Bartaman Patrika
হ য ব র ল
 

মায়া
ধ্রুব মুখোপাধ্যায়

ভেবেছিল, সবকিছুই হয়তো বদলে যাবে। চিনতে পারবে না কিছু। অথর্ব নিজেও তো কম বদলায়নি। গ্রাম ছাড়ার পর বিগত পঁচিশ বছরে চুলে পাক ধরেছে, চোখে চশমা উঠেছে। এমনকী...। যাইহোক, তবে গ্রামটা সেভাবে বদলায়নি। চিনতে অসুবিধা হল না। গাছে ঘেরা আঁকাবাঁকা রাস্তা, দু’পাশের বসতি, আর সবশেষে বুড়ো বটের সামনে চুপচাপ দাঁড়িয়ে থাকা প্রকাণ্ড ইশকুল। গ্রামের পাহারাদার। ব্যস এইটুকুই। গ্রামটাকে এইভাবে কোনওদিনও দেখেনি অথর্ব। দেখতে চায়ওনি। তবে আজকে দেখল। কে যেন বলল, ‘আয়। কতদিন বাদে এলি। দু’দণ্ড বোস।’ কিন্তু বসার সময় কই! আসলে কাজটা ভীষণ জরুরি। ব্যস্ততার সঙ্গে এগিয়ে গেল নিজেদের বাড়ির দিকে। সামনে দাঁড়িয়ে মন দিয়ে দেখল। একই আছে। ঠিক যেন ওর চাকচিক্যে ভরা জীবনের তলায় লুকিয়ে রাখা একখণ্ড অতীত। ইটের গাঁথনির মাথায় টিনের চাল। জং ধরেছে টিনে। ভিতরে জলও পড়ে হয়তো। আলকাতরা মাখানো সদর দরজা। অবস্থা তথৈবচ। ভিতরটা ছ্যাঁত করে উঠতেই চাবি খুঁজল। কিন্তু সে কি আর আছে! দরজার উপরে শিকলে আটকানো তালা। জং ধরে যাচ্ছেতাই অবস্থা। হালকা হ্যাঁচকাতেই শেষ। কিন্তু ভাঙল না। পিছন থেকে তখনই হারুকাকার ডাক, ‘হ্যাঁ রে, কবে এলি? বলছি ক’দিন থাকবি তো?’ অথর্ব ভেবেছিল এই সুযোগ। কেউ তো ওকে চিনতে পেরেছে। কাজের কথাটা বলেই ফেলবে। কিন্তু হারুকাকা ততক্ষণে বলে ফেলেছে এখানে খাবি আজ। পুকুরে মাছ ধরেছে। অথর্ব চেয়েও বলতে পারল না। হারুকাকার হাসি মাখা মুখটা থামিয়ে দিল। চুপচাপ ‘হ্যাঁ’ বলে এগিয়ে গেল গ্রামের সেই পাহারাদারের দিকে। রাস্তাতে চোখে পড়ল নিতাই মাঝি, নাপিত জ্যাঠা এমনকী ইশকুলের অনেক বন্ধুও। সকলেরই মুখে সেই একই উচ্ছ্বাস। অথর্ব যেন কাজের নয়, কাছের লোক। গ্রামের ছেলে। কাজের কথাটা বলে মুখগুলোকে আর বিকৃত করল না। যদিও এই মানুষগুলোকেই দূরছাই করত একদিন। জনসমক্ষে পরিচয় দিতে লজ্জা পেত। অতীতের এই অধ্যায়টাকে ধুয়েমুছে সাফ করে ফেলতে চেয়েছিল। পারেনি যদিও। তবে লুকিয়ে রেখেছিল বেশ। ‘কোথা থেকে এসেছ?’ প্রশ্নটার উত্তরে নাম নিত কাছাকাছি একটা মফস্‌সলের। ‘বাঁশঝাড়’ নামটা যেন লজ্জার। ভাবতে ভাবতেই চোখের সামনে পাহারাদার। দু’চক্ষের বিষ এই ইশকুল। বাঁশঝাড় মোহনবিলাসী বিদ্যালয়কে আড়াল করতে বলত, ‘বিএম স্কুল’। তবে এখন যেন প্রাণ খুলে নামটা বলতে ইচ্ছে হচ্ছিল। বললও। কিন্তু কেউ শুনল না। ইশকুলের জানলায় মুখ রাখলে দূরদূরান্ত থেকে ভেসে আসত ধানজমির বুকে আগলে রাখা জোলো হাওয়া। ঠান্ডা করে দিত সব। অথর্ব অবশ্য সেসবের ধার ধারেনি কখনও। কিন্তু আজকে ভীষণ ইচ্ছে হচ্ছিল। যদি জ্বালাটা একটু কমে। ফাঁকা ইশকুল। ছুটি হয়তো। চারপাশটা ঘুরে জোলো হাওয়া চোখেমুখে লাগাতেই পশ্চিমের আকাশটাকে কে যেন রং করে দিল। সেদিকেই চোখ রেখে পা বাড়াল ফিরতি পথে। বড় রাস্তা পার করে গ্রামের মুখোমুখি একটা জঙ্গল। এই জঙ্গলেই গাছে ঘেরা মাঠে খেলতে যেত ওরা। ইশকুল থেকে ফিরে মুখে কিছু গুঁজেই দৌড়। সেদিকেই পা চালাল। কিন্তু খেলে খেলে বানানো মাঠের যে পিচে এককালে প্লাস্টিকের বলও ড্রপ খেয়ে উঠে যেত কাঁধে সেই পিচটাতেই এখন ঘাস আর চোরকাঁটার রাজত্ব। দু’চারটে ছেলে তন্ময় হয়ে মোবাইল ঘাঁটছিল। মুখই তুলল না। সন্ধে নামছিল। টুকটুক করে তারার মতো ফুটে উঠছিল জোনাকি। ঠিক সেই সময়েই চোখে পড়ল মানুষটা। জঙ্গলের রাস্তা ধরে লাঠি হাতে গ্রামের দিকে যাওয়া একটা মানুষ। সাদা ধুতি, খদ্দরের পাঞ্জাবি, চোখে মোটা ফ্রেমের চশমা আর মুখে একরাশ প্রসন্নতা। যেন গলা ফাটিয়ে বলতে চাইছে, ‘সব ঠিকই হয়েছে, নিয়ম মেনেই হয়েছে।’ চিনতে অসুবিধা হয়নি অথর্বর। তারিণী স্যর। ইতিহাসের মাস্টারমশাই। ক্লাস সিক্সের ইতিহাসের প্রথম ক্লাস সেদিন। ‘অতীত মানেই সত্য, স্থির। বদলানোর উপায় নেই। ভবিষ্যতের কোনও স্থিরতা আছে নাকি! ও তো সম্ভাবনার একটা ধোঁয়াশা। সবকিছুই হতে পারে।’ তারিণী স্যর বললে অথর্ব আপন খেয়ালেই বলেছিল, ‘কেন স্যর? সূর্য কি কাল পশ্চিমে উঠবে? পূর্ব দিকেই তো উঠবে।’ স্যর তখন চোখ দুটো জ্বলজ্বলে করে বলেছিলেন, ‘নাই উঠতে পারে। যদি পৃথিবী উল্টো দিকে ঘুরতে শুরু করে, কিংবা অন্য কিছু এসে যদি পৃথিবী আর সূর্যের টানটাকে ছিঁড়ে দেয়। কে বলতে পারে?’ অথর্ব অনেক কিছুই ভেবেছিল। কিন্তু গুছিয়ে বলতে পারেনি। তারিণী স্যরকে দেখতেই কথাগুলো হোঁচট খেল মনে। আর তখনই, ‘অথর্ব নাকি রে!’ বলেই ধড়ফড় করে এগিয়ে এলেন স্যর। বললেন, ‘কবে এলি? কতদিন বাদে! কেমন আছিস? এরকম মোটা হয়ে গেলি! এই বয়সেই চুলে পাক ধরিয়ে ফেললি!’ অথর্বকে উত্তরও দিতে দিলেন না। বিদেশের কেউ যেখানে ওর অস্তিত্বই বুঝতে পারেনি, সেখানে এঁরা ওকে বুঝছে কীভাবে! যদিও সংশয়টা মিটিয়ে দিলেন তারিণী স্যর নিজেই। ‘মায়া, বুঝলি। সব মায়া। ইশকুলের পাট চুকিয়ে দিলেও ছেলেপুলে সব মায়ায় বেঁধে রেখেছে। দিনরাত তোদের কথাই ভাবি। তোকে নিয়ে আমার বড্ড দুশ্চিন্তা। হ্যাঁ রে, ভালো আছিস তো?’ আশি ছুঁইছুঁই মানুষটাকে আর কষ্ট দিতে ইচ্ছে হচ্ছিল না। তবুও মাস্টারমশাই তো। তাই বলেই ফেলল, ‘না স্যর। আমি ভালো নেই।’ অন্ধকারটা ততক্ষণে জাপটে ধরেছে। ঝিঁঝিঁর সুরে মায়াজাল বুনছে জোনাকিরা। স্যর বললেন, ‘কী হয়েছে?’ অথর্বও আর ভাবেনি, বলল, ‘শহরে তখন আমি একাই। বাবা চলে গেলে মাকে আমি অনেকবার যেতে বলেছিলাম। কিন্তু শুনলই না। তারপর মাও চলে গেল। আমি আর মায়া করিনি। এদেশের চাকরি ছেড়ে সোজা বিদেশে। টাকা-পদ-বিলাসিতা কোনওকিছুর অভাব ছিল না। দিনরাত কাজ করতাম। এতটুকু ফাঁকি দিইনি। কিন্তু কোপটা পড়ল আমারই ঘাড়ে। মন্দার অজুহাতে মোটা বেতনের কর্মচারী বলে একেবারে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে...। আর বের করতেই সব যেন বদলে গেল। আশেপাশের কেউ যেন চেনেই না। কাজের কী কোনও দাম নেই স্যর?’ গ্রামের সবকিছুই সত্যিকারের। অন্ধকারও। ‘কাজের আবার দাম!’ বলতে বলতেই বললেন, ‘জীবনেরই কোনও নিশ্চয়তা নেই, সেখানে চাকরি। যাকগে মুখচোখ তো শুকিয়ে গিয়েছে। ঘরে চ। খেয়েদেয়ে কথা হবে।’ তবে অথর্ব রাজি হল না। বলল, ‘আমার খিদে নেই স্যর। আমি একটা কাজে এসেছি।’ কিন্তু স্যর গুরুত্বই দিলেন না। বাপমায়ের মতো স্যরদের কাছেও ছাত্রদের বয়স বাড়ে না। শাসিয়েই বললেন, ‘মশকরা হচ্ছে! খিদে নেই মানে! আমি দেখছি চোখমুখ শুকনো।’ পা বাড়াতে একপ্রকার বাধ্যই হল। ‘গ্রাম নিয়ে এককালে আমি লজ্জা পেতাম স্যর। ভাবতাম গ্রাম, ইশকুল আমার নামযশ কমিয়ে দেবে।’ অথর্বর কথাটাতে স্যর বেশ অবাক হলেন। তবে কিছু বললেন না। অথর্বই বলল, ‘কিন্তু অস্তিত্ব হারানোর পরে দেখলাম অতীতটাই সত্য। কেবল মাত্র একটা কাজের জন্য গত তিনদিন ধরে বিদেশের কত পরিচিতর কাছে ছুটেছি। কেউ বুঝতেই পারেনি আমাকে। তবে গ্রামে...।’ তারিণী স্যর এবারে থামালেন। বললেন, ‘অস্তিত্ব আবার হারিয়েছিস কীরে! এই গ্রামের রসদেই তো তোর সব। এই তোর অস্তিত্ব। আর শোন, ঘরের খেয়ে বিদেশের মোষ অনেক তাড়িয়েছিস। এবারে এখানকার গাধাগুলোকে পিটিয়ে ঘোড়া কর। দু’বেলা দুটো করে ব্যাচ পড়া।’ কাজের কথাটা এইবারে বলে ফেলতেই চেয়েছিল অথর্ব। কিন্তু স্যরের ওই সহজ-সরল জীবনটা লোভ দেখিয়ে দিল। ‘যাইহোক কী কাজের কথা বলছিস তখন থেকে? কী এমন কাজ?‘ স্যর জিজ্ঞেস করলেও অথর্ব চুপ। স্যরের বাড়ি পৌঁছতে দেরি হল না। দরজা ধাক্কা দিয়ে তারিণী স্যর যখন বলছেন, ‘কই রে কে আছিস। দরজাটা খোল। দেখ কাকে এনেছি।’ অথর্ব তখনও চুপ। চুপচাপ চলে এসেছিল নিজের সেই জং ধরা তালার ঘরে। ভেবে রাখলেও বলতেই পারেনি, ‘যেদিন আমার চাকরিটা গেল সেই রাতে আমার শরীরটা ভীষণ খারাপ লাগছিল স্যর। পাশে কাউকে পাইনি। গ্রামে ফিরতে ইচ্ছে হচ্ছিল। কিন্তু মুহূর্তের মধ্যে সবকিছু কেমন যেন অবশ হয়ে গেল। কাউকে ডাকতেও পারলাম না। লন্ডনের বাইরন অ্যাভেনিউয়ের ঘরটাতে আমার দেহটা বিগত তিনদিন ধরে পড়ে রয়েছে। আমি সৎকারের জন্য ওদেশের অনেককেই বলতে চেয়েছি। কিন্তু কেউ দেখতেই পেল না। আপনি একটু ব্যবস্থা করে দেবেন? যদি 
মুক্তি পাই!’ 
‘কাকে এনেছ? কাউকে তো দেখছি না।’ স্যরের স্ত্রী বললেও শুনতে পায়নি অথর্ব। তবে গ্রামের লোকে পেয়েছিল। তারপর থেকে রাত হলেই অথর্বদের ঘর থেকে অদ্ভুত সব আওয়াজ আসে। আজও আসে। যদিও কেউ কিচ্ছুটি বলে না। কিছু করেও না। সবাই জানে অথর্ব এই গ্রামেরই ছেলে। গ্রামের প্রতি ওর বড্ড মায়া। মায়াটা কাটাতে পারেনি।
19th  May, 2024
রহস্যে ঘেরা গ্রহাণু বলয়
স্বরূপ কুলভী

খোলো খোলো, হে আকাশ, স্তব্ধ তব নীল যবনিকা—’।  মহাবিশ্বে কত যে রহস্য লুকিয়ে আছে, তার কতটুকুই বা জানি আমরা। সেখানে পরতে পরতে বিস্ময়। এমনই একটা বিস্ময় হল গ্রহাণু। এগুলিকে কিন্তু পৃথিবী থেকে খালি চোখে দেখতে পাওয়া যায় না।  এখন প্রশ্ন হল, এই গ্রহাণু আসলে কী? কোথায় বা সেগুলি থাকে?  বিশদ

19th  May, 2024
এস্কিমো লোককথা
দ্যুতিমান ভট্টাচার্য

রাতের আকাশকে সাজিয়ে রাখে হাজার হাজার তারা। কিছু তারাকে কাল্পনিকভাবে যোগ করলে তৈরি হয় নক্ষত্রমণ্ডলী। উত্তর মেরুতে বসবাসকারী এস্কিমোদের লোককথায় রয়েছে তারা তৈরির নানান কাহিনি।  বিশদ

19th  May, 2024
মহাকাশ স্টেশনে গাছপালা!

আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনগুলিতে গাছ লাগানো হচ্ছে। অক্সিজেনের জোগান অব্যাহত রাখাই এর আসল উদ্দেশ্য। পৃথিবী থেকে মহাশূন্যে নিয়ে যাওয়া হয়েছে ক্লোরেলা নামক একপ্রকার শৈবাল। কতটা সফল মহাকাশযাত্রীদের এই উদ্যোগ জানালেন উৎপল অধিকারী। বিশদ

12th  May, 2024
ছুটির মজা

এবছর অনেকটা আগেই পড়ে গিয়েছে গরমের ছুটি। তীব্র দাবদাহ কমে কোনও কোনও জায়গায় বৃষ্টির দেখা মিলেছে। কীভাবে কাটছে ছুটি? আগেভাগেই জানিয়েছিল মালদহের শুক্রবারি আবুল কাশেম হাই মাদ্রাসার পড়ুয়ারা। বিশদ

12th  May, 2024
হরেকরকম হাতের কাজ প্লেট পেইন্ট

ফেলে দেওয়া জিনিস দিয়ে হাতের কাজ করা শেখাচ্ছেন ডিজাইনার বিদিশা বসু। তাঁর সঙ্গে কথা বললেন কমলিনী চক্রবর্তী। বিশদ

12th  May, 2024
জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়িতে কিছুক্ষণ

আগামী বুধবার পঁচিশে বৈশাখ। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মদিনের আগে জোড়াসাঁকোর ‘মহর্ষি ভবনে’র মিউজিয়াম ঘুরে এসে লিখলেন চকিতা চট্টোপাধ্যায়। বিশদ

05th  May, 2024
মৌমাছি মৌমাছি কোথা যাও নাচি নাচি

মৌমাছি, মৌমাছি কোথা যাও নাচি নাচি,  দাঁড়াও না একবার ভাই। ওই ফুল ফোটে বনে, যাই মধু আহরণে, দাঁড়াবার সময় তো নাই।’ ছোট্ট বন্ধুরা, তোমরা নিশ্চয়ই নবকৃষ্ণ ভট্টাচার্যের এই কবিতাটি পড়েছ।  সত্যি সত্যি মৌমাছিরা খুবই ব্যস্তসমস্ত আর কর্মঠ পতঙ্গ। বিশদ

05th  May, 2024
কীভাবে এল ঘড়ি?
কালীপদ চক্রবর্তী

ছোটবেলা থেকেই আমরা শুনে আসছি সময় মতো সব কাজ করতে হবে। সময়ে স্কুল যেতে হবে,  সময়ে ঘুম থেকে উঠতে হবে, সময়ে পড়তে বসতে হবে। আমরা এটাও শুনেছি সময় কারও জন্য অপেক্ষা করে না। তাই যুগ যুগ ধরে মানুষ যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলার চেষ্টা করে আসছে। বিশদ

05th  May, 2024
লড়াইয়ের অপর নাম মানসী

ছিলেন ইঞ্জিনিয়ার। দুর্ঘটনায় হারান একটি পা। কিন্তু হেরে যাননি। তারপর থেকে ব্যাডমিন্টনই তাঁর ধ্যানজ্ঞান। মনের অদম্য শক্তিতে ভর করে সাফল্যের শিখর ছুঁয়েছেন মানসী। সেই অনুপ্রেরণার গল্পই শোনালেন সৌগত গঙ্গোপাধ্যায় বিশদ

28th  April, 2024
আশ্চর্য ফুল

ফুল কে না ভালোবাসে! কিন্তু আশপাশের পরিচিত ফুলের বাইরে কিছু অদ্ভুত-দর্শন ফুলের খোঁজ দিলেন রুদ্রজিৎ পাল বিশদ

28th  April, 2024
হরেকরকম হাতের কাজ: রঙিন শিশি

ফেলে দেওয়া জিনিস দিয়ে হাতের কাজ করা শেখাচ্ছেন ডিজাইনার বিদিশা বসু। তাঁর সঙ্গে কথা বললেন কমলিনী চক্রবর্তী। বিশদ

28th  April, 2024
রকেট বার্ড
অনির্বাণ রক্ষিত 

ছোট্ট বন্ধুরা, বিশ্বের দ্রুততম প্রাণীর প্রসঙ্গ উঠলে তোমাদের কোন কোন প্রাণীর নাম প্রথমে মাথায় আসে? অনেকেই হয়তো বলবে চিতা কিংবা বাজপাখি বা ঈগলের কথা। কিন্তু এমনও একটি প্রাণী রয়েছে, যা এদের সবাইকে পিছনে ফেলতে পারে। বিশদ

