সম্পত্তিজনিত বিষয়ে অশান্তি বৃদ্ধির আশঙ্কা, আত্মীয়-পরিজনের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি। শেয়ার, ফাটকা, লটারিতে অর্থাগম, কর্মক্ষেত্রে গোলযোগের ... বিশদ
বার্সেলোনা, ১০ নভেম্বর: সেলতা ভিগোর ডিফেন্ডার লুকাস ওলাজার বাঁ পায়ের ফ্রি-কিক ম্যাচে সমতা ফেরাতেই গম্ভীর হয়ে গেল কোচ আর্নেস্তো ভালভার্দের মুখ। একরাশ বিরক্তি নিয়ে পাশে বসা সহকারীকে কিছু বলতে দেখা গেল তাঁকে। ঘরের মাঠে সেলতা ভিগোর বিরুদ্ধে পয়েন্ট হারালে খাদের কিনারায় হাঁটতে হত বার্সা কোচকে। কারণ, গত দু’টি ম্যাচে জয়ের মুখ দেখেনি কাতালন ক্লাবটি। লিগের ম্যাচে লেভান্তের কাছে ১-৩ গোলে হারের পর চ্যাম্পিয়ন্স লিগে দুর্বল স্লাভিয়া প্রাগের বিরুদ্ধে গোলশূন্য ড্র করেছিলেন গ্রিজম্যানরা। তাই ভালভার্দের উপর চাপ ক্রমশ বাড়ছিল। কিন্তু দুরন্ত হ্যাটট্রিকে কোচের মুখে হাসি ফোটালেন এক এবং অদ্বিতীয় মেসি। ১২ ম্যাচে ২৫ পয়েন্ট পেয়ে গোল পার্থক্যে এগিয়ে থেকে এখন লিগের শীর্ষস্থানে বার্সেলোনাই।
জুভেন্তাসের জার্সিতে ফ্রি-কিক থেকে গোল পাচ্ছেন না মেসির চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো। তবে শনিবার আর্জেন্তাইন মহাতারকাটি দু’টি গোলই পেলেন ভয়ঙ্কর সুন্দর ফ্রি-কিক থেকেই। উল্লেখ্য, তাঁর প্রথম লক্ষ্যভেদটি পেনাল্টি থেকে। মেসি ছাড়া বার্সেলোনার হয়ে স্কোরশিটে নাম তুলেছেন সের্গিও বুস্কেতস।
ফ্রি-কিক থেকে গোল করা যেন অভ্যাসে পরিণত করেছেন মেসি। সেলতা ভিগোর বিরুদ্ধে প্রথমার্ধের শেষে এবং দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে তাঁর লক্ষ্যভেদ সোনার ফ্রেমে বাঁধিয়ে রাখার মতো। দু’বারই তাঁর বাঁ পায়ের পেলব স্পর্শে বল বিপক্ষ মানবপ্রাচীর এবং গোলরক্ষককে টপকে জালে জড়ায়। স্বাভাবিকভাবেই লিও বন্দনায় মুখর হয়েছে স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যমগুলি। ম্যাচের শেষে ভালভার্দেও বললেন, ‘মেসি অন্য গ্রহের ফুটবলার। ওর উপর নির্ভর করব না তো কার উপর করব।’
ন্যু ক্যাম্পে আয়োজিত ম্যাচের ২৩ মিনিটে স্পটকিক থেকে লক্ষ্যভেদ করে দলকে এগিয়ে দেন মেসি (১-০)। বার্সেলোনার আধিপত্য থাকা সত্ত্বেও বেশ কয়েকবার আক্রমণ শানিয়েছে সেলতাও। ৪২ মিনিটে ওলাজার গোলে সমতায় ফেরে তারা (১-১)। কিন্তু এই ব্যবধান দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। সংযোজিত সময়ে মেসির দুরন্ত ফ্রি-কিক আবার লিড এনে দেয় ভালভার্দে-ব্রিগেডকে (২-১)। এখানেই শেষ নয়। দ্বিতীয়ার্ধের তৃতীয় মিনিটে মেসির দ্বিতীয় গোলের অ্যাকশন রিপ্লে’র সাক্ষী থাকলেন ফুটবলপ্রেমীরা। একইভাবে বাঁ পায়ের ইনস্যুইংয়ে যাবতীয় বাধা পেরিয়ে তিনি বল রাখলেন জালে (৩-১)। এরপর অবশ্য সেলতা ভিগো দু’বার গোল করার মতো পরিস্থিতি তৈরি করেছিল। কিন্তু বার্সেলোনার গোলরক্ষক মার্ক আন্দ্রে টার স্টেগেনের জন্য তা হয়নি। ৮৫ মিনিটে বিপক্ষ কফিনে শেষ পেরেকটি পোঁতেন সের্গিও বুস্কেতস। (৪-১)। উল্লেখ্য, গ্রিজম্যান-আনসুমানা ফাতিরা এই ম্যাচে আশাপ্রদ পারফরম্যান্স মেলে ধরতে ব্যর্থ হয়েছেন। তাই তাঁদের পরিবর্তে ডেম্বেলে এবং লুই সুয়ারেজকে ব্যবহার করেন বার্সা কোচ।