সম্মানরক্ষায় বাড়তি সতর্কতা প্রয়োজন। শত্রুর সঙ্গে সম্মানজনক সমঝোতা। বাড়ি ঘর বাহন কেনার যোগ। কর্মে সংস্থাগত ... বিশদ
ক্ষুদ্র ঋণপ্রদানকারী সংস্থাগুলির সর্বভারতীয় সংগঠন ‘সা-ধন’ কেন্দ্রের কাছে দাবি করেছে, তাদের জন্য করমুক্ত সোশ্যাল বন্ড ছাড়ার অনুমতি দিক কেন্দ্র। নাবার্ড বা সিডবির মতো প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে তা করা হোক। এতে সংস্থাগুলির নগদ জোগান বাড়বে। প্রায় একই দাবি করেছে সর্বভারতীয় বণিকসভা সিআইআই’ও। তাদের বক্তব্য, নাবার্ডের মতো প্রতিষ্ঠানগুলিকে আরও নগদ জোগাতে আলাদা সংস্থা তৈরি করুক কেন্দ্র। তাতে উপকৃত হবে ক্ষুদ্র শিল্প ও কৃষিক্ষেত্র। কীভাবে ক্ষুদ্র শিল্প সংস্থাগুলির নগদ জোগানের মাত্রা বাড়ানোর সম্ভব? ভিলেজ ফিনান্সিয়াল সার্ভিসেস-এর ম্যানেজিং ডিরেক্টর এবং সিইও কুলদীপ মাইতি বলেন, ক্ষুদ্র ঋণপ্রদানকারী সংস্থাগুলির জন্য সরকার আগে একবার ইক্যুইটি ফান্ডের ব্যবস্থা করেছিল। কিন্তু সেই তহবিলের পরিমাণ ছিল কম। সরকার যদি আবার তেমনই একটি প্রকল্প আনে, তাহলে দু’দিক থেকে লাভ। প্রথমত, যেহেতু সেটি ইক্যুইটি ফান্ড, তাই তার কোনও সুদ বা সমগোত্রীয় খরচ নেই। তাই সেই তহবিল থেকে টাকা নিলে আমরা সাধারণ গ্রাহককে কম সুদে টাকা ধার দিতে পারব। এতে শেষ পর্যন্ত কিন্তু উপকৃত হবেন হাজার হাজার প্রান্তিক মানুষ, যাঁদের টাকার দরকার। দ্বিতীয়ত, ওই তহবিলকে কাজে লাগিয়ে মাইক্রো ফিনান্স সংস্থাগুলি ডেট ফান্ড বাড়াতে পারে। এর অর্থ, সংস্থাগুলির কাছে আরও বেশি নগদ টাকার জোগান আসবে, যা ফের ঋণ হিসেবে দেওয়া যাবে গ্রাহকদের। সরকার নিজে সেই তহবিল না গড়ে, নাবার্ড বা সমগোত্রীয় সংস্থার মাধ্যমে তা করবে, যারা গ্রামীণ অর্থনীতির উন্নয়নে কাজ করে।
ক্ষুদ্র ঋণদানকারী সংস্থাগুলির দাবি, তাদের জন্য ক্রেডিট গ্যারেন্টি স্কিম চালু করুক সরকার। তাতে কী লাভ? সংস্থার কর্তারা বলছেন, তাঁরা আর্থিক প্রতিষ্ঠান বা ব্যাঙ্ক থেকে টাকা ধার করেন। সেই টাকা তাঁরা সাধারণ মানুষকে ফের ধার দেন। যাঁদের কাছ থেকে তাঁরা টাকা ধার নেন, তাঁদের সুদ মেটাতে হয়। যেহেতু ওই ঋণ নেওয়ার ক্ষেত্রে কোনও গ্যারান্টার নেই, তাই সুদের হার বেড়ে যায়। তার প্রভাব পড়ে সাধারণ গ্রাহকের উপর। সরকার যদি গ্যারান্টার হিসেবে কাজ করে বা ক্রেডিট গ্যারান্টি স্কিম চালু করে, তাহলে সুদের হার কমে যেতে বাধ্য। সেক্ষেত্রে সাধারণ মানুষকেও কম সুদে টাকা ধার দেওয়া সম্ভব হবে। ‘রিফাইনান্স’ সুবিধাও দিতে পারে কেন্দ্রীয় সরকার। ক্ষুদ্র ঋণপ্রদানকারী সংস্থাগুলির তরফে বাজারে দেওয়া ধারের দায়িত্ব যদি সরকার নিয়ে নেয়, এবং তার বদলে সংস্থাগুলিকে টাকা দিয়ে দেয়, তাহলে সংস্থাগুলির হাতে নগদ টাকার জোগান বাড়ে। তাতে আরও বেশি করে ঋণদানের বহর বাড়াতে পারে তারা।