Bartaman Patrika
হ য ব র ল
 

বিকেলবেলার আলো

রতনতনু ঘাটী: আজ ক্লাস ফাইভ থেকে বিনন্দ সিক্সে উঠেছে। ওর এরকম নামটা মা রেখেছিল। মা একটা পুরনো বই ঠাকুরমার কাছ থেকে পেয়েছিল। বইটার নাম ‘লক্ষ্মীচরিত্র’। বইটার মলাটে একটা লক্ষ্মী ঠাকুরের রঙিন ছবি আছে। মা সন্ধেবেলা বইটা নিয়ে পড়তে বসে। সুর করে পড়ে। সেই বইটায় একটা চ্যাপ্টার আছে। সে চ্যাপ্টারটার নাম ‘বিনন্দ রাখালের পালা’। মায়ের খুব প্রিয় সেই চ্যাপ্টারটা। সেই চ্যাপ্টারের যে হিরো, তারই নাম বিনন্দ। তার নাম দেখে মা ওর নাম রেখেছে—বিনন্দ।
ওরকম আরও একটা বই দাদুর লেপ রাখার দড়ি বেঁধে ঝুলিয়ে আলনায় রাখা আছে বিনন্দ দেখেছে। সে বইটার নাম ‘আনন্দমঠ’। তাতে যে গল্পটা আছে, দাদু মাঝে-মাঝে জোরে-জোরে সে গল্পটা পড়ে। মহেন্দ্র আর তার বউ কল্যাণীর কথা দিয়ে গল্পটা শুরু হয়েছে। গ্রামে ভয়াবহ দুর্ভিক্ষ শুরু হয়েছে। জল আর সামান্য খাবার ছাড়া আর কিচ্ছু পাওয়া যাচ্ছে না। তাই মহেন্দ্ররা ঠিক করেছে, দূরের শহরে চলে যাবে খাবারের সন্ধানে। পাশে বসে বিনন্দ মাঝেমাঝে শোনে সে গল্পটা। মহেন্দ্র আর তার বউয়ের জন্যে খুব কষ্ট হয় বিনন্দর। পারলে মহেন্দ্রকে নিজে গিয়ে সেই শহরে পৌঁছে দিয়ে আসে। সে ‘পদচিহ্ন’ নামের একটা গ্রামের গল্প। 
পরীক্ষার রেজাল্ট নিয়ে বিনন্দ বাড়ি ফিরে প্রথমে মাকে খবরটা দিতে ছুটল রান্নাঘরে। মা শুনেই ছুটল পিছনবাড়িতে বাবাকে খবরটা দিতে। পিছনবাড়িতে অনেক আগাছা হয়েছে বলে সেগুলো পরিষ্কার করছিল বাবা। বাবা কান উঁচু করে মাকে জিজ্ঞেস করল, ‘আমাদের বিনন্দ সিক্সে উঠে গেল বড়বউ?’
 মা বলল, ‘তাই তো! শোনো, আমি বিনন্দকে আগে থেকে বলে রেখেছি, ও সিক্সে উঠলে ওকে একটা সেকেন্ডহ্যান্ড সাইকেল কিনে দেব। আমি খোঁজ নিয়েও রেখে এসেছি। মুকুন্দ সামন্ত তার ভাঙা সাইকেলটা এ মাসেই বিক্রি করবে শুনছি।’
বিনন্দ দূর থেকে শুনছিল মায়ের কথাটা। আনন্দে লাফাতে লাফাতে পুব পুকুরের পাড় ধরে দক্ষিণ পল্লির মাঠে ফুটবল পেটাতে চলে গেল। তার মনটা শুধু খচখচ করছিল, বাবা সাইকেলটা সত্যিই কিনে আনবে তো? কবে আনবে?
সন্ধেবেলা বাড়িতে ফিরেই বিনন্দ দেখল, বাবা হুমড়ি খেয়ে পড়ে একটা সাইকেল পরিষ্কার করছে। ‘ও মা! বাবা কি সত্যি-সত্যি মুকুন্দজেঠুর সাইকেলটা কিনে নিয়ে এসেছে তাহলে?’
কই, মা যে বলেছিল, সাইকেলটা ভাঙা! কিন্তু দেখে তো তেমন মনে হচ্ছে না। লজ্জায় ধীর পায়ে বিনন্দ সাইকেলটার হ্যান্ডেলে একবার হাত বুলিয়ে দৌড়ল রান্নাঘরে, ‘মা, বাবা সাইকেলটা কিনে এনেছে তো। দেখবে এসো! কই, মোটেও ভাঙা নয় তো সাইকেলটা।’
মা বলল, ‘মুকুন্দ সামন্তরা বড়লোক তো। ওদের কাছে ওটাই ভাঙা সাইকেল। বড়লোকরা সব জিনিসকেই অমন পুরনো আর ভাঙা বলে মনে করে! বাতিল করে দেয়।’ বিনন্দকে মা জিজ্ঞেস করল, ‘তোর পছন্দ হয়েছে তো?’
বিনন্দ দু’ পাশে মাথা দুলিয়ে জানিয়ে দিল পছন্দের কথা! রাতে খেয়ে শুতে গিয়ে বিনন্দর চোখের পাতা জুড়ে ঘুম আর এলই না! শুধু একটাই স্বপ্ন ঘুরেফিরে গোটা রাত জুড়ে ভেসে বেড়াতে লাগল বিনন্দর ঘুমের মধ্যে। এক্ষুনি দেখল, সাইকেলটা একদম ঝকমক করছে, নতুনের মতো। এখনও নতুন ব্রাউন রঙের কাগজটা সাইকেলের রডে জড়ানো! কে যেন এইমাত্র রং করে দিয়েছে! এক্কেবারে নতুন!
আবার একটু পরে বিনন্দ দেখল, সে সাইকেলে চড়ে একবার তাদের স্কুলের মাঠে চক্কর কেটে আসছে, তো এই ফের মন্দিরতলায় চালতা গাছের নীচে সাইকেলটা দাঁড় করিয়ে রেখে একটু হাঁফ ছেড়ে দম নিচ্ছে দক্ষিণের বাতাসে। হঠাৎ স্বপ্নে বিনন্দ দেখল, হাই স্কুলের হেডস্যর স্কুল থেকে বেরিয়ে বিনন্দকে দেখে বললেন, ‘বাহ, তোমার নতুন সাইকেল হল বুঝি? সাবধানে চড়বে। সাইকেল নিয়ে আবার পড়ে আছাড় খেও না যেন!’
স্যরের কথার উত্তরে কী বলবে ভেবে পেল না বিনন্দ। মনে-মনে বলল, ‘আগে সাইকেলটা চালাতে শিখে নিই তো! ভবতোষদাকে বলব, সে আমাকে সাইকেল চালানো শিখিয়ে দেবে!’ স্যরের কথার উত্তরে শুধু সম্মতিসূচক ঘাড় নাড়ল বিনন্দ। বড়দের কথার উত্তরে কি কোনও কথা বলতে আছে নাকি? 
ভোর রাতে ঘুম ভাঙতে বিনন্দ ভাবল, যাহ! আমি আবার কবে সাইকেল চালাতে শিখলাম? এ বাবা! স্বপ্নে দেখলাম, আমি যে বাঁইবাঁই করে সাইকেল চালাচ্ছি। বাবা তো সবে কাল সাইকেলটা কিনে এনেছে। মনেমনে ভাবল বিনন্দ, আজ বিকেলে বাবা মাঠের কাজ থেকে ফিরে এলে বাবাকে বলবে, ‘বাবা, চল! আমাকে সাইকেল চড়া শিখিয়ে দেবে!’ বাবার হাতে কাজ থাকলে ভবতোষদাকে বলবে, সাইকেল চড়া শিখিয়ে দিতে।
 স্কুল থেকে ফেরার সময় ওরই বয়সি নান্টু সামন্ত সাইকেলের খবর পেয়ে এসে বলল, ‘ধুর! সাইকেল চড়া শেখা এমন কঠিন কাজ নাকি? সে আমিও তোকে একদিনেই শিখিয়ে দিতে পারি!’
গায়ে পড়ে নান্টুর সাইকেল চড়া শিখিয়ে দেওয়ার কথায় ভরসা করতে পারল না বিনন্দ। ও যা দুষ্টু ছেলে! বরং ভবতোষদাই ভালো। তক্ষুনি ভবতোষ সত্যি-সত্যি বিনন্দদের উঠোনে এসে ডাক দিল, ‘বিনন্দ, আয়, সাইকেলটা বের কর। চল, করঞ্জাতলির মাঠে তোকে সাইকেল শিখিয়ে দিই।’
 দু’ জনেই বেরিয়ে পড়ল। ভবতোষ সাইকেলটা ঠেলতে ঠেলতে বলল, ‘সাইকেলটা এমন কিছু ভালো না রে! তা হোক! চল, প্রথমে তোকে হাফ প্যাডেল করাটা তো শেখাই!’
বিনন্দ বলল, ‘আরে সেকেন্ডহ্যান্ড সাইকেল তো! মা আগে থেকে বলে রেখেছিল মুকুন্দজেঠুকে। তাই সাইকেলটা পাওয়া গেল। না হলে দূরের বাজারের কোনও সাইকেল সারাইয়ের দোকানে কবেই বিক্রি করে দিত।’
বিনন্দকে সাইকেলের সিটে বসিয়ে ভবতোষ ঠেলতে লাগল। চেঁচিয়ে বলতে  লাগল, ‘বিনন্দ, তুই পা দিয়ে প্যাডেল কর। আর সবসময় সামনে দূরের দিকে তাকাবি। একদম কাছের দিকে তাকাবি না! সাইকেল চালানো শিখতে হলে প্রথমে হ্যান্ডেলের উপর দিয়ে দূরের দিকে তাকিয়ে থাকতে হয়। তা না হলেই দুম ফটাস।’
