নয়াদিল্লি: দীর্ঘ সাড়ে তিন মাসের জন্য ইংল্যান্ড সফরে যাচ্ছে ভারতীয় ক্রিকেট দল। ১৮-২২ জুন সাউদাম্পটনে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল খেলবেন বিরাট কোহলিরা। তারপর রানীর দেশে আরও পাঁচটি টেস্ট ম্যাচ রয়েছে টিম ইন্ডিয়ার। ইংল্যান্ডের মাটিতে লাল বলের লড়াইয়ে ভারতের সাফল্য হাতেগোনা। শেষবার ব্রিটিশ মুলুকে ভারত পাঁচ দিনের ম্যাচে সিরিজ জিতেছিল রাহুল দ্রবিড়ের নেতৃত্বে ২০০৭ সালে। তিনিই এবার বিরাটদের হয়ে বাজি ধরছেন। দ্রাবিড় জানিয়েছেন, ‘৩-২ ব্যবধানে ইংল্যান্ডকে হারাবে টিম ইন্ডিয়া। সব কিছু দেখে মনে হচ্ছে, ভারতের সামনে এবার খুব ভালো সুযোগ। তবে ইংল্যান্ডকে খাটো করে দেখা উচিত হবে না।’ সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়ায় ঐতিহাসিক টেস্ট সিরিজ জয় এবং ঘরের মাঠে ইংল্যান্ডকে দুরমুশ করার পর কোহলি বাহিনীকে ঘিরে প্রত্যাশা অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে দ্রাবিড়ের। তাঁর কথায়, ‘ভারতীয় দল ধারাবাহিকভাবে ভালো পারফর্ম করছে। অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে টেস্ট সিরিজ জয় রাহানেদের বড় সাফল্য। ঘরের মাঠে ইংল্যান্ডকে কার্যত দাঁড়াতেই দেয়নি বিরাট বাহিনী। এবার বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল খেলার জন্য অনেক আগেই ইংল্যান্ড পৌঁছে যাচ্ছে টিম ইন্ডিয়া। ফলে ওখানকার পরিবেশের সঙ্গে মানিতে নিতে সুবিধা হবে ক্রিকেটারদের।’
চারজন স্ট্যান্ডবাই সহ মোট ২৪ সদস্যের ভারতীয় দল যাচ্ছে ইংল্যান্ডে। সেই দলে নেই স্পিনার কুলদীপ যাদব ও হার্দিক পান্ডিয়া। এই প্রসঙ্গে দ্রাবিড়ের মত, ‘প্রথম একাদশ কী হবে, সেটা টিম ম্যানেজমেন্ট আগেই ঠিক করে ফেলেছে। সেই অনুযায়ী স্কোয়াড নির্বাচিত হয়েছে। একমাত্র কুলদীপ যাদবকে দলে রাখা যেতে পারত। কিন্তু অক্ষর প্যাটেল, ওয়াশিংটন সুন্দর, জাদেজারা দুরন্ত ফর্মে আছে। তাছাড়া অশ্বিন-জাদেজা ভালো ব্যাটও করতে পারে। এমনিতে ইংল্যান্ডের পিচে পেসাররা সুবিধা পায়। তবে স্পিনাররাও কিছু ক্ষেত্রে কার্যকরী ভূমিকা পালন করবে। আমার মতে, জাদেজা-অশ্বিনকে অলরাউন্ডার হিসেবে ব্যবহার করা উচিত টিম ম্যানেজমেন্টের।’