উচ্চতর বিদ্যায় সফলতা আসবে। সরকারি ক্ষেত্রে কর্মলাভের সম্ভাবনা। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য আসবে। প্রেম-প্রণয়ে মানসিক অস্থিরতা ... বিশদ
করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে শিশুদের করোনা আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা চিন্তায় ফেলেছে চিকিৎসকদের। করোনা থেকে সেরে উঠলেও শিশুদের মধ্যে করোনা পরবর্তী বেশ কিছু উপসর্গ দেখা যাচ্ছে। ডাক্তারি ভাষায় যাকে বলা হচ্ছে মাল্টি সিস্টেম ইনফ্লেমেটরি সিনড্রোম(এমআইসি)। এছাড়াও বেশকিছু প্রি ম্যাচিউর শিশু জন্ম নেয়, যাদের নিকুতে ভর্তি রাখা হয়। চিকিৎসার প্রয়োজনে অনেক সময়েই বেদনাদায়ক পদ্ধতি ব্যবহার করতে হয়। এরফলে শিশুদের মধ্যে ডিপ্রেশন তৈরি হয়। তারা নিজেদের অভিব্যক্তি মুখে প্রকাশ করতে না পারলেও তাদের শারীরিক অভিব্যক্তিতে বোঝা যায়। মিউজিক থেরাপি ব্যবহার করে সেই অবসাদ কাটিয়ে তোলা সম্ভব বলে মত বিশেষজ্ঞদের। এই কারণেই চিকিৎসাধীন শিশুদের দ্রুত সুস্থ করে তুলতে এই পদ্ধতি ব্যবহার করা হচ্ছে।
এদিন শিশু হাসপাতালে গিয়ে দেখা গেল, করোনা পরবর্তী উপসর্গ নিয়ে ভর্তি রয়েছে ১২টি শিশু। তার মধ্যে পাঁচজন সদ্যোজাত রয়েছে। শিশু ওয়ার্ডের মধ্যে মৃদু আওয়াজে বাজানো হচ্ছে রবীন্দ্র সঙ্গীত। তাতেই হাত-পা মেলে খেলছে শিশুরা।
হাসপাতালের কর্ণধার তথা শিশু চিকিৎসক আশরাফুল মির্জা বলেন, মিউজিক থেরাপি একটি বিশেষ ধরনের পদ্ধতি। নির্দিষ্ট ব্যবহারে রোগীর চিকিৎসকালীন কষ্ট লাঘব করা সম্ভব এটা প্রমাণিত হয়েছে। এছাড়া, জটিল কিছু রোগের ক্ষেত্রে বা অপারেশনের আগে মিউজিক থেরাপির মাধ্যমে রোগীর কষ্ট লাঘব করার চেষ্টা করা হয়। এছাড়া দেখা গিয়েছে, শিশুদের দ্রুত সেরে ওঠার ক্ষেত্রেও মিউজিক থেরাপি বিশেষ কার্যকরী হয়ে ওঠে। চিকিৎসার কারণে শিশুদের মধ্যে ডিপ্রেশন তৈরি হয়। তারা খেতে চায় না, আড়ষ্ঠভাব চলে আসে। মুড সুইংয়ের মতো ঘটনা ঘটে। নির্দিষ্ট ডেসিবলে সফ্ট মিউজিকের মাধ্যমে এই উপসর্গ কাটিয়ে ওঠা সম্ভব।
ওই চিকিৎসক বলেন, সূর্যোদয়ের সময় সকালে, সূর্যাস্তের সময় অর্থাৎ সন্ধ্যায় ও বেলার দিকে একটি সময় বেছে নিয়ে এই পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়। আমরা লক্ষ্য করেছি, এর ফলে শিশুদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া মিলেছে। দ্রুত সেরে ওঠার ক্ষেত্রে সহায়ক হয়েছে এই পদ্ধতি।