দু’জনে করঞ্জাতলি মাঠে বেশ ক’বার সাইকেল নিয়ে ঘুরপাক খেল। মাঝেমাঝে ভবতোষ সাইকেল সুদ্ধ বিনন্দকে হাত ছেড়ে ঠেলে দিয়ে হাততালি দিয়ে চেঁচিয়ে উঠতে লাগল, ‘এই তো! তুই সাইকেল চালাতে পেরে গেছিস রে!’
আচমকা চারপাশে তাকিয়ে বিনন্দ যেন নিজেকেই বিশ্বাস করতে পারছিল না। সত্যিই তো! সে সাইকেল চালাতে পেরে গেছে! ও মা! সত্যিই তাহলে সাইকেল চালানো শেখা এতই সহজ?
সন্ধেবেলা বাড়ি ফিরে উঠোন থেকে চেঁচিয়ে মাকে ডাকল, ‘মা, ও মা! আমি একদিনে সাইকেল চালাতে শিখে গেছি!’
মা অবাক গলায় জিজ্ঞেস করল, ‘কে তোকে ধরে ধরে সাইকেল চালাতে শেখাল শুনি?’
‘ভবতোষদা! আমাকে সাইকেলের সিটে বসিয়ে ঠেলতে ঠেলতে এক সময় দেখি আমাকে ছেড়ে দিয়ে ভবতোষদা বলল, বিনন্দ, এবার তুই জোরে পা ঘুরিয়ে প্যাডেল কর।’
‘আমি মনে সাহস এনে প্যাডেল করতে লাগলাম। ও মা! দেখি কী, আমার একটুও ভয় করছে না। আমি বাঁইবাঁই করে বেশ সাইকেল চালাচ্ছি!’
মা খুশি হয়ে বিনন্দকে জড়িয়ে ধরল। কয়েকদিন পর থেকে স্কুল ছুটি হলে ভবতোষদার সঙ্গে করঞ্জাতলি মাঠে গিয়ে বিনন্দ সাইকেল চালানো প্র্যাকটিস করতে লাগল। একদিন বিনন্দর বাবা মাঠের কাজ থেকে ফেরার পথে দেখল, বিনন্দ করঞ্জাতলির মাঠে একাই সাইকেল চালাচ্ছে!
বাড়ি ফিরে বাবা সুখবরটা মাকে দিয়ে বলল, ‘কাল থেকে বিনন্দ সাইকেল চালিয়ে স্কুলে যাক, কী বল? আমি নিজের চোখেই আজ দেখে এসেছি, বিনন্দ একা একাই সাইকেল চালাচ্ছে! রোজ অতটা পথ বেচারা হেঁটে হেঁটে স্কুলে যায়। তার দরকার কী? এবার থেকে সাইকেলে চড়েই বিনন্দ স্কুলে যাবে!’
তার পরদিন থেকে বিনন্দ সত্যি সত্যি সাইকেল চড়ে স্কুলে যেতে শুরু করল। হেডস্যর সেদিন বিনন্দকে সাইকেল চড়ে স্কুলে আসতে দেখে বললেন, ‘বাহ! বিনন্দ, তুমি তো বেশ সুন্দর সাইকেল চালাতে শিখে গেছ?’
ক্লাস সিক্সের অ্যানুয়াল পরীক্ষা এসে গেছে! একদিন স্কুল থেকে ফিরে মাকে বলল, ‘মা, তোমাকে একটা দরকারি কথা বলি?’
‘কী কথা রে? বল না!’
‘আমাদের ক্লাসের রবির একটা খুব বিপদের খবর পেলাম গো মা!’
মা ব্যাকুল গলায় জানতে চাইল, ‘কেন? কী হয়েছে রবির?’
‘রবির মায়ের কঠিন অসুখ ধরা পড়েছে মা। কাল হাসপাতাল থেকে ওর মাকে বাড়িতে এনেছে। আমি স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে আজ রবির মাকে দেখতে গিয়েছিলাম। কী ভীষণ রোগা হয়ে গেছে কাকিমা! একলা উঠে বিছানায় বসতেও পারছে না। ধরে ধরে মাকে বিছানায় বসিয়ে দিল রবি।’
‘এত তাড়াতাড়ি হাসপাতাল থেকে বাড়ি নিয়ে এল কেন ওর বাবা? আর ক’দিন থেকে আর একটু সেরে উঠলে তবে না হয় বাড়ি নিয়ে আসতে পারত?’
বিনন্দর চোখ ছলছল করে উঠল। বলল, ‘মা, বরির মা আর বেশিদিন বাঁচবেন না, এমন কঠিন অসুখ হয়েছে। ডাক্তারবাবু বলে দিয়েছেন, ‘হাসপাতাল থেকে বাড়িতে এনে রাখতে। যে ক’দিন বেঁচে থাকেন, সে ক’দিন বাড়িতেই থাকুন। আর...’
