মাঝে মধ্যে মানসিক উদ্বেগের জন্য শিক্ষায় অমনোযোগী হয়ে পড়বে। গবেষণায় আগ্রহ বাড়বে। কর্মপ্রার্থীদের নানা সুযো ... বিশদ
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শুক্রবার মেয়ো রোডে এক সভায় পেঁয়াজের দাম বাড়ার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারকে দায়ী করেছেন। তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় সরকারের জন্য দাম বেড়েছে। রাজ্য সরকারের তরফে কেন্দ্রের কাছে ২০০ টন পেঁয়াজ চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু দেওয়া হয়েছে মাত্র ২০ টন পেঁয়াজ। যা দেওয়া হয়েছে তাও পচা।
কৃষি বিপণন দপ্তর সুফল বাংলার স্টলের মাধ্যমে কেজিতে প্রায় ৪৫- ৫০ টাকা ভর্তুকি দিয়ে পেঁয়াজ বিক্রি করছে। পাইকারি খোলাবাজার থেকে সরকারকে পেঁয়াজ কিনতে হচ্ছে। এদিনও প্রতি কেজি পেঁয়াজের পাইকারি বাজারে দাম ছিল ৯০ থেকে ১০৫ টাকা। সরকারি সূত্রে খবর, মিশর থেকে যে পেঁয়াজ আসছে তার মুম্বই বন্দরে নামার পর কেজি প্রতি ৫৫ টাকার মতো দাম থাকবে। পরিবহণ খরচ যুক্ত হয়ে কলকাতায় দাম ৬৫ টাকার আশপাশে পড়ে যাবে। ওই পেঁয়াজ দিতে পারলে সরকারের অনেকটাই আর্থিক সাশ্রয় হবে। কেন্দ্রীয় সরকারি সংস্থা এমএএমটিসি বিদেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানি করছে। আমদানি করা পেঁয়াজ রাজ্যগুলিকে সরবরাহ করবে আর এক কেন্দ্রীয় সরকারি সংস্থা নাফেড। মিশর থেকে প্রায় ৬ হাজার টন পেঁয়াজ নিয়ে আসা হচ্ছে। রাজ্য সরকার আগামী চার সপ্তাহ ধরে প্রতি সপ্তাহে ২০০ টন করে মোট ৮০০ টন পেঁয়াজ পাওয়ার আশা করছে। এমএএমটিসি দ্বিতীয় পর্যায়ে তুরস্ক থেকে ১১ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানি করার বরাত দিয়েছে। ডিসেম্বরের শেষ থেকে জানুয়ারি মাসে তুরস্কের পেঁয়াজ এসে যাবে ভারতে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা গত ২০ নভেম্বর সব মিলিয়ে ১ লক্ষ ২০ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
তবে জানুয়ারি মাসে আরও বেশি পরিমাণে আমদানি করা পেঁয়াজ আসতে শুরু করলেও ওই সময় মহারাষ্ট্র সহ অন্যান্য রাজ্য থেকে পেঁয়াজের জোগান অনেকটা বেড়ে যাবে বলে আশা করছে সংশ্লিষ্ট মহল। কারণ ওই সময়ের মধ্যে নতুন পেঁয়াজ প্রচুর পরিমাণে উঠতে থাকবে। ফেব্রুয়ারি মাসের পর থেকে রাজ্যে উৎপাদিত নতুন পেঁয়াজও বাজারে আসতে শুরু করবে। আর জোগান বাড়লেই দাম কমবে। গত ফেব্রুয়ারি-মার্চ মাসে কলকাতার পাইকারি বাজারে ৪০ কেজির পেঁয়াজের বস্তা মাত্র ২০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। অর্থাৎ পাইকারি বাজারে তখন এক কেজি পেঁয়াজের দাম ছিল পাঁচ টাকা। ওই সময় খুচরো বাজারে ১০-১৫ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে।
এদিনও কলকাতায় খুচরো বাজারে ১২০ থেকে ১৪০ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে। খুচরো বিক্রেতারা এখন একশো গ্রামের হিসেবে পেঁয়াজ বেচছেন। ভিন রাজ্য থেকে পেঁয়াজের জোগান খুব কম। হাতে গোনা কয়েকটি লরি আসছে পাইকারি বাজারগুলিতে।