কর্মক্ষেত্রে অতিরিক্ত পরিশ্রমে শারীরিক ও মানসিক কষ্ট। দূর ভ্রমণের সুযোগ। অর্থপ্রাপ্তির যোগ। যে কোনও শুভকর্মের ... বিশদ
(আসেন্সিও, হ্যাজার্ড) (ফার্নান্দো, র্যাকিটিচ-পেনাল্টি)
মাদ্রিদ: বার্সেলোনা বনাম আতলেতিকো মাদ্রিদ ম্যাচ ড্র হতেই হাসি ফুটেছিল রিয়াল সমর্থকদের মুখে। কারণ, বাকি চারটি ম্যাচ জিতলেই খেতাব ঢুকত আলফ্রেডো ডি স্তেফানো স্টেডিয়ামে। কিন্তু সেই সোনার সুযোগ হেলায় হারাল জিনেদিন জিদানের ছেলেরা। বলা ভালো, অ্যাওয়ে ম্যাচে রিয়াল মাদ্রিদকে রুখে খেতাবি লড়াই জমিয়ে দিল সেভিয়া। রবিবার ঘরের মাঠে হারতেও পারতেন করিম বেনজেমারা। বেলজিয়ান মিডিও ইডেন হ্যাজার্ডের গোল রিয়ালের মুখরক্ষা করে। ম্যাচ শেষ হয় ২-২ ফলে। রিয়ালের হয়ে স্কোরশিটে নাম তোলেনযথাক্রমে মার্কো আসেন্সিও ও ইডেন হ্যাজার্ড। সেভিয়ার দুই গোলদাতা যথাক্রমে ফার্নান্দো ও ইভান র্যাকিটিচ। এই ড্রয়ের ফলে ৩৫ ম্যাচে ৭৫ নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে রইল রিয়াল। সমান পয়েন্ট পেয়ে হেড টু হেডের নিরিখে তৃতীয় স্থানে বার্সেলোনা। আর সমসংখ্যক ম্যাচে ৭৭ পয়েন্ট সংগ্রহ করে শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে আতলেতিকো।
সেভিয়ার বিরুদ্ধে আরও একবার দলের দুই নিয়মিত সেন্ট্রাল ডিফেন্ডার র্যামোস ও ভারানেকে ছাড়াই দল সাজাতে হয় রিয়াল কোচ জিদানকে। ফলে, রক্ষণ যথেষ্ট অবিন্যস্ত ছিল। সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে ২২ মিনিটে সেভিয়াকে এগিয়ে দেন ফার্নান্দো (১-০)। এর আগে অবশ্য অফ-সাইডের কারণে রিয়ালের গোল বাতিল হয়। বিরতির পর জোড়া পরিবর্তন আনেন জিদান। মাঠে নামার এক মিনিটের মধ্যেই দলকে সমতায় ফেরান মার্কো আসেন্সিও। ৬৭ মিনিটে টনি ক্রুজের পাস পেয়ে বাঁপায়ের শটে দলকে সমতায় ফেরান এই স্প্যানিশ উইঙ্গারটি (১-১)। তবে ১২ মিনিটের মধ্যেই ফের পিছিয়ে পড়ে রিয়াল। রেফারির এক বিতর্কিত সিদ্ধান্তের জেরে পেনাল্টি পায় সেভিয়া। যা থেকে লক্ষ্যভেদে ভুল হয়নি র্যাকিটিচের (২-১)। প্রতিপক্ষ বক্সে বেনজেমাকে রোখার চেষ্টার ধাক্কা দেন সেভিয়া গোলরক্ষক বোনো। পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। তবে ভারের সাহায্য নিয়ে ফাউলের পরিধি খতিয়ে দেখতেই উলটপুরাণ হয়। যে প্রতি-আক্রমণ থেকে রিয়াল পেনাল্টি পায়, তার শুরুতে সেভিয়ার কর্নার বিপন্মুক্ত করতে গিয়ে বক্সে হ্যান্ডবল করেছিলেন মিলিতাও। ফলে পেনাল্টির নির্দেশ দেওয়া হয় সেভিয়ার অনুকূলে। পিছিয়ে পড়ে হার বাঁচানোর লড়াই চালায় রিয়াল। তবে সংযোজিত সময়ে টনি ক্রুজের শট হ্যাজার্ডের পায়ে লেগে দিক পরিবর্তন করে জালে জড়ায় (২-২)।
শেষ মুহূর্তের গোলে হার বাঁচালেও রেফারিং নিয়ে ক্ষোভ উগরে দেন কোচ জিদান। তিনি বলেন, ‘রেফারির বিরুদ্ধে বলা আমার স্বভাব নয়। তবে আজ খুবই বিরক্ত লাগছে। ম্যাচ শেষেও রেফারির কাছে ব্যাখ্যা চাইতে গিয়েছিলাম। তবে ওঁর যুক্তিতে আমি মোটেই সন্তুষ্ট নই। মিলিতাওয়ের হ্যান্ডবল দেওয়া হল। ঠিক তেমনই ওদেরও হাতে বল লেগেছিল। তখন রেফারি কেন পেনাল্টির বাঁশি বাজালেন না।’