কর্মক্ষেত্রে পদোন্নতির সূচনা। ব্যবসায়ীদের উন্নতির আশা রয়েছে। বিদ্যার্থীদের সাফল্যযোগ আছে। আত্মীয়দের সঙ্গে মনোমালিন্য দেখা দেবে। ... বিশদ
শুধু শিল্পের জন্যই জমি বরাদ্দ করতে কী কী করেছে রাজ্য সরকার? এব্যাপারে বড় শিল্পের জন্য সবার আগে নজর রয়েছে গোয়ালতোড়ের উপর। সেখানে একলপ্তে ৯৫০ একর জমিতে সম্পূর্ণ পরিকাঠামো গড়া হচ্ছে। রাজ্যের বস্ত্র শিল্পকে বিশ্ববাজারে জায়গা দিতে দক্ষিণ ২৪ পরগনায় তৈরি হচ্ছে বস্ত্রতালুক, যেখানে ৯.৮৫ একর জায়গাজুড়ে ৭.২ লক্ষ বর্গফুটের পরিকাঠামো গড়া হচ্ছে। হরিণঘাটায় ৩৫৮ একরের শিল্প তালুক গড়া হচ্ছে। এছাড়াও হাওড়ায় ফুড পার্কের বহর বাড়ানোর কাজও করছে রাজ্য। শিল্প দপ্তরের কর্তারা বলছেন, এর পাশাপাশি শিল্পোন্নয়ন নিগমের আওতায় অনেকগুলি ছোট পার্ক হচ্ছে, যেখানে তথ্যপ্রযুক্তি থেকে উৎপাদন শিল্পকে প্রাধান্য দেওয়া হবে। সঙ্গে রয়েছে একাধিক বেসরকারি উদ্যোগ।
ছোট ও মাঝারি শিল্পের জন্য পরিকাঠামো গড়ার দায়িত্ব ওয়েস্ট বেঙ্গল স্মল ইন্ডাস্ট্রিজ ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন লিমিটেডের হাতে। বেঙ্গল গ্লোবাল বিজনেস সামিটে আসা প্রস্তাবিত লগ্নির কথা মাথায় রেখে ইতিমধ্যেই প্রতিটি মহকুমা ধরে জমির খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে তারা। এখানকার কর্তাদের কথায়, বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার সময় নিগমের হাতে ৭০৩ একর জমি ছিল। আগামী ছ’মাসের মধ্যে যাতে আরও ৭০০ একর তাদের ঝুলিতে আসে, তার জন্য প্রতিটি জেলাশাসকের কাছে দরবার করেছে তারা। এখান চেয়ারম্যান বিপ্লব রায়চৌধুরী কথায়, মুখ্যমন্ত্রী আমাকে নির্দেশ দিয়েছেন, শিল্পের জন্য জমির মাপ বাড়াতেই হবে। প্রতিটি জেলাতে শিল্পের জমি থাকলেও চলবে না। মহকুমা স্তরে সেই ব্যবস্থা করতে হবে। বিপ্লববাবুর দাবি, কয়েক মাসের তৎপরতায় বাণিজ্য সম্মেলনের আগেই তাঁরা ১০০ একরের বেশি জমি জোগাড় করেছেন। এর মধ্যে ঝাড়গ্রামে ৯৪ একর, কালিম্পংয়ে ১০ একর এবং পশ্চিম বর্ধমানে সাত একর চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছে। পশ্চিম মেদিনীপুরে অতি সত্ত্বর বেশ কিছু জমি হাতে আসবে বলে দাবি করেছেন তিনি। জেলাশাসকদের বক্তব্য অনুযায়ী আগামী মাসখানেকের মধ্যে জমির পরিমাণ আরও খানিকটা বাড়বে। সবক্ষেত্রেই শুধু ফাঁকা জমি নয়, ইচ্ছুক বিনিয়োগকারীর হাতে জল, বিদ্যুৎ, রাস্তা সহ সব রকম পরিকাঠামো তুলে দেওয়া হবে বলেই জানিয়েছে নিগম।
এ রাজ্যের শিল্প সমালোচনায় এক সময় জমিকেই হাতিয়ার করত বিরোধীরা। অন্যদিকে জমি যে কোনওভাবেই রাজ্যের লগ্নিতে বাধা হবে না, বারবার সেই বার্তা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই বার্তা যাতে শুধু কথার কথা না থাকে, তার জন্যই সর্বস্ব দিয়ে ঝাঁপিয়েছে প্রশাসন।
এদিকে বুধবার নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, একাধিক রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী, রাজ্যপাল যেমন এই অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন, তেমনই আসবেন বিভিন্ন রাষ্ট্রদূতরাও। কেন্দ্রীয় বাণিজ্যমন্ত্রী সুরেশ প্রভুকে আমন্ত্রণ জানানো হলেও, তিনি আসছেন না, জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তবে শিল্প সম্মেলনের সাফল্যে তিনি একটি ভিডিও বার্তা দিয়েছেন, যা অনুষ্ঠানে প্রচারিত হবে। মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, বিগত চারবারের সম্মেলনে যে ১০ লক্ষ কোটি টাকার বিনিয়োগ প্রস্তাব এসেছিল, তার ৫০ শতাংশ নানা ধাপে কার্যকর হচ্ছে।