বিদ্যার্থীদের বেশি শ্রম দিয়ে পঠন-পাঠন করা দরকার। কোনও সংস্থায় যুক্ত হলে বিদ্যায় বিস্তৃতি ঘটবে। কর্মপ্রার্থীরা ... বিশদ
এবার সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ যে প্রশ্নটি করা হবে, তা হল কোন ধরনের শস্য খাওয়া হয় বাড়িতে। অর্থাৎ রুটি, ভাত নাকি অন্য কিছু। জানা যাচ্ছে, ভারতবাসীর খাদ্যাভ্যাস বদলে যাচ্ছে কি না, সেটা জানতে চাইছে সেন্সাস বিভাগ। গতকাল এনপিআর এবং সেন্সাস সংক্রান্ত প্রশ্নাবলীর চূড়ান্ত সংশোধনী প্রকাশ করা হয়েছে। এই প্রশ্নাবলি নিয়েই আগামী এপ্রিল থেকে শুরু হবে এনপিআর। সরকারি সূত্রের খবর, তার আগেই আইনজ্ঞদের সঙ্গে কেন্দ্রীয় আইন মন্ত্রক কথা বলছে। কারণ, আর দু’মাস পর থেকেই আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হবে এনপিআর ও সেন্সাসের কাজ। এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বর হবে এনপিআরের তথ্য সংগ্রহ। ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে হবে সেন্সাস। কোনও রাজ্য যদি এনপিআর প্রক্রিয়ায় অংশ না নেয় কিংবা এই প্রক্রিয়ায় বাধা সৃষ্টি করে, তা হলে আইনগতভাবে কীভাবে অগ্রসর হওয়া যায়, সেই রাস্তা আগে থেকেই খুঁজে বার করতে উদ্যোগী হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। এই মর্মে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক আইন মন্ত্রককে বলেছে, বিশিষ্ট ও অভিজ্ঞ আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বলতে। পশ্চিমবঙ্গ, কেরল জানিয়েছে তারা সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন চালু করবে না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এনপিআরের তথ্যপ্রদানেও রাজি নয়। এই কারণে আগে থেকেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক প্রস্তুতি নিচ্ছে। যাতে এনপিআর ও সেন্সাস নিয়ে কোনও সমস্যা না হয়। সেন্সাস প্রক্রিয়া ব্রিটিশ ভারত থেকেই চলছে। বস্তুত দেশভাগ হওয়ার অন্যতম এক মাপকাঠিও ছিল ১৯৪১ সালের সেন্সাসের হিসেব। কিন্তু সেন্সাসের সঙ্গে এনপিআর ব্যবস্থা চালু হয় ২০১০ সালে। সেই এনপিআর প্রক্রিয়ায় কোনও বাড়ির বাসিন্দার পিতামাতা কোথা থেকে এসেছেন এবং এই বাড়িতে কবে থেকে বাস করছেন এই প্রশ্ন ছিল না। এবার এই প্রশ্নও অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। এনআরসি নিয়ে তোলপাড় দেশ। তার মধ্যেই এই প্রশ্ন ঘিরেও তাই বিতর্ক শুরু হয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, এনআরসির শুরু করারই প্রস্তুতি হল এনপিআর। তাই তাঁর আহ্বান, এনপিআর নিয়ে কোনও বিতর্কিত তথ্যই যেন দেওয়া না হয়।