যে কোনও ব্যবসার বৃদ্ধি ও অর্থকড়ি আয় বৃদ্ধি। ধর্মাচরণে মনযোগ বৃদ্ধি। বন্ধুর শত্রুতায় ক্ষতি। ... বিশদ
কোভিডের মোকাবিলায় লকডাউনকে মোক্ষম অস্ত্র করে এগিয়েছে বিশ্বের প্রতিটি দেশই। আর তখন থেকেই ‘ওয়ার্ক ফ্রম হোম’-এর উপর ভরসা রাখা শুরু। কিন্তু এখনও পর্যন্ত বাড়িতে বসে কাজ করার অভ্যেস রপ্ত হয়নি আমআদমির। অফিসে বসে কাজ করার যে স্বাচ্ছন্দ্য রয়েছে, সেটা ঘরে বসে একেবারেই সম্ভব নয়। এর মূল কারণ একটাই। বাড়িতে বসে কাজের হ্যাপা অনেক। লোকভর্তি ঘর। চিৎকার, চেঁচামেচি। বাড়ির খুদে সদস্যদের জ্বালাতন। তার উপর সংসারের নানা ঝুট-ঝামেলা তো রয়েইছে। সঙ্গে উপরি পাওনা গিন্নির তিরিক্ষি মেজাজ। এটা নেই, ওটা নেই-এর নালিশ শুনতে শুনতে কান ঝালাপালা অবস্থা। তখন অফিসের কাজে মনসংযোগ করাটাই বড় কঠিন হয়ে ওঠে। বেঙ্গালুরুর একটি এগ্রোটেক স্টার্টআপ সংস্থার কর্মকর্তা শশীধর সত্যনারায়ণ যেমন বলছিলেন, ‘কাজের অনিবার্য পরিবেশটাই সাংসারিক নানা ঝামেলায় নষ্ট হয়ে যায়। আমি যখন ভিডিও কনফারেন্স করছি, তখনই আমার প্রেশার কুকারের বাঁশির আওয়াজ কানে এল। এমতাবস্থায় কনফারেন্স সচল রাখা সত্যিই কঠিন হয়ে পড়ে।’
ভিডিও কনফারেন্সের প্রযুক্তিগত ত্রুটিও কাজের প্রতিকূলতা তৈরি করে বলে মনে করেন বেঙ্গালুরুর বাসিন্দা সুরভি তোমার। তোমার বলছিলেন, ‘ভারতের জনসংখ্যার অর্ধেকেরও কম মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করেন। তাঁদের মধ্যে আবার অধিকাংশই পারদর্শী নন। তার উপর ল্যাপটপ কিংবা ডেস্কটপ সবার নেই। মুঠোফোনে ভিডিও কনফারেন্স কিংবা অফিসের আনুসাঙ্গিক কাজ করতে গিয়ে সবকিছু তালগোল পাকিয়ে ফেলছেন সবাই। স্ক্রিনে ভিডিও এলে অডিও আসছে না। অডিও এলে ভিডিও অধরা। অথচ, সারাক্ষণ কানে হেডফোন গুঁজে রাখতে হচ্ছে কর্মীদের।’ এই সব সমস্যার দোসর হিসেবে দিনে অত্যন্ত বেশ কয়েকবার চোখ রাঙিয়ে যায় লোডশেডিং। পাশাপাশি, কলড্রপের ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতাও সঞ্চয় করতে হচ্ছে ‘ওয়ার্ক ফ্রম হোম’ কর্মীদের। কেমন সে অভিজ্ঞতা? শাওমির ভারতের কর্মকর্তা মনু জৈন বলছিলেন, ‘গত সপ্তাহের কথা। বাড়িতে বসে পরিচালন পর্ষদের কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করছি। কলড্রপ হয়ে যাচ্ছে বারবার। দ্বিতীয়বার ফের প্রস্তুতি নিলাম। সবে কথাবার্তা শুরু করেছি। হঠাৎ ইলেকট্রিক নেই।’