বিনন্দর মা ব্যাকুল হয়ে জানতে চাইল, ‘আর কী?’
‘প্রায় প্রতিদিনই মায়ের জন্যে হাসপাতাল থেকে ওষুধ এনে দিতে হবে। রবিদের অত টাকা তো নেই যে, ওষুধ কিনে দিতে পারবে। হাসপাতাল থেকে বিনা পয়সায় ওষুধ পাওয়ার ব্যবস্থা করে দিয়েছেন ডাক্তারবাবু! কিন্তু মুশকিল হল...’
‘কী মুশকিল হল রে?’
বিনন্দর গলা ভারী হয়ে এল। বলল, ‘রবির বাড়ি থেকে হাসপাতাল অনেকটা দূর। দু’-একদিন অন্তর অত দূর থেকে পায়ে হেঁটে ওষুধ আনা সম্ভব হবে না মা! তাই আমি ভাবছি, আমার সাইকেলটা রবিকে দিয়ে দিতে পারলে কেমন হয়? মা, রবিকে কিছুদিনের জন্যে দেব? রবি সাইকেল করে ওর মায়ের জন্যে ওষুধ এনে দেবে হাসপাতাল থেকে। তারপর স্নান করে স্কুলে যাবে সাইকেলে চেপে। না হলে রবির স্কুলটাও যে বন্ধ হয়ে যাবে মা?’
মা ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে থাকল বিনন্দর মুখের দিকে। তারপর বলল, ‘তোমার বাবা বাড়ি ফিরে আসুক সন্ধেবেলা। দেখি তোমার কথার উত্তরে তোমার বাবা কী বলে?’
কথা বলতে বলতে বিনন্দর বাবা মাঠের কাজ সেরে বাড়ি ফিরে এল। মা-ছেলেকে থম হয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে বাবা মায়ের মুখের দিকে তাকিয়ে জিজ্ঞেস করল, ‘কী হয়েছে? তোমরা এমন চুপ করে দাঁড়িয়ে আছ কেন?’
মা বিনন্দর দিকে তাকিয়ে বলল, ‘বিনন্দ, তুই বাবাকে কথাটা বল না!’
বিনন্দ একটু দম নিয়ে বাবার মুখের দিকে তাকাল, ‘বাবা!’
   বাবা মুখ তুলে জানতে চাইল, ‘কী হয়েছে বল! চুপ করে আছিস কেন?’
বিনন্দ একবার মায়ের মুখের দিকে তাকিয়ে নিয়ে ধীরে ধীরে সব কথা বলল বাবাকে। তারপর চুপ করে থাকল। 
   বাবা বলল, ‘তুমি কী ভেবেছ বিনন্দ?’
বিনন্দ কান্নায় ভিজে ওঠা গলায় বলল, ‘আমি ভেবেছি বাবা, আমার সাইকেলটা আমি রবিকে দিয়ে দেব, যতদিন না ওর মা সেরে ওঠে!’
বিনন্দ থামতে বাবার মুখে এক চিলতে হাসি ফুটে উঠল। বাবা বিনন্দর পিঠে হাত রেখে বলল, ‘তুমি যা ভেবছ, তাই হবে! তুমি যে এত ভালো একটা কথা ভাবতে পেরেছ, এতে আমার খুব আনন্দ হচ্ছে বিনন্দ!’
মা বিনন্দর মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়ে বলল, ‘তুমি আর দেরি কোরো না বাবা! কাল সকালেই রবিকে মায়ের ওষুধ আনতে ছুটতে হবে হাসপাতালে! আর একটু পরেই সন্ধে নেমে পড়বে! ওই তো শেফালিদের দেবদারু গাছের মাথায় শেষ বিকেলের রোদের ঝলক মিলিয়ে যেতে শুরু করেছে!’
বিনন্দ সাইকেলটা উঠোনে নামিয়ে তড়িঘড়ি বাঁ পায়ে প্যাডেলে চাপ দিল, ‘মা আসছি! আমি এক্ষুনি রবিকে সাইকেলটা দিয়েই ফিরে আসব।’
বিনন্দর মা-বাবার চোখ দুটো চিকচিক করে উঠল কি না সেসব দেখার মতো বিকেলবেলার আলোর অত সময় কোথায়?
21st  April, 2024
মায়া
ধ্রুব মুখোপাধ্যায়

