শরীর-স্বাস্থ্যের প্রতি নজর দেওয়া প্রয়োজন। কর্মক্ষেত্রে উন্নতির সম্ভাবনা। গুপ্ত শত্রুতার মোকাবিলায় সতর্কতা প্রয়োজন। উচ্চশিক্ষায় বিলম্বিত ... বিশদ
পড়ুয়াদের কোনও মানসিক সমস্যা সমাধানের জন্য একসময় মনোবিদ নিয়োগ করেছিল বিশ্ববিদ্যালয়। কর্তৃপক্ষের মতে, ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে এমন বহু পড়ুয়াই আছেন, যাঁরা পড়ার চাপে ভেঙে পড়েন। নার্ভাস হয়ে যান। আবার ব্যক্তিগত কারণে অবসাদে ভুগছেন, এমন ছাত্রছাত্রীও আছেন। সেই রকম পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠতে মনোবিদ প্রয়োজন। তবুও বিশ্ববিদ্যালয় জানতে পেরেছে, কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে বহু পড়ুয়াই অবসাদে ভুগছেন। কারও মধ্যে আবার আত্মহত্যা করার প্রবণতাও লক্ষ করা গিয়েছে। এমন পরিস্থিতি কেন হল, তা জানতে চাইছে কর্তৃপক্ষ। উপাচার্য সৈকত মৈত্র বলেন, কার কী সমস্যা রয়েছে, তা আমাদের জানা দরকার। কার সমস্যা কতটা গভীরে, তা বিচার করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
রেজিস্ট্রারের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ব্যক্তিগত অবসাদের পাশাপাশি কোনও রকম অভাব-অভিযোগ ইত্যাদি থাকলেও উপাচার্যের অফিসে জানানো যাবে। পরামর্শ চাইলে তাও দেওয়া হবে। প্রতি শনিবার পড়ুয়ারা এসব ফোনে জানাতে পারবেন। ফোন নম্বর ৬২৯০৬২২৪৩৩। বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তাদের বক্তব্য, পড়ুয়াদের মধ্যে এখন আত্মহত্যা করার মারাত্মক প্রবণতা লক্ষ করা যাচ্ছে। লেখাপড়ার চাপ সামলাতে না পেরে কিংবা ব্যক্তিগত কোনও কারণে হোক না কেন, নিমেষে নিজেকে শেষ করে দেওয়ার চল শুরু হয়েছে। বেশ কয়েকটি আইআইটি’তে এমন ঘটনা ঘটেছে। আমাদের এখানেও শিক্ষকরা পড়ুয়াদের মধ্যে সেরকম অস্বাভাবিক আচরণ লক্ষ করেছেন। আমরা চাই যে কোনও সমস্যার কথা যেন আগাম জানানো হয়। তা সমাধানের জন্য সাহায্য করা হবে। হতাশা থেকে কোনও বড় পদক্ষেপ করার আগে তা কাটিয়ে ওঠার উপায় বাতলে দেওয়া হবে।
জানা গিয়েছে, উপাচার্যের এই দলে মনোবিদ, শিক্ষক প্রমুখদের রাখা হবে। তবে যেভাবে ছাত্রছাত্রীদের সমস্যা জেনে এবং তার সমাধান জানাতে নিজেইে এগিয়ে এসেছেন উপাচার্য, তা একপ্রকার নজিরবিহীন বলেই মনে করছে শিক্ষামহল। তবে যেহেতু পুরোটাই ফোনে জানাতে হবে, সেক্ষেত্রে হরিণঘাটা ক্যাম্পাসে কাউকে দৌড়ে যেতে হবে না। পরিস্থিতি অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট প্রার্থীকে আসতে বলা হতে পারে।