পড়শির ঈর্ষায় অযথা হয়রানি। সন্তানের বিদ্যা নিয়ে চিন্তা। মামলা-মোকদ্দমা এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। প্রেমে বাধা।প্রতিকার: একটি ... বিশদ
জেলের ভিতর মোবাইলের ব্যবহার আটকাতে নেওয়া হয়েছে বিভিন্ন পদক্ষেপ। বেড়েছে সিসিটিভির নজরদারি। সেলের ভিতর সারপ্রাইজ ভিজিট বা চেকিংও আগের তুলনায় অনেক কড়া। জেল আইনের ধারাতেও পরিবর্তন আনা হয়েছে। সেলের ভিতর কোনও অপরাধী মোবাইল ফোন নিয়ে ধরা পড়লে খাটতে হচ্ছে অতিরিক্ত সাজাও। কিন্তু এর ফাঁক গলে কীভাবে জেলে বসেই বাইরের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা যায়, তার ফন্দিফিকির আঁটতে ব্যস্ত কয়েদিরাও। দামি বড় মোবাইল ফোনের ব্যবহার ক্রমশই কঠিন হয়ে দাঁড়াচ্ছে। সেখানে সেলের মধ্যে বাড়ছে এমন চাইনিজ মোবাইলের চাহিদা। কারারক্ষীদের নজর এড়িয়ে এটা অনায়াসেই ব্যবহার করা যায়, সহজে লুকিয়েও রাখা যায়। কিছুদিন আগে এমন মোবাইলের খোঁজ মিলেছে আলিপুর ও প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারে। এতে বেজায় চিন্তিত কারা দপ্তরের অফিসাররা। জেলে এই মোবাইলের প্রবেশ আটাকানো এখন তাঁদের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ।
এক কারাকর্তার কথায়, চাইনিজ মোবাইলগুলি লম্বায় মাত্র দেড় থেকে দু’ইঞ্চি। চওড়ায় এক ইঞ্চির সামান্য বেশি হবে। তবে এই খুদে ফোনে ইন্টারনেটের সুবিধাও রয়েছে। তাই হোয়াটসঅ্যাপ বা অন্য কোনও সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটেও ঢোকা যাচ্ছে। ফলে কয়েদিদের মধ্যে দ্রুত জনপ্রিয় হচ্ছে এই চাইনিজ মোবাইল। এতটাই ছোট যে, দুই আঙুলের ফাঁকে অনায়াসে লুকিয়ে রাখা সম্ভব। দেখতে অনেকটা পেনের মতো। পকেটে রাখলে সহজে বোঝা কঠিন যে, এটি মোবাইল।
কিন্তু কীভাবে জেলে ঢুকছে এই ফোন? জেল সূত্রে খবর, অভিযুক্তদের আদালতে নিয়ে আসা-যাওয়ার পথেই নিরাপত্তারক্ষীদের নজর এড়িয়ে তাদের হাতে তা পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। কয়েদিদের পরিচিত লোকজনরাই তা দিচ্ছে। কারাকর্তাদের কাছে খবর, বন্দর এলাকার নির্দিষ্ট কিছু মার্কেটে এই মোবাইল আসছে। সেখান থেকে তা যাচ্ছে বিভিন্ন জায়গায়। সমস্ত রকম সুযোগসুবিধা থাকায় এবং দামও কম হওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই এর বিক্রি বাড়ছে হু হু করে। কীভাবে এটা আটকানো যায়, তার পরিকল্পনাই এখন কষছেন অফিসাররা। ঠিক হয়েছে, কয়েদিরা যখন আদালত থেকে ফিরছে, তখন তাদের শরীরে ভালো করে তল্লাশি চালাতে হবে। যাতে কোনও ফাঁক গলে এই মোবাইল ঢুকে না পড়ে। পাশাপাশি, আদালত থেকে বেরোনোর সময় কয়েদিদের আত্মীয়স্বজন বা পরিচিতরা যাতে কাছাকাছি পৌঁছে তাদের হাতে মোবাইল দিতে না পারে, সেজন্য নজরদারির উপর জোর দেওয়া হয়েছে বলে জেল সূত্রে খবর।