কর্মক্ষেত্রে অতিরিক্ত পরিশ্রমে শারীরিক ও মানসিক কষ্ট। দূর ভ্রমণের সুযোগ। অর্থপ্রাপ্তির যোগ। যে কোনও শুভকর্মের ... বিশদ
চোটের কারণে ওলিম্পিকস থেকে ছিটকে যাওয়ার পর হতাশার সাগরে ডুবে গিয়েছিলেন সানিয়া। তাঁর কথায়, ‘২০০৮ ওলিম্পিকসের পর হতাশা আমাকে গ্রাস করেছিল। অন্তত তিন-চার মাস কারও সঙ্গে ঠিকমতো কথা বলতে পারিনি। কোনও কারণ ছাড়াই ঘরের এক কোণে বসে কাঁদতাম। চোখ থেকে জল ঝরলে কিছুটা হাল্কা বোধ করতাম। ঘর থেকেই বেরতাম না। এক মাসের বেশি সময় ঠিকমতো কিছু খেতেই পারিনি। প্রার্থনা করি, এমন সময় আর কোনও টেনিস প্লেয়ারের জীবনে যেন না আসে।’ সানিয়া সেই সঙ্গে যোগ করেন, ‘হাতের ব্যথা এতটাই তীব্র ছিল যে চুলে চিরুনিও চালাতে পারতাম না। পুরো ছন্দ হারিয়ে ফেলেছিলাম। প্রয়োজন ছিল অস্ত্রোপচারের। সেই জটিলতা কাটানোর পরও মনে এক আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল। আদৌ কোর্টে ফিরতে পারব তো? কিন্তু আমার পরিবার পাশে থেকে আমাকে সঠিক পথ দেখিয়েছে। তারই সুফল পেয়েছিলাম কমনওয়েলথ গেমসে। জিতেছিলাম দু’টি পদক।’
উল্লেখ্য, তিনটি মেজর মাল্টি-স্পোর্ট ইভেন্ট এশিয়াড, কমনওয়েলথ ও অ্যাফ্রো-এশিয়ান গেমসে সানিয়া জিতেছেন মোট ১৪টি পদক। এরমধ্যে রয়েছে ছ’টি সোনা। ডাবলস ও মিক্সড ডাবলস মিলিয়ে ছ’টি গ্র্যান্ড স্ল্যাম খেতাবও রয়েছে সানিয়ার ঝুলিতে।