28th  April, 2024
বিকেলবেলার আলো

আজ ক্লাস ফাইভ থেকে বিনন্দ সিক্সে উঠেছে। ওর এরকম নামটা মা রেখেছিল। মা একটা পুরনো বই ঠাকুরমার কাছ থেকে পেয়েছিল। বইটার নাম ‘লক্ষ্মীচরিত্র’। বইটার মলাটে একটা লক্ষ্মী ঠাকুরের রঙিন ছবি আছে। মা সন্ধেবেলা বইটা নিয়ে পড়তে বসে।
বিশদ

21st  April, 2024
পশ্চিম আকাশে সূর্যোদয়

শুক্রের আহ্নিক গতি অন্য গ্রহগুলির মতো নয়। সৌর জগতে কেন ব্যতিক্রমী এই গ্রহ জানালেন স্বরূপ কুলভী বিশদ

21st  April, 2024
একনজরে
নিজেদের এলাকার বুথের ফলাফলের উপর তৃণমূল নেতাদের ভাগ্য ঝুলে রয়েছে। অতীতে দেখা গিয়েছে, অনেক তাবড় নেতার বুথে দল ফল খারাপ করেছে। তারপরও তাঁরা বহাল তবিয়তে ক্ষমতায় থেকে গিয়েছেন। সংগঠনের তাঁরাই শেষ কথা। এবার সেটা হবে না। ...

পশ্চিমবঙ্গে কাজ রয়েছে। রয়েছে সুষ্ঠু পরিবেশ। এখানে খুঁজলেই কাজ পাওয়া যায়। ভিন রাজ্য থেকে আসা শ্রমিকদের বক্তব্য স্পষ্ট। যা এক কথায় নস্যাৎ করে দিচ্ছে বিরোধীদের ...

ব্যাঙ্কিং পরিষেবার বহর বাড়াতে বাড়ি বাড়ি পৌঁছে লেনদেনের সুযোগ করে দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার। এই ডোরস্টেপ ব্যাঙ্কিং পরিষেবা দেওয়ার জন্য তারা ১২টি রাষ্ট্রায়ত্ত ...

কলকাতা ও দুই ২৪ পরগনার ২১টি থানা, জিআরপি এবং হাসপাতালে অস্বাভাবিকভাবে মৃতদের দেহ ময়নাতদন্তের জন্য নতুন জায়গা নির্দিষ্ট করে দিল স্বাস্থ্যভবন। এর মধ্যে পাঁচটি হাসপাতাল, ১২টি জিআরপি থানা এবং কলকাতা পুলিস এলাকার চারটি থানা রয়েছে। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

