কর্মরতদের ক্ষেত্রে শুভ। উপার্জন ভাগ্য ভালো। কর্মে উন্নতির যোগ আছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা মিলবে। ব্যবসা ... বিশদ
চলতি সপ্তাহের গোড়ায় গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে ঝড়-বৃষ্টি হতে পারে বলে আবহাওয়া অফিস জানিয়েছিল। তবে এদিন বেশ কয়েকটি জেলায় বজ্রগর্ভ মেঘ তৈরি হলেও বড় মাত্রায় ঝড়-বৃষ্টি হয়নি। কলকাতা ও সংলগ্ন এলাকায় সতর্কবার্তা জারি করা হলেও শেষ পর্যন্ত কিছু হয়নি।
বঙ্গোপসাগর থেকে বায়ুমণ্ডলে জলীয় বাষ্প ঢোকার পরিমাণ বেড়ে গিয়েছে। এই কারণে তাপমাত্রা খুব বেশি না বাড়লেও ভ্যাপসা গরম হচ্ছে। বজ্রগর্ভ মেঘ তৈরি হওয়ার অন্যতম শর্তই হল বায়ুমণ্ডলে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বৃদ্ধি। উচ্চচাপ বলয় বা বিপরীত ঘূর্ণাবর্তের প্রভাবে এটা হয়। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বঙ্গোপসাগরে এই ধরনের কোনও সক্রিয় সিস্টেম তৈরি না হলেও জলীয় বাষ্প বেশি পরিমাণে ঢুকছে। এটি আগামী দিনে আরও বাড়বে বলেই মনে করছেন আবহাওয়াবিদরা। বজ্রগর্ভ মেঘ সৃষ্টি হওয়ার জন্য দক্ষিণবঙ্গ বা দক্ষিণবঙ্গ সংলগ্ন ঝাড়খণ্ডের উপর নিম্নচাপ, ঘূর্ণাবর্ত বা নিদেনপক্ষে নিম্নচাপ অক্ষরেখা তৈরি হওয়া দরকার। শুক্রবার দক্ষিণবঙ্গে একটি নিম্নচাপ অক্ষরেখা তৈরি হতে পারে বলে আলিপুর আবহাওয়া অফিসের অধিকর্তা গণেশ দাস জানিয়েছেন।
ফেব্রুয়ারি মাসের শেষ থেকে শুরু হয়ে মার্চ মাস পর্যন্ত গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ বা দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে বেশ কয়েক দফায় জোরালো কালবৈশাখী হয়েছে। এপ্রিলের গোড়ায় উত্তরবঙ্গে কয়েকটি জোরালো ঝড়-বৃষ্টি হয়েছে। কিন্তু এমাসে দক্ষিণবঙ্গে বড় ধরনের কিছু এখনও হয়নি। এপ্রিল এবং মে এই দু’মাস কালবৈশাখীপ্রবণ। জুন মাসে বর্ষা আসার আগে বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষেত্রে অনেক আগে থেকেই নির্দিষ্ট পূর্বাভাস দেওয়া যায়। কিন্তু কালবৈশাখীর ক্ষেত্রে তা করা যায় না। এক-দু’দিন আগে বড়জোর কালবৈশাখীর সম্ভাবনার ইঙ্গিত দেওয়া যেতে পারে। বজ্রগর্ভ মেঘ তৈরি হওয়ার পর কোন এলাকায় ঝড়-বৃষ্টি হতে পারে, তার সতর্কবার্তা জারি করে আবহাওয়া দপ্তর। এটা বড়জোর দু’-তিন ঘণ্টা আগে জানানো হয়। অনেক সময় বজ্রগর্ভ মেঘ তৈরি হলেও তার থেকে ঝড়-বৃষ্টি হয় না। ফলে কালবৈশাখীর মরশুমে ঝড়-বৃষ্টির পূর্বাভাস বাস্তবায়িত হওয়ার ক্ষেত্রে কিছুটা অনিশ্চয়তা থাকে, তা মানছেন আবহাওয়াবিদরা।
তবে এপ্রিল মাসে এখনও পর্যন্ত তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি তৈরি হয়নি দক্ষিণবঙ্গে। পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলিতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি ছোঁয়নি। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রির উপরে গিয়ে স্বাভাবিকের থেকে অন্তত পাঁচ ডিগ্রি বেশি হলে তাপপ্রবাহ পরিস্থিতি তৈরি হয়। মাঝে মাঝে বজ্রমেঘ তৈরি হওয়ার জন্য তাপমাত্রা বাড়ছে। কলকাতা ও সংলগ্ন এলাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৩-৩৪ ডিগ্রির মধ্যেই থাকছে, যা মোটামুটি স্বাভাবিকের আশপাশে রয়েছে। আকাশ আংশিক মেঘাচ্ছন্ন হওয়াই এর অন্যতম কারণ।