উচ্চতর বিদ্যায় শুভ। যে কোনও কর্মে উপার্জন বাড়বে। ব্যবসার গতি ও আয় বাড়বে। ... বিশদ
বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপের (২০১৯ বাসেল) পর সিন্ধুর কেরিয়ারে সবচেয়ে মূল্যবান পদক। এর আগে ২০১৪ গ্লাসগো, ২০১৮ গোল্ড কোস্ট গেমসে যথাক্রমে ব্রোঞ্জ ও রুপো ছিল সিন্ধুর ঝুলিতে। এর মধ্যে গোল্ড কোস্টে মিক্সড টিম ইভেন্টে জিতেছিলেন সোনা। কিন্তু সিঙ্গলসে সোনার পদকের স্বাদই আলাদা। এবার ওলিম্পিকস ও এশিয়ান গেমসে শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট পরতে প্রত্যয়ী গোপীচাঁদের ছাত্রী। স্থানীয় এনইসি এরিনায় বিশ্বের ১৩ নম্বর কানাডার মিচেলে লি’কে ২১-১৫, ২১-১৩ হারানোর পর সিন্ধু বলেন, ‘অবশেষে লক্ষ্যপূরণ হল। এর থেকে আমার জীবনে খুশির মুহূর্ত আর হতে পারে না। দর্শকদের ধন্যবাদ। সারাক্ষণ আমাকে উজ্জীবিত করেছেন। গ্যালারিতে একাধিক ভারতীয় দর্শকদের দেখে জেতার খিদে আরও বেড়ে যায়।’ ফাইনালে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়েছে দু’জনের মধ্যে। ২০১৪ গ্লাসগো গেমসে সোনা জিতেছিলেন মিচেলে। কিন্তু এদিন সিন্ধুর দাপটের কাছে তিনি বশ মানেন। প্রথম গেমের শুরুতে সেয়ানে সেয়ানে লড়াই হয়েছে। সিন্ধু ১৮-১৪ ব্যবধানে এগিয়ে যাওয়ার পর আর চাপ ধরে রাখতে পারেননি কানাডার প্লেয়ার। দ্বিতীয় গেমে কৌশল পরিবর্তন করেন সিন্ধু। খেলার গতি কমিয়ে দেন তিনি। তাতে অ্যাটাকিং খেলতে অসুবিধা হয় মিচেলের। ৯-৩ ব্যবধানে এগিয়ে যান সিন্ধু। তারপর আর ব্যবধান কমাতে পারেননি কানাডার প্লেয়ার।
সোমবার পুরুষদের ফাইনালে স্বপ্নের প্রত্যাবর্তনে জয় ছিনিয়ে নেন লক্ষ্য সেন। জীবনের প্রথম গেমসেই সোনা জিতলেন তিনি। এদিন এনইসি এরিনায় একটি অসাধারণ ম্যাচের সাক্ষী থাকলেন দর্শকরা। জেতার পর গ্যালারি লক্ষ্য করে র্যাকেট ছুঁড়ে দেন তিনি। চোখে-মুখে তখন জয়ের বিস্ময়। প্রথম গেমে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই। কখন এগিয়ে যান লক্ষ্য, পরমূহূর্তে ইয়ং। নেট প্লে’তে শক্তিশালী ইয়ংকে বেশিরভাগ সময়ে নেটেই টেনে আনলেন লক্ষ্য। মালয়েশিয়ান প্লেয়ারের তুখোড় স্ম্যাশের কোনও জবাব লক্ষ্যর কাছে ছিল না। দ্বিতীয় গেমে শটের বৈচিত্র্য বাড়ান ভারতের প্রতিভাবান প্লেয়ার। খেলা চলাকালীন রিটার্ন করতে হাঁটুতে চোট পান ইয়ং। এইসময় মালয়েশিয়ার খেলোয়াড়কে কিছুটা ক্লান্ত দেখায়। সেই সুযোগে স্ম্যাশ ও লম্বা র্যালিতে জোর দেন লক্ষ্য। তৃতীয় গেমেও লক্ষ্যর দাপট অব্যাহত ছিল। তাঁর ডিসেপটিভ শটের কোনও উত্তর ছিল না ইয়ংয়ের কাছে।