ভেবেছিল, সবকিছুই হয়তো বদলে যাবে। চিনতে পারবে না কিছু। অথর্ব নিজেও তো কম বদলায়নি। গ্রাম ছাড়ার পর বিগত পঁচিশ বছরে চুলে পাক ধরেছে, চোখে চশমা উঠেছে। এমনকী...। যাইহোক, তবে গ্রামটা সেভাবে বদলায়নি। চিনতে অসুবিধা হল না। বিশদ

19th  May, 2024
রহস্যে ঘেরা গ্রহাণু বলয়
স্বরূপ কুলভী

খোলো খোলো, হে আকাশ, স্তব্ধ তব নীল যবনিকা—’।  মহাবিশ্বে কত যে রহস্য লুকিয়ে আছে, তার কতটুকুই বা জানি আমরা। সেখানে পরতে পরতে বিস্ময়। এমনই একটা বিস্ময় হল গ্রহাণু। এগুলিকে কিন্তু পৃথিবী থেকে খালি চোখে দেখতে পাওয়া যায় না।  এখন প্রশ্ন হল, এই গ্রহাণু আসলে কী? কোথায় বা সেগুলি থাকে?  বিশদ

19th  May, 2024
এস্কিমো লোককথা
দ্যুতিমান ভট্টাচার্য

রাতের আকাশকে সাজিয়ে রাখে হাজার হাজার তারা। কিছু তারাকে কাল্পনিকভাবে যোগ করলে তৈরি হয় নক্ষত্রমণ্ডলী। উত্তর মেরুতে বসবাসকারী এস্কিমোদের লোককথায় রয়েছে তারা তৈরির নানান কাহিনি।  বিশদ

19th  May, 2024
মহাকাশ স্টেশনে গাছপালা!

আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনগুলিতে গাছ লাগানো হচ্ছে। অক্সিজেনের জোগান অব্যাহত রাখাই এর আসল উদ্দেশ্য। পৃথিবী থেকে মহাশূন্যে নিয়ে যাওয়া হয়েছে ক্লোরেলা নামক একপ্রকার শৈবাল। কতটা সফল মহাকাশযাত্রীদের এই উদ্যোগ জানালেন উৎপল অধিকারী। বিশদ

12th  May, 2024
ছুটির মজা

এবছর অনেকটা আগেই পড়ে গিয়েছে গরমের ছুটি। তীব্র দাবদাহ কমে কোনও কোনও জায়গায় বৃষ্টির দেখা মিলেছে। কীভাবে কাটছে ছুটি? আগেভাগেই জানিয়েছিল মালদহের শুক্রবারি আবুল কাশেম হাই মাদ্রাসার পড়ুয়ারা। বিশদ

12th  May, 2024
হরেকরকম হাতের কাজ প্লেট পেইন্ট

ফেলে দেওয়া জিনিস দিয়ে হাতের কাজ করা শেখাচ্ছেন ডিজাইনার বিদিশা বসু। তাঁর সঙ্গে কথা বললেন কমলিনী চক্রবর্তী। বিশদ

12th  May, 2024
জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়িতে কিছুক্ষণ

আগামী বুধবার পঁচিশে বৈশাখ। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মদিনের আগে জোড়াসাঁকোর ‘মহর্ষি ভবনে’র মিউজিয়াম ঘুরে এসে লিখলেন চকিতা চট্টোপাধ্যায়। বিশদ

05th  May, 2024
মৌমাছি মৌমাছি কোথা যাও নাচি নাচি

মৌমাছি, মৌমাছি কোথা যাও নাচি নাচি,  দাঁড়াও না একবার ভাই। ওই ফুল ফোটে বনে, যাই মধু আহরণে, দাঁড়াবার সময় তো নাই।’ ছোট্ট বন্ধুরা, তোমরা নিশ্চয়ই নবকৃষ্ণ ভট্টাচার্যের এই কবিতাটি পড়েছ।  সত্যি সত্যি মৌমাছিরা খুবই ব্যস্তসমস্ত আর কর্মঠ পতঙ্গ। বিশদ

05th  May, 2024
কীভাবে এল ঘড়ি?
কালীপদ চক্রবর্তী

ছোটবেলা থেকেই আমরা শুনে আসছি সময় মতো সব কাজ করতে হবে। সময়ে স্কুল যেতে হবে,  সময়ে ঘুম থেকে উঠতে হবে, সময়ে পড়তে বসতে হবে। আমরা এটাও শুনেছি সময় কারও জন্য অপেক্ষা করে না। তাই যুগ যুগ ধরে মানুষ যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলার চেষ্টা করে আসছে। বিশদ

05th  May, 2024
লড়াইয়ের অপর নাম মানসী

ছিলেন ইঞ্জিনিয়ার। দুর্ঘটনায় হারান একটি পা। কিন্তু হেরে যাননি। তারপর থেকে ব্যাডমিন্টনই তাঁর ধ্যানজ্ঞান। মনের অদম্য শক্তিতে ভর করে সাফল্যের শিখর ছুঁয়েছেন মানসী। সেই অনুপ্রেরণার গল্পই শোনালেন সৌগত গঙ্গোপাধ্যায় বিশদ

28th  April, 2024
আশ্চর্য ফুল

ফুল কে না ভালোবাসে! কিন্তু আশপাশের পরিচিত ফুলের বাইরে কিছু অদ্ভুত-দর্শন ফুলের খোঁজ দিলেন রুদ্রজিৎ পাল বিশদ

