কর্মক্ষেত্রে অতিরিক্ত পরিশ্রমে শারীরিক ও মানসিক কষ্ট। দূর ভ্রমণের সুযোগ। অর্থপ্রাপ্তির যোগ। যে কোনও শুভকর্মের ... বিশদ
সোমবার সকালে রাজভবনে শপথগ্রহণ। দুপুরে নবান্নে মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকে যোগদান। তারপর সোজা চলে যান নিজের নির্বাচনী কেন্দ্র টালিগঞ্জে। এই মুহূর্তে সেখানে প্রায় ছ’হাজার মানুষ করোনায় আক্রান্ত। তাঁদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করার ফাঁকে ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সম্পর্কে জানালেন বর্তমানকে। শুনলেন জয় চৌধুরি।
প্রশ্ন: ফের ক্রীড়ামন্ত্রীর ভূমিকায় আপনাকেই বেছে নিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কেমন লাগছে?
অরূপ বিশ্বাস : ছোটবেলায় হোস্টেলে থাকার সময়ে খেলাধুলাকে ভালোবেসে ফেলেছিলাম। যা এখনও অটুট। তবে ফের ক্রীড়ামন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়ে বিশেষ কোনও অনুভূতি হচ্ছে না। কারণ, করোনা পর্বে রাজ্যের মানুষকে বাঁচানো এবং সুস্থ রাখাই আমাদের প্রথম এবং প্রধান কর্তব্য। এই ভয়ঙ্কর ভাইরাসের প্রকোপ না থাকলে হয়তো বলতে পারতাম, ভালোই লাগছে। বেশ কয়েকজন সিনিয়র খেলোয়াড়ও অসুস্থ। পরিস্থিতি দেখে অনেকে আবার আতঙ্কিত হয়ে পড়ছে। চেষ্টা করছি, সাধ্যমতো মানুষের পাশে দাঁড়ানোর। আগামী দিনেও তা অব্যাহত থাকবে। সিনিয়র ক্রীড়াবিদদের কাছে বিনীত অনুরোধ, স্থানীয় কাউন্সিলরের সঙ্গে যোগাযোগ করে টিকা নিন। তাহলে কিছুটা হলেও নিশ্চিন্তে থাকতে পারবেন।
প্রশ্ন: সল্টলেক ও সন্তোষপুর স্টেডিয়ামের মতো রাজ্যের বাকি ক্রীড়া পরিকাঠামোগুলিকে কী ফিল্ড হাসাপাতাল হিসেবে কাজে লাগানো হবে?
অরূপ বিশ্বাস: মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দিনরাত এক করে কোভিড মোকাবিলায় ঝাঁপিয়ে পড়েছেন। এই বছর গ্রামগ্রঞ্জেও করোনার প্রকোপ বেশি। তাই প্রয়োজনে রাজ্যের যাবতীয় ক্রীড়া পরিকাঠামো করোনা মোকাবিলায় কাজে লাগানোর ব্যাপারটি ক্রীড়াদপ্তর খতিয়ে দেখছে। মানুষকে বিপদ থেকে উদ্ধার করতে পারলে তবেই খেলাধুলা বাঁচবে।
প্রশ্ন: করোনার দ্বিতীয় টেউ তো কালের নিয়মে একদিন স্তিমিত হয়ে আসবে? তারপর আপনার পরিকল্পনা কী?
অরূপ বিশ্বাস : এই মুহূর্তে আমি আইএফএ, সিএবি, বিওএ-সহ প্রতিটি স্পোর্টস অ্যাসোসিয়েশনকে বলব, সঙ্কটকালে নিজেদের মতো করে লড়ুন। সিএবি তো মাঝে টিকাকরণের একটি শিবিরও করেছে। করোনার দ্বিতীয় ঢেউ থেমে গেলে গোটা সমাজ আবার স্বস্তিজনক অবস্থায় আসবে। তারপর ময়দানের সব খেলাধুলার সঙ্গে জড়িত বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে ইভেন্ট শুরু করা হবে। তবে মানতে হবে স্বাস্থ্যবিধি।
প্রশ্ন: তৃতীয় টার্মে ক্রীড়ামন্ত্রী হিসেবে আপনার প্রথম তিনটি কাজ কী?
অরূপ বিশ্বাস: যুবভারতীতে হকি অ্যাস্ট্রোটার্ফ পাতার কাজটি অগ্রাধিকার পাবে। ইতিমধ্যেই অর্থ মঞ্জুর করা আছে। গ্লোবাল টেন্ডারও হয়ে গিয়েছে। সেটা শুধু ফলো-আপ করতে হবে। জলপাইগুড়ি স্পোর্টস কমপ্লেক্স মুখ্যমন্ত্রী সাই কর্তৃপক্ষকে ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছিলেন। ওরা ফেলে রেখেছে। সাই ব্যবহার না করলে তা ফেরত নিতে হবে। করোনা প্রকোপ কমলে ফুটবল অ্যাকাডেমি ও তিরন্দাজি অ্যাকাডেমিকে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনব।