উচ্চতর বিদ্যায় শুভ। যে কোনও কর্মে উপার্জন বাড়বে। ব্যবসার গতি ও আয় বাড়বে। ... বিশদ
এদিন কুস্তিতে প্রথম সোনা এল বজরংয়ের মাধ্যমে। তিনি দাপটেই হারালেন কানাডার লাচলান ম্যাকনিলকে। টোকিও ওলিম্পিক্সে ব্রোঞ্জজয়ী বজরংকে নিয়ে ছিল আকাশচুম্বী প্রত্যাশা। তার মর্যাদা দিতে ভুল হয়নি ২৮ বছর বয়সি কুস্তিগিরের। শুরুতে প্রতিপক্ষের মজবুত ডিফেন্সের সম্মুখীন হলেও লড়াই গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করেন বজরং। তাঁর কৌশলের সামনে অসহায় দেখায় লাচলানকে। শেষ পর্যন্ত ৯-২ পয়েন্টে সোনা নিশ্চিত করেন হরিয়ানার এই কুস্তিগির।
এরপর নাটকীয়ভাবে সোনা ছিনিয়ে নেন সাক্ষী। কানাডার অ্যানা গঞ্জালেজের বিরুদ্ধে বিরতিতে ০-৪ পিছিয়ে ছিলেন তিনি। কিন্তু হাল না ছেড়ে সেই অবস্থাতেই ঘুরে দাঁড়ান তিনি। এবং দুর্দান্ত কামব্যাকে করেন বাজিমাত। কমনওয়েলথে জীবনের প্রথম সোনা দখলের পর জাতীয় পতাকা নিয়ে সাক্ষী মেতে ওঠেন উৎসবে। এরপর পাকিস্তানের মহম্মদ ইনামকে ৩-০ পয়েন্টে হারিয়ে কুস্তিতে তৃতীয় সোনা জেতেন দীপক। ২৩ বছর বয়সি টোকিও ওলিম্পিকসে অল্পের জন্য হাতছাড়া করেছিলেন ব্রোঞ্জ। এদিন কোনও ভুল করেননি। লিড ধরে রাখেন দুরন্ত রক্ষণে। তবে মহিলাদের কুস্তির ৫৭ কেজি বিভাগে আশা জাগিয়েও হতাশ করলেন আনসু মালিক। ফাইনালে গত দু’বারের চ্যাম্পিয়ন নাইজেরিয়ার ফোলাসাডে আদেকুওরোয়ের কাছে ৬-৪ পয়েন্টে হেরে রুপোতেই সন্তুষ্ট থাকতে হল তাঁকে। ২১ বছর বয়সি আনসু সেমি-ফাইনালে দুর্দান্ত ছন্দে থাকলেও ফাইনালে জিততে পারলেন না।
এদিকে, কমনওয়েলথের টেবিল টেনিসে পদক জয়ের আশা উসকে দিলেন ভারতের প্যাডলাররা। মহিলাদের সিঙ্গলসের সেমি-ফাইনালে উঠলেন শ্রীজা কাকুলা। পুরুষদের ডাবলসের সেমি-ফাইনালে উঠলেন শরথ কমল ও সাথিয়ান। মহিলাদের মিক্সড ডাবলসের সেমি-ফাইনালেও শ্রীজা আকুলাকে নিয়ে পৌঁছলেন শরথ কমল। তবে মহিলাদের সিঙ্গলসে গতবারের চ্যাম্পিয়ন মণিকা বাত্রা হেরে গেলেন কোয়ার্টার ফাইনালে। তার আগে মিক্সড ডাবলস থেকেও ছিটকে গিয়েছেন সাথিয়ান ও মণিকা জুটি। স্কোয়াশে মহিলাদের ডাবলসের কোয়ার্টার ফাইনালে হেরে গেলেন দীপিকা পাল্লিকাল ও জ্যোৎস্না চিনাপ্পা জুটিও। লন বোলসের ফাইনালে উঠে একটি পদক নিশ্চিত করেছেন ভারতের পুরুষরা।
এদিন স্টেডিয়ামের ছাদের একটা অংশ খসে পড়ায় দু’ঘন্টা বন্ধ ছিল কুস্তি। প্রথম সেশন শুরুর কয়েক মিনিটের মধ্যে এই ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। বেরিয়ে যেতে বলা হয় দর্শক ও অফিসিয়ালদের।