কাজকর্মে জটিলতা মুক্তি ও কর্মোন্নতি। অপচয়মূলক বা অপ্রত্যাশিত ব্যয় বাড়বে। পারিবারিক ক্ষেত্রে সুসম্পর্ক। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব কচ্ছপ দিবস
১৪৯৮ - পর্তুগীজ নাবিক ভাস্কো-দা-গামা উত্তমাশা অন্তরীপ হয়ে ভারতের কালিকট বন্দরে এসেছিলেন
১৬০৯ - শেক্সপিয়ারের সনেট প্রথম প্রকাশিত হয় লন্ডনে
১৮১৮ - প্রথম বাংলা সংবাদপত্র সমাচার দর্পণ আজকের দিনে প্রথম প্রকাশিত হয়। সম্পাদক ছিলেন জন ক্লার্ক মার্শম্যান
১৮২৯- বিশুদ্ধ সিদ্ধান্ত পঞ্জিকার প্রতিষ্ঠাতা ও গণিতবিদ মাধবচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের জন্ম
১৮৯৪ - ভারতে ফলিত গণিতের জনক বিজ্ঞানী নিখিলরঞ্জন সেনের জন্ম 
১৯০২ - কিউবা একটি স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে এবং এই দিনে সকল মার্কিন সেনা কিউবা ত্যাগ করে
১৯০৫ - বিশুদ্ধ সিদ্ধান্ত পঞ্জিকার প্রতিষ্ঠাতা ও গণিতবিদ মাধবচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের মৃত্যু
১৯০৬- নাট্যকার হেনরিক ইবসেনের মৃত্যু
১৯১৮- ইংরেজ ক্রিকেটার ডেনিস কম্পটনের জন্ম
১৯১৯- জয়পুরের রাজমাতা গায়ত্রী দেবীর জন্ম
১৯২৮- বিশিষ্ট তবলিয়া রাধাকান্ত নন্দীর জন্ম
১৯৩০ - বাঙালী প্রত্নতত্ত্ববিদ রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়ের মৃত্যু 
১৯৩২ - ইয়ারহার্ট প্রথম মহিলা যিনি একক উড্ডয়নে আটলান্টিক মহাসাগর পাড়ি দেন
১৯৫১- বিশিষ্ট দাবাড়ু আনাতোলি কারাপোভের জন্ম
১৯৮৩ - এইচআইভি ভাইরাস সম্পর্কে প্রথম প্রকাশিত হয় সায়েন্স ম্যাগাজিনে



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮২.৪৯ টাকা ৮৪.২৩ টাকা
পাউন্ড ১০৪.২৪ টাকা ১০৭.৭২ টাকা
ইউরো ৮৮.৯২ টাকা ৯২.০৭ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৪,৬০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৪,৯৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭১,২৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৯৩,১০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯৩,২০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৯ ‌জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ২৩ মে, ২০২৪।  পূর্ণিমা ৩৬/৫ রাত্রি ৭/২৩। বিশাখা নক্ষত্র ১০/৪৫ দিবা ৯/১৫। সূর্যোদয় ৪/৫৭/৩৭, সূর্যাস্ত ৬/৯/৫। অমৃতযোগ দিবা ৩/৩১ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ৬/৫২ গতে ৯/২ মধ্যে পুনঃ ১১/১৫ গতে ২/৪ মধ্যে পুনঃ ৩/৩১ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ২/৫১ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ১১/৩৩ গতে ১২/৫৪ মধ্যে। 
৯ ‌জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ২৩ মে, ২০২৪। পূর্ণিমা সন্ধ্যা ৬/৪৮। বিশাখা নক্ষত্র দিবা ৮/৫৮। সূর্যোদয় ৪/৫৭, সূর্যাস্ত ৬/১২। অমৃতযোগ দিবা ৩/৪০ গতে ৬/১২ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/২ গতে ৯/১০ মধ্যে ও ১১/৫৮ গতে ২/৬ মধ্যে ও ৩/৩০ গতে ৪/৫৭ মধ্যে। কালবেলা ২/৫৩ গতে ৬/১২ মধ্যে। কালরাত্রি ১১/৩৪ গতে ১২/৫৫ মধ্যে। 
১৪ জেল্কদ।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
ভূপতিনগরে তৃণমূল নেতার উপর হামলা, কাঠগড়ায় বিজেপি
পূর্ব মেদিনীপুরের ভূপতিনগর থানার এক্তারপুরে তৃণমূলের ব্লক সভাপতি অম্বিকেশ মান্নার ...বিশদ

06:30:00 PM

ইডি-সিবিআইয়ের হাত থেকে বাঁচতে বিজেপিতে গিয়েছেন, নাম না করে তাপস রায় প্রসঙ্গে বললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

06:21:55 PM

একবছর আগে থেকেই বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগ ছিল, নাম না করে তাপস রায় প্রসঙ্গে বললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

06:19:19 PM

মোদি জিতলে এটাই ভারতবর্ষে শেষ নির্বাচন: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

06:11:43 PM

সবার সার্টিফিকেট বহাল থাকবে: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

06:09:11 PM

সারাদেশে বিজেপিকে মদত দিচ্ছে বামেরা: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

06:07:47 PM