পড়শির ঈর্ষায় অযথা হয়রানি। সন্তানের বিদ্যা নিয়ে চিন্তা। মামলা-মোকদ্দমা এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। প্রেমে বাধা।প্রতিকার: একটি ... বিশদ
২০১৫ সালে সরকারি কর্মীদের লিভ ট্রাভেল কনসেশন (এলটিসি) নিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করে অর্থ দপ্তর। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশেই বাঙালি সরকারি কর্মীদের বিদেশ যাত্রার সুযোগ করে দিতে অভিনব নির্দেশিকা প্রকাশিত হয়। তাতে বলা হয়েছে— ২০১৫ সাল থেকে আগামী ১০ বছর অর্থাৎ ২০২৫ পর্যন্ত কর্মরত সরকারি কর্মীরা রাজ্যের ভিতরে (হোম ট্রাভেল কনসেশন বা এইচটিসি) দু’বার ঘোরার সুযোগ পাবেন। পাশাপাশি ভিনরাজ্য কিংবা সার্কগোষ্ঠীভুক্ত দেশে একবার যাওয়ার সুযোগ পাবেন। দু’টি ক্ষেত্রেই যাতায়াতের পুরো খরচ (রিইমবার্সমেন্ট) বহন করবে রাজ্য সরকার। যদিও বাম আমলে একজন সরকারি কর্মী তাঁর কর্মজীবনে মাত্র একবারই এলটিসি পেতেন। সেক্ষেত্রে রাজ্য সরকারি কর্মী থেকে অফিসার অধিকাংশরই ‘মূল্যবান গন্তব্য’ হিসেবে বিবেচিত হতো আন্দামান। অবসরের আগে পোর্ট ব্লেয়ারই সরকারি কর্মীদের কাছে স্বর্গ হিসেবে বিবেচিত হতো।
পরিবর্তনের জমানায় সরকারি লালফিতের ফাঁস ছিঁড়ে এসেছে ই-ফাইলিং ব্যবস্থা। কর্মীদের স্বাস্থ্য বিমার পরিমাণ একলাফে বৃদ্ধির পাশাপাশি এসেছে নগদহীন ব্যবস্থা। অবসর তো দূরঅস্ত, চাকরিতে যোগ দিয়েই বহু কর্মী আন্দামানের বালুচর পেরিয়ে পাড়ি দিচ্ছেন ব্যাঙ্কক-পাটায়া। সামগ্রিকভাবে যা সরকারি কর্মীদের মধ্যে ইতিবাচক প্রভাব ফেলছে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। এ প্রসঙ্গে অর্থ দপ্তরের এক আমলা বলেন, কয়েকটি বেসরকারি ভ্রমণ সংস্থা রাজ্য সরকারি কর্মীদের এই বিদেশযাত্রার সুযোগকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলেছে। এক্ষেত্রে কেবল প্লেনের আসা-যাওয়ার ভাড়া মেটালেই সরকারি কর্মীদের জন্য দু’দিন ব্যাঙ্কক এবং তিনদিন পাটায়ায় থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করে দিচ্ছে সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলি। ফিরে এসে অফিসে বিল জমা করলেই কিছুদিনের মধ্যে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পুরো টাকা জমা পড়ে যাচ্ছে। সরকারি সূত্রের দাবি, সরকারি কর্মীদের একটা বড় অংশ ইতিমধ্যেই বিদেশ ঘোরার এই সুযোগ নিয়েছে। সেখানে গ্রুপ-ডি থেকে অফিসার অনেকেই নাম লেখাচ্ছেন।