাসিন্দারা হাতির আতঙ্কে রাত জেগে কাটাচ্ছে। উত্তর ধুমপাড়ার কৃষকরা হাতির ভয়ে চাষাবাদ করাই ছেড়ে দিয়েছেন। দক্ষিণ ধুমপাড়ায় কয়েক হাজার বিঘার চাষ বাঁচানো সম্ভব হচ্ছে না। গত এক মাসে ৮০টি বাড়ি ভেঙে দিয়েছে। সকলেই দিনে কাজ করে রাতভর হাতি তাড়ায়। এভাবে চলতে থাকলে মানুষ বাঁচবে কী করে। আমরা চাই প্রশাসন বিষয়টি দেখুক। বনদপ্তরের নাথুয়া রেঞ্জের রেঞ্জ অফিসার কৃষ্ণপদ রায় বলেন, আমাদের কর্মী কম সহ নানা কারণে হাতি তাড়াতে যেতে পারছি না। তবে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলিকে সরকারি নিয়মানুযায়ী ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। এখন তিনটি হাতি গ্রামে ঘুরে বেড়াচ্ছে। একটি পুরুষ এবং দুটি স্ত্রী হাতি। কীভাবে এই হাতির হানা বন্ধ করা যায় তা আমরা দেখছি।
ধুমপাড়ার একপাশে গয়েরকাটা ফরেস্ট অন্যপাশে ডায়না ফরেস্ট। এই হাতির দলটি কখনও গয়েরকাটা কখনও ডায়না জঙ্গল থেকে বেরিয়ে আসে। এই এলাকাটি ব্লকের মধ্যে কৃষি অধ্যুষিত। বাসিন্দাদের প্রধান জীবিকা কৃষিকাজ। কিন্তু গত দুই মাস ধরে তিনটি হাতির তাণ্ডবে কৃষকরা দিশাহারা হয়ে পড়েছেন।
অন্যদিকে, রবিবার রাতে নাগরাকাটা ব্লকে দু’টি স্কুল ঘর ভেঙে মিড ডে মিলের চাল ডাল খেয়ে নিয়েছে একটি হাতি। এই ঘটনায় দু’টি এলাকাতেই আতঙ্ক ছড়িয়েছে। একটি ঘটনা ঘটেছে আংরাভাসা গ্রাম পঞ্চায়েতের হৃদয়পুরের ঠাকুর লাইনে এবং অন্যটি সুলকাপাড়া পঞ্চায়েতের খাসবস্তি নেপালি প্রাথমিক স্কুল। আংরাভাসার ওই স্কুলটিতে ডায়না জঙ্গল থেকে হাতিটি রাত ১১টায় বের হয়ে হামলা চালায়। খাসবস্তিতে গোরুমারা জঙ্গল থেকে রাত ১০টা নাগাদ একটি দাঁতাল হাতি বের হয়ে দুই ঘণ্টা ধরে তাণ্ডব চালিয়ে মিড ডে মিলের চাল ডাল খেয়ে নষ্ট করে দেয়।