পড়শির ঈর্ষায় অযথা হয়রানি। সন্তানের বিদ্যা নিয়ে চিন্তা। মামলা-মোকদ্দমা এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। প্রেমে বাধা।প্রতিকার: একটি ... বিশদ
জলপাইগুড়ি সদর ব্লকের ভূমি ও ভূমি সংস্কার দপ্তরের রেভিনিউ অফিসার রাজিবুর রহমান বলেন, ট্রাক টার্মিনাসের জন্য এদিন বালাপাড়ায় ৬.৯৩ একর জমি চিহ্নিত করতে গিয়েছিলাম। কিন্তু স্থানীয় বাসিন্দাদের বাধায় সেই জমি চিহ্নিত করা যায়নি। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দপ্তরের ২০ কোটি টাকা বরাদ্দে জলপাইগুড়িতে ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে একটি অত্যাধুনিক ট্রাক টার্মিনাস তৈরির সিদ্ধান্ত হয়েছে। মাসখানেক আগে সার্কিট হাউসে এনিয়ে বৈঠকও হয়। প্রশাসনের নির্দেশে এদিন ওই ট্রাক টার্মিনাসের জন্য জমি চিহ্নিত করতে আধিকারিকরা বালাপাড়ায় গিয়েছিলেন। বছরখানেক আগেও ওই এলাকায় জলপাইগুড়ি পুরসভার বায়োগ্যাস প্রকল্পের জন্য জমি চিহ্নিত করতে গেলে স্থানীয় বাধায় সেই প্রকল্প সরিয়ে নিতে বাধ্য হয়েছিল কর্তৃপক্ষ। বালাপাড়া সংলগ্ন বিবেকানন্দপল্লির বাসিন্দারা এদিন তৃণমূলের পতাকা নিয়ে মাঠে নেমেছিলেন। স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য তৃণমূলের অমিত মণ্ডল আন্দোলনে নেতৃত্ব দেন। অমিতবাবু বলেন, ওই জমি ২০১৮ সালে মুখ্যমন্ত্রী নিজে এসে গরিব মানুষকে পাট্টা হিসাবে দিয়েছিলেন। কেউ কেউ ওই খাস জমি দীর্ঘদিন চাষাবাদ করে সংসার প্রতিপালন করছেন। তিন ফসলি এই উর্বর জমি জোর করে কৃষকদের কাছ থেকে কেড়ে নেওয়া যাবে না। আমরা এখানে চাষিদের জন্য আন্দোলনে শামিল হয়েছি। তবে ক্ষতিপূরণ পেলে কী চাষিরা জমি ছেড়ে দেবেন? উত্তর তিনি বলেন, চাষিরা স্বেচ্ছায় জমি না দিলে কখনও কোথাও জমি নেওয়া যাবে না।
ভূমি ও ভূমি সংস্কার দপ্তরের আধিকারিক, উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দপ্তরের আধিকারিক ও পুলিস আধিকারকরা এদিন দুপুরে ঘটনাস্থলে যান। সেখানে জমি মাপজোকের কাজ শুরু করার আগেই শাসক দলের ঝান্ডাধারীরা আধিকারিকদের বলে, আপনারা জমিতে কেউ নামবেন না। বহু মহিলা শিশু সহ চাষি আন্দোলনে শামিল হওয়ায় প্রশাসন এদিন বাধা এড়িয়ে মাপজোক করার চেষ্টা করেনি। প্রায় বছরখানেক আগে পুরসভার প্রকল্পের জন্য খড়িয়ার বিবেকানন্দপল্লির বাসিন্দারা একই কায়দায় আন্দোলন করে বায়োগ্যাস প্রকল্প হতে দেয়নি। এবারে ট্রাক টার্মিনাসের জন্য প্রস্তাবিত ওই জমি না পেলে সেই প্রকল্প রূপায়ণেও অনিশ্চয়তা দেখা দিতে পারে। স্থানীয় চাষি ভবেশ রায়, রণজিৎ মণ্ডলরা বলেন, চাষাবাদ বন্ধ হয়ে গেলে আমাদের পথে বসতে হবে। যদিও দলের পতাকা নিয়ে এধরনের আন্দোলনকে বেআইনি আখ্যা দিয়েছেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি সৌরভ চক্রবর্তী। তিনি বলেন, সরকারি জমিতে উন্নয়নের কাজে কেউ বাধা দিতে পারে না। যদি কারও কোনও বক্তব্য থাকে সেটা তিনি লিখিতভাবে প্রশাসনকে জানাতে পারেন। তবে দলের পতাকা নিয়ে কেউ সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার মতো আন্দোলন করলে তাঁর বিরুদ্ধে দল কড়া ব্যবস্থা নেবে।