কর্মপ্রার্থীদের বিভিন্ন দিক থেকে শুভ যোগাযোগ ঘটবে। ব্যবসায় যুক্ত হলে ভালোই হবে। প্রেম-প্রণয়ে নতুনত্ব আছে। ... বিশদ
বছরে দু’তিনবার এ ব্যাপারে উদ্যানপালন দপ্তর থেকে কৃষকদের নির্বাচিত করে পলিহাউসে ফুলচাষের জন্য প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়। সরকারি অনুমোদন মিললে কৃষক নিজে থেকে প্রথমে টাকা খরচ করে পলিহাউস তৈরি করবেন। তার পর উদ্যানপালন দপ্তর থেকে খরচের অর্ধেক অনুদান হিসেবে পেয়ে যাবেন কৃষক। উত্তর ২৪ পরগনার দত্তপুকুরের ফলদি গ্রামের কৃষক আবুল বাশার পলিহাউসে জারবেরা ফুল চাষ করে এলাকায় নজর কেড়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, এক হাজার বর্গ মিটার পলিহাউস তৈরি করতে তাঁর খরচ হয়েছে ১০ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা। ওই পলিহাউসে ৬ হাজার জারবেরা গাছ লাগিয়েছেন তিনি। গাছের জন্য খরচ হয়েছে ৬ লক্ষ ১০ হাজার টাকা।
প্রথমে তিনি নিজে খরচ করে পলিহাউস তৈরি করেন এবং পুনে থেকে জারবেরার টিস্যু কালচার চারা কিনে নিয়ে এসে বসান। এর পর জেলার উদ্যানপালন দপ্তরের কাছে আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তিনি অর্ধেক টাকা অনুদান হিসেবে পেয়ে যান।
আবুল বাশার পাঁচটি প্রজাতির জারবেরা চাষ করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, খোলা মাঠের পরিবর্তে পলিহাউসে জারবেরা চাষের সুবিধা হল, সারাবছরই চারা লাগানো যায়। ৪৫দিন পর থেকেই ফুল পাওয়া যায়। কিন্তু, তিনমাস পর থেকে ফুল নেওয়া ভালো। ৪ বছর পর্যন্ত ফুল পাওয়া যায়। ঠিকমতো চাষ করতে পারলে ৫ বছরের গাছেও ফুল মেলে। ড্রিপ ইরিগেশনের মাধ্যমে তিনি জলসেচ দেন। এবং তরল সার প্রয়োগ করেন। জারবেরার চারা তৈরি করে বিক্রিও করে থাকেন তিনি।
পলিহাউসে জারবেরা ফুলচাষের আরও একটি সুবিধা হল, ভিতরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করা যায়। তিনি মূলত হাওড়ার মার্কেটে জারবেরা বিক্রি করে থাকেন। বাজার অনুযায়ী দাম ওঠানামা করে।
তবে লাভের পরিমাণ ভালোই থাকে। চাষের খরচ হিসেবে সার ও কীটনাশক বাবদ মাসে গড়ে আট হাজার টাকার মতো খরচ হয়। ঠিকমতো কাজ করলে এক হাজার বর্গমিটার পলিহাউসে জারবেরার পরিচর্যার জন্য একজন শ্রমিকই যথেষ্ট।