সম্মানরক্ষায় বাড়তি সতর্কতা প্রয়োজন। শত্রুর সঙ্গে সম্মানজনক সমঝোতা। বাড়ি ঘর বাহন কেনার যোগ। কর্মে সংস্থাগত ... বিশদ
এদিনের বাজেটে বিমা খাতে বিদেশি বিনিয়োগের দরজা হাট করে খুলে দেওয়া হয়েছে। বর্তমানের ৪৯ শতাংশ সীমা থেকে বাড়িয়ে তা করা হয়েছে ৭৪ শতাংশ। সেবি আইনে সংস্কারের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি, অনাদায়ী ঋণের বোঝা কমানো তথা পুনর্গঠন করতে ‘ব্যাড ব্যাঙ্ক’ গঠনের কথা বলা হয়েছে। একইসঙ্গে, রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলির পুনর্জীবনে ২০ হাজার কোটি টাকা ঢালা হবে। বিশেষজ্ঞরা এই বাজেটকে ‘গ্রোথ ওরিয়েন্টেড’ তথা বিকাশমুখী বাজেট আখ্যা দিয়েছেন। তার জেরেই চাঙ্গা হয় এদিনের শেয়ার বাজার।
ক্ষেত্র নির্বিশেষে বিভিন্ন কোম্পানির শেয়ার কিনতে হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। বাড়তে থাকে ব্যাঙ্কিং, আর্থিক পরিষেবা, এফএমসিজি এবং ধাতু সংক্রান্ত শেয়ারের চাহিদা। হু হু করে বেড়ে যায় আইসিআইসিআই ব্যাঙ্ক, এইচিএফসি, এইচিএফসি ব্যাঙ্ক, অ্যাক্সিস ব্যাঙ্ক এবং রিলায়েন্স ইন্ড্রাস্ট্রিজের শেয়ারের দাম। বিশেষভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে বিমা প্রদানকারী কোম্পানির শেয়ারের দর। একসময় ৪৮ হাজার ৭৬৪.৪০ পয়েন্ট ছাড়িয়ে গিয়েছিল সেনসেক্স। দিনের শেষে কিছুটা কমে ৪৮ হাজার ৬০০ পয়েন্টে এসে থিতু হয় বম্বে শেয়ার বাজার সূচক। সবমিলিয়ে ২ হাজার ৩১৪ পয়েন্ট অর্থাৎ ৫ শতাংশ বেড়েছে সেনসেক্স। একইভাবে ৬৪৬.৬০ পয়েন্ট বেড়ে এদিন নিফটি থামে ১৪ হাজার ২৮১.২০ পয়েন্টে। তবে, এদিন টাকার দাম ৬ পয়সা পড়েছে। এক ডলারের দাম হয়েছে ৭৩.০২ টাকা। গত ২১ জানুয়ারি সর্বকালীন উচ্চতা ৫০ হাজারের শিখর ছুঁয়েছিল সেনসেক্স। ওই দিন থেকেই অবশ্য পড়তেও শুরু করে বম্বে শেয়ার সূচক। টানা পতনের মুখে পড়ে তা নেমে গিয়েছিল ৪৬ হাজারে। সোমবার বাজেটে একের পর এক সংস্কারমূলক প্রস্তাবের ঘোষণার সঙ্গেই লাফিয়ে বাড়তে শুরু করে সেনসেক্স এবং নিফটি। গত কয়েকদিন ধরে জল্পনা চলছিল, এবারের বাজেটে ‘কোভিড সেস’ বসতে পারে। কিন্তু নির্মলা সীতারামন তেমন কোনও ঘোষণা না করায় শেয়ার কিনতে লগ্নিকারীরা কার্যত ঝাঁপিয়ে পড়েন। আকাশ ছোঁয় বাজার।