উচ্চতর বিদ্যায় সফলতা আসবে। সরকারি ক্ষেত্রে কর্মলাভের সম্ভাবনা। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য আসবে। প্রেম-প্রণয়ে মানসিক অস্থিরতা ... বিশদ
মৎস্য দপ্তর জানিয়েছে, চিতল মাছ চাষে পথ দেখাচ্ছেন হলদিয়া ব্লকের তরুণ মাছচাষি শুভ্রজ্যোতি সাহু। তাঁর দেখানো পথে রুই কাতলার ও অন্যান্য দেশীয় মাছের সঙ্গে মিশ্র পদ্ধতিতে বাণিজ্যিকভাবে চিতল মাছ চাষে উৎসাহিত হয়েছেন দেভোগ গ্রাম পঞ্চায়েতের আরও কয়েকজন চাষি। শুভ্রজ্যোতিবাবু জানান, বিজনেস ম্যানেজমেন্টে স্নাতকোত্তর পাশের পর তিনি বাবার হাত ধরে হলদিয়ার বামুনচক গ্রামে ফিশারি ফার্ম তৈরি করেন। মৎস্য দপ্তরের উৎসাহে শুরু করেন গুলসা টেংরা, পাবদা, কই, মাগুরের সঙ্গে চিতলের মত দেশীয় প্রজাতির মাছ চাষ। ব্যাঙ্ক ঋণ ও সরকারি সহায়তা পেতে সাহায্য করেন ব্লক মৎস্য দপ্তর। তিনি বলেন, চিতল খুব রাক্ষুসে মাছ। তাই চিতলের খাদ্য হিসেবে তেলাপিয়া চাষও শুরু করি একই সঙ্গে। দু’বছরের মধ্যে এক একটি চিতলের সাইজ দাঁড়িয়েছে আড়াই কেজির মত। হলদিয়ার বাজারে ৩০০-৫০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে এই চিতল।
ব্লক মৎস্য আধিকারিক সুমনকুমার সাহু বলেন, শিল্পশহরে নতুন ধরনের মাছের ভালো চাহিদা রয়েছে। তাছাড়া চিতল দেশীয় মাছ হওয়ায় বিক্রিবাটাও ভালো। আগে হলদিয়ায় বা পূর্ব মেদিনীপুরে স্থানীয়ভাবে চিতল চাষ হতো না। হোটেল রেস্টুরেন্টগুলিতে চালানি চিতল আসত। স্থানীয় বাজারে চিতল পাওয়া গেলেও দাম বেশি পড়ত এবং টাটকা পাওয়া যেত না। এবার সেই অভাব পূরণ করছেন স্থানীয় মাছচাষিরা। তিনি জানান, হলদিয়া ব্লকে গত ৫-৭বছর ধরে আমুর রুই, পেংবার মতো নতুন প্রজাতির মাছ চাষের সঙ্গে দেশীয় মাছ চাষেও সাফল্য এসেছে। মৎস্য দপ্তরের পরামর্শে এখন মিষ্টি জলে মিশ্র ও জৈব প্রযুক্তি প্রয়োগে মাছ চাষ করে চাষিরা লাভবান হচ্ছেন।
এক মৎস্য আধিকারিক জানান, হলদিয়ার ব্লকের মাছ চাষ পদ্ধতিকে মডেল হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে রাজ্য সরকার ও কেন্দ্রীয় মৎস্য গবেষণা সংস্থা সিফা। সেজন্য রাজ্যের বিভিন্ন কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশাপাশি ভিন রাজ্যের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিও এখানকার মাছচাষ পদ্ধতি নিয়ে জানতে আগ্রহ দেখাচ্ছে। ওইসব কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের জীববিদ্যা বা মৎস্য বিজ্ঞানের পড়ুয়াদের ভার্চুয়াল পাঠদানের উদ্যোগ নিয়েছে মৎস্য দপ্তর। ইতিমধ্যেই মধ্যপ্রদেশ ও তামিলনাড়ুর দুটি বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের পাঠদান করা হয়েছে। প্রতি সপ্তাহে রাজ্যের বিভিন্ন কলেজের পড়ুয়াদের সঙ্গে মাছ চাষে উৎসাহী যুবকদেরও ভার্চুয়াল ট্রেনিং দেওয়া শুরু করেছে মৎস্য দপ্তর।