বিদ্যার্থীদের ক্ষেত্রে আজকের দিনটা শুভ। কর্মক্ষেত্রে আজ শুভ। শরীর-স্বাস্থ্যের ব্যাপারে সতর্ক হওয়া প্রয়োজন। লটারি, শেয়ার ... বিশদ
জিএসটি বাবদ কম আদায় হলে, কোনও রাজ্যের যতটুকু রাজস্ব ক্ষতি হবে, তা পূরণ করার দায়িত্ব কেন্দ্রীয় সরকারের। সেস বাদ যে আদায় হয় কেন্দ্রের, তার থেকেই ওই ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা। কিন্তু তারা সময়মতো সেই টাকা দেয় না, এমন অভিযোগ উঠেছিল আগেই। এদিন একটি বণিকসভার অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে অমিত মিত্র বলেন, যেভাবে কেন্দ্রের সেস আদায় কমছে, তাতে ফেব্রুয়ারি এবং মার্চ মাসের জন্য জিএসটি বাবদ যে ক্ষতিপূরণ রাজ্যগুলির পাওয়ার কথা, তা পাওয়া যাবে না বলেই আশঙ্কা হচ্ছে। অমিতবাবুর কথায়, জিএসটি বাবদ কেন্দ্রীয় সরকারের থেকে ক্ষতিপূরণ পাওয়া আমাদের সাংবিধানিক অধিকার। কিন্তু যেভাবে কেন্দ্রের সেস আদায় কমেছে, তার দায় আমাদের নিতে হবে বলেই মনে হচ্ছে। অথচ ২০১৩-১৪ অর্থবর্ষ থেকে এখনও পর্যন্ত কেন্দ্রীয় সরকার সেসের হার ছ’শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১৮ শতাংশ করেছে বলে জানিয়েছেন অমিতবাবু।
কেন্দ্রীয় সরকার যেভাবে হুড়োহুড়ি করে জিএসটি চালু করেছে, তার বিরোধিতা করেছিল রাজ্য সরকার। এদিনও অমিতবাবু মনে করিয়ে দেন, সঠিক পরিকাঠামো না গড়েই জিএসটি চালুর খেসারত দিতে হচ্ছে কেন্দ্রকে। কেন্দ্রীয় সরকার নিজেই জানিয়েছে, ৪৪ হাজার কোটি টাকার জিএসটি প্রতারণা হয়েছে। অন্যদিকে ‘জিএসটিআর থ্রি বি’ ফাইল করার ক্ষেত্রে বিলম্ব হওয়ায় সরকারের পেনাল্টি বাবদ যে ৪৬ হাজার কোটি টাকা আদায় হওয়ার কথা ছিল, তাও তারা আদায় করতে পারেনি। অমিতবাবুর আশঙ্কা, রাজ্য সরকারের রাজস্ব আদায় কম হওয়ার কারণে তাঁদের ১১ হাজার কোটি টাকা ক্ষতির মুখে পড়তে হতে পারে। সেক্ষেত্রে রাজ্যের জন্য তা অত্যন্ত সমস্যার।
এদিন দেশের আর্থিক পরিস্থিতির খারাপ হাল নিয়ে সরব হন অমিতবাবু। তিনি বলেন, সামাজিক শ্রীবৃদ্ধির নিরিখে যে সূচক, সেই গ্লোবাল সোশ্যাল মবিলিটি ইনডেক্সে ৮২টি দেশের মধ্যে ভারতের স্থান ৭৬। এমনকী সোশ্যাল ডেমোক্রেসি ইনডেক্সেও ভারতের পদস্খলন হয়েছে। ১১ বছরে দেশের আর্থিক বৃদ্ধির হার সবচেয়ে কম। এই বিষয়গুলিতে বিনিয়োগকারীরা ভারতের প্রতি আস্থা হারাবেন বলে মনে করেন অমিতবাবু।