28th  April, 2024
হরেকরকম হাতের কাজ: রঙিন শিশি

ফেলে দেওয়া জিনিস দিয়ে হাতের কাজ করা শেখাচ্ছেন ডিজাইনার বিদিশা বসু। তাঁর সঙ্গে কথা বললেন কমলিনী চক্রবর্তী। বিশদ

28th  April, 2024
রকেট বার্ড
অনির্বাণ রক্ষিত 

ছোট্ট বন্ধুরা, বিশ্বের দ্রুততম প্রাণীর প্রসঙ্গ উঠলে তোমাদের কোন কোন প্রাণীর নাম প্রথমে মাথায় আসে? অনেকেই হয়তো বলবে চিতা কিংবা বাজপাখি বা ঈগলের কথা। কিন্তু এমনও একটি প্রাণী রয়েছে, যা এদের সবাইকে পিছনে ফেলতে পারে। বিশদ

28th  April, 2024
পশ্চিম আকাশে সূর্যোদয়

শুক্রের আহ্নিক গতি অন্য গ্রহগুলির মতো নয়। সৌর জগতে কেন ব্যতিক্রমী এই গ্রহ জানালেন স্বরূপ কুলভী বিশদ

21st  April, 2024
একনজরে
ছোট শিল্প সংস্থাগুলি যাতে শেয়ার বাজার থেকে পুঁজি সংগ্রহ করতে পারে, তার জন্য ‘এসএমই আইপিও’ চালু হয় ২০১২ সালে। বম্বে স্টক এক্সচেঞ্জ এবং ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জ এই সুবিধা করে দেয়। ছোট শিল্প সংস্থাগুলি যাতে প্রথমবারের জন্য বাজারে শেয়ার ছাড়তে পারে, ...

নিজেদের এলাকার বুথের ফলাফলের উপর তৃণমূল নেতাদের ভাগ্য ঝুলে রয়েছে। অতীতে দেখা গিয়েছে, অনেক তাবড় নেতার বুথে দল ফল খারাপ করেছে। তারপরও তাঁরা বহাল তবিয়তে ক্ষমতায় থেকে গিয়েছেন। সংগঠনের তাঁরাই শেষ কথা। এবার সেটা হবে না। ...

কলকাতা ও দুই ২৪ পরগনার ২১টি থানা, জিআরপি এবং হাসপাতালে অস্বাভাবিকভাবে মৃতদের দেহ ময়নাতদন্তের জন্য নতুন জায়গা নির্দিষ্ট করে দিল স্বাস্থ্যভবন। এর মধ্যে পাঁচটি হাসপাতাল, ১২টি জিআরপি থানা এবং কলকাতা পুলিস এলাকার চারটি থানা রয়েছে। ...

পশ্চিমবঙ্গে কাজ রয়েছে। রয়েছে সুষ্ঠু পরিবেশ। এখানে খুঁজলেই কাজ পাওয়া যায়। ভিন রাজ্য থেকে আসা শ্রমিকদের বক্তব্য স্পষ্ট। যা এক কথায় নস্যাৎ করে দিচ্ছে বিরোধীদের ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

কাজকর্মে জটিলতা মুক্তি ও কর্মোন্নতি। অপচয়মূলক বা অপ্রত্যাশিত ব্যয় বাড়বে। পারিবারিক ক্ষেত্রে সুসম্পর্ক। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব কচ্ছপ দিবস
১৪৯৮ - পর্তুগীজ নাবিক ভাস্কো-দা-গামা উত্তমাশা অন্তরীপ হয়ে ভারতের কালিকট বন্দরে এসেছিলেন
১৬০৯ - শেক্সপিয়ারের সনেট প্রথম প্রকাশিত হয় লন্ডনে
১৮১৮ - প্রথম বাংলা সংবাদপত্র সমাচার দর্পণ আজকের দিনে প্রথম প্রকাশিত হয়। সম্পাদক ছিলেন জন ক্লার্ক মার্শম্যান
১৮২৯- বিশুদ্ধ সিদ্ধান্ত পঞ্জিকার প্রতিষ্ঠাতা ও গণিতবিদ মাধবচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের জন্ম
১৮৯৪ - ভারতে ফলিত গণিতের জনক বিজ্ঞানী নিখিলরঞ্জন সেনের জন্ম 
১৯০২ - কিউবা একটি স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে এবং এই দিনে সকল মার্কিন সেনা কিউবা ত্যাগ করে
১৯০৫ - বিশুদ্ধ সিদ্ধান্ত পঞ্জিকার প্রতিষ্ঠাতা ও গণিতবিদ মাধবচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের মৃত্যু
১৯০৬- নাট্যকার হেনরিক ইবসেনের মৃত্যু
১৯১৮- ইংরেজ ক্রিকেটার ডেনিস কম্পটনের জন্ম
১৯১৯- জয়পুরের রাজমাতা গায়ত্রী দেবীর জন্ম
১৯২৮- বিশিষ্ট তবলিয়া রাধাকান্ত নন্দীর জন্ম
১৯৩০ - বাঙালী প্রত্নতত্ত্ববিদ রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়ের মৃত্যু 
১৯৩২ - ইয়ারহার্ট প্রথম মহিলা যিনি একক উড্ডয়নে আটলান্টিক মহাসাগর পাড়ি দেন
১৯৫১- বিশিষ্ট দাবাড়ু আনাতোলি কারাপোভের জন্ম
১৯৮৩ - এইচআইভি ভাইরাস সম্পর্কে প্রথম প্রকাশিত হয় সায়েন্স ম্যাগাজিনে



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮২.৪৯ টাকা ৮৪.২৩ টাকা
পাউন্ড ১০৪.২৪ টাকা ১০৭.৭২ টাকা
ইউরো ৮৮.৯২ টাকা ৯২.০৭ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৪,৬০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৪,৯৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭১,২৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৯৩,১০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯৩,২০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৯ ‌জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ২৩ মে, ২০২৪।  পূর্ণিমা ৩৬/৫ রাত্রি ৭/২৩। বিশাখা নক্ষত্র ১০/৪৫ দিবা ৯/১৫। সূর্যোদয় ৪/৫৭/৩৭, সূর্যাস্ত ৬/৯/৫। অমৃতযোগ দিবা ৩/৩১ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ৬/৫২ গতে ৯/২ মধ্যে পুনঃ ১১/১৫ গতে ২/৪ মধ্যে পুনঃ ৩/৩১ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ২/৫১ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ১১/৩৩ গতে ১২/৫৪ মধ্যে। 
৯ ‌জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ২৩ মে, ২০২৪। পূর্ণিমা সন্ধ্যা ৬/৪৮। বিশাখা নক্ষত্র দিবা ৮/৫৮। সূর্যোদয় ৪/৫৭, সূর্যাস্ত ৬/১২। অমৃতযোগ দিবা ৩/৪০ গতে ৬/১২ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/২ গতে ৯/১০ মধ্যে ও ১১/৫৮ গতে ২/৬ মধ্যে ও ৩/৩০ গতে ৪/৫৭ মধ্যে। কালবেলা ২/৫৩ গতে ৬/১২ মধ্যে। কালরাত্রি ১১/৩৪ গতে ১২/৫৫ মধ্যে। 
১৪ জেল্কদ।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
ভূপতিনগরে তৃণমূল নেতার উপর হামলা, কাঠগড়ায় বিজেপি
পূর্ব মেদিনীপুরের ভূপতিনগর থানার এক্তারপুরে তৃণমূলের ব্লক সভাপতি অম্বিকেশ মান্নার ...বিশদ

06:30:00 PM

ইডি-সিবিআইয়ের হাত থেকে বাঁচতে বিজেপিতে গিয়েছেন, নাম না করে তাপস রায় প্রসঙ্গে বললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

06:21:55 PM

একবছর আগে থেকেই বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগ ছিল, নাম না করে তাপস রায় প্রসঙ্গে বললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

06:19:19 PM

মোদি জিতলে এটাই ভারতবর্ষে শেষ নির্বাচন: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

06:11:43 PM

সবার সার্টিফিকেট বহাল থাকবে: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

06:09:11 PM

সারাদেশে বিজেপিকে মদত দিচ্ছে বামেরা: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

06:07:47 PM