সম্মানরক্ষায় বাড়তি সতর্কতা প্রয়োজন। শত্রুর সঙ্গে সম্মানজনক সমঝোতা। বাড়ি ঘর বাহন কেনার যোগ। কর্মে সংস্থাগত ... বিশদ
মিস্ট্রি স্পিনার বরুণ চক্রবর্তী ও সন্দীপ ওয়ারিয়র করোনায় আক্রান্ত হওয়ায় সোমবার কলকাতা নাইট রাইডার্স বনাম রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর ম্যাচটি স্থগিত হয়ে যায়। দুই ক্রিকেটারকে আপাতত আইসোলেশনে রাখা হয়েছে। কেকেআরের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়, গত চার দিনে তৃতীয় রাউন্ডের পরীক্ষার পর জানা যায় যে, বরুণ ও সন্দীপ করোনায় আক্রান্ত। তবে দলের বাকি সদস্যদের রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। সংক্রামিত দুই ক্রিকেটারকে তড়িঘড়ি আলাদা জায়গায় রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে। তাঁদের উপর নজর রেখেছেন চিকিৎসকরা। কেকেআরের সিইও বেঙ্কি মাইসোর জানিয়েছেন, ‘সন্দীপের তেমন কোনও সমস্যা নেই। বরুণ আগের থেকে ভালো আছে। পুরো দলই কোয়ারেন্টাইনে। পাঁচদিন পর অর্থাৎ ৬ মে এর বাইরে আসবে দল। ভাগ্য ভালো, আমাদের খেলা ৮ মে দিল্লির বিরুদ্ধে। আশা করি, সেই ম্যাচ নিয়ে সমস্যা হবে না।’ এদিকে, বিসিসিআই নাকি পুরো দিল্লি ক্যাপিটালস দলকেই কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশ দিয়েছে। কারণ, ২৯ এপ্রিল ঋষভ পন্থরা খেলেছিলেন কেকেআরের বিরুদ্ধে।
কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, জৈব সুরক্ষা বলয়ে থাকা সত্ত্বেও কী করে করোনায় আক্রান্ত হলেন ক্রিকেটার, সাপোর্ট স্টাফরা? সূত্রের খবর, কাঁধে চোট পাওয়ায় বরুণ চক্রবর্তীর স্ক্যান করার প্রয়োজন পড়ে। তাই গ্রিন করিডর দিয়ে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তা সত্ত্বেও বিপজ্জনক ভাইরাস তাঁর শরীরে থাবা বসিয়েছে। তবে সন্দীপ ওয়ারিয়রের শরীরে কোভিড ভাইরাস কীভাবে বাসা বাঁধল, তা নিয়ে রয়েছে ধোঁয়াশা। হতে পারে, বরুণ চক্রবর্তীর সংস্পর্শে আসার ফলেই তিনি আক্রান্ত হয়েছেন।
শুধু কেকেআর নয়, করোনার জেরে জেরবার ধোনির চেন্নাই সুপার কিংসও। দলের সিইও কাশী বিশ্বনাথ, বোলিং কোচ লক্ষ্মীপতি বালাজির কোভিড রিপোর্টও পজিটিভ আসে সোমবার সকালে। সেইসঙ্গে সিএসকে’র টিম বাসের এক কর্মীও করোনায় আক্রান্ত বলে খবর ছড়িয়ে পড়ে। কিন্তু বিকেলে আবার র্যাপিড অ্যান্টিজেন পরীক্ষায় রিপোর্ট নেগেটিভ আসে। তা নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ায় সিএসকে শিবিরে। তবে বালাজিদের পরীক্ষা হয়েছিল দু’দিন আগে। তাই সেই সময় তাঁরা সংক্রামিত ছিলেন বলে মনে করা হচ্ছে। কিন্তু জৈব সুরক্ষা বলয়ের নিয়ম অনুযায়ী, রিপোর্ট একবার পজিটিভ এসেছে মানে দশ দিন তাঁদের আইসোলেশনে থাকতে হবে। ৫ এপ্রিল কোটলায় দিল্লি ক্যাপিটালসের বিরুদ্ধে খেলার কথা চেন্নাই সুপার কিংসের। কিন্তু এখন যা পরিস্থিতি, তাতে এই ম্যাচ দিল্লিতে হওয়ার সম্ভাবনা ক্ষীণ। কোভিডের কারণে আইপিএলে ক্রীড়াসূচিতেও কিছু বদল হতে পারে। দিল্লির ম্যাচগুলি কলকাতায় স্থানান্তরিত হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। তবে বাংলায় করোনার সংক্রমণ দ্রুত ছড়াচ্ছে। সেক্ষেত্রে ইডেনে আইপিএলের ম্যাচ আয়োজনের অনুমতি রাজ্য সরকার দেয় কিনা, সেটাই দেখার।
তবে আইপিএলের কোভিড টেস্টের রিপোর্ট নিয়ে বিতর্ক নতুন নয়। কারণ, সকালে রিপোর্ট পজিটিভ এলেও বিকেলে বা পরের দিনে তা নেগেটিভ হয়ে যাচ্ছে। তা নিয়ে অনেকেরই সমস্যা হয়েছে। শুধু তাই নয়, জৈব সুরক্ষা বলয়ের নিয়মও সঠিকভাবে মানা হচ্ছে না বলে অভিযোগ বিভিন্ন ফ্র্যাঞ্চাইজিদের বিরুদ্ধে। তাই তাদের সতর্ক করেছে বিসিসিআই। কারণ, টুর্নামেন্ট এখন মাঝপথে। এই অবস্থায় আইপিএল বন্ধ হয়ে গেলে বিপুল আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